মো.অহিদ সাইফুল, ঝালকাঠির রাজাপুরে কলেজ, মাধ্যমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয় সমূহে হাতেগোনা কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার থাকলেও প্রায় নব্বই ভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে শহীদ মিনার বিহীন। শহীদ মিনার না থাকায় ওই সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শুধু জাতীয় পাতাকা উত্তোলন করেই ২১ফেব্রুয়ারির মহান এ দিবসটি পালন করা হয়। সূত্রমতে, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ বৃহস্পতিবার মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) সহকারী পরিচালক (কলেজ-৪) ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন স্বাক্ষরিত নির্দেশনায় বলা হয়েছে প্রত্যেক সরকারি ও বেসরকারি স্কুলে অতিদ্রুত শহীদ মিনার নির্মান ও জরাজীর্ণ অবস্থায় থাকা শহীদ মিনার সংস্কারের নির্দেশনা জারি করে এক পরিপত্র দিলেও উপজেলায় তার কোন প্রতিফলন দেখা যায়নি। গত দুই বছরে তৈরি হয়নি একটি শহীদ মিনার। শহীদ মিনার নির্মাণে সরকারি বাধ্যবাধকতা থাকা সত্ত্বেও অনেক প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা নিজেদের উদ্যোগে বাঁশের খুঁটি ও কলাগাছ দিয়ে অস্থায়ী শহীদ মিনার তৈরি করে ফুল দিয়ে দিবসটি পালন করে আসছে। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, আমাদেরকে আর কতদিন এ আন্তজাতিক মাতৃভাষার দিবসটিকে ছোট করে দেখতে হবে। এভাবে চলতে থাকলে ২১শের চেতনা, মাতৃ ভাষা ও শহীদদের আত্মত্যাগের সঠিক ইতিহাস শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হব। একদিকে সরকারি তহবিলের অভাব অন্যদিকে সংশিলিষ্ট প্রতিষ্ঠান প্রধান ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির অবহেলার কারণে এসব প্রতিষ্ঠানে আজও নির্মাণ করা হয়নি শহীদ মিনার। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানদের বক্তব্য, সরকারি ভাবে কোন বরাদ্দ না থাকায় প্রতিষ্ঠানে স্থায়ী শহীদ মিনার নির্মাণ করা সম্ভব হচ্ছে না। মোদের গরব মোদের আশা আমরি বাংলা ভাষা। এই বাংলা ভাষার জন্যই ১৯৫২ সালে বাংলার দামাল ছেলেরা বুকের তাজা রক্ত দিয়ে বাংলা ভাষাকে মায়ের ভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছিল। প্রতি বছর ২১ ফেব্রুয়ারি এলেই গোটা বাঙ্গালী জাতি শহীদ মিনারে পুষ্পমাল্য অর্পণ এবং নানা আয়োজনের মাধ্যমে ভাষা শহীদদের স্মরণ করা হয়। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এ দিবসে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মাণের কথা থাকলেও উপজেলার বেশিরভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই নেই শহীদ মিনার। এ কারণে দিবসটি নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধারনাও কম। যাদের ত্যাগ, তিতিক্ষা ও রক্তের বিনিময়ে বাংলাদেশের অভ্যুদয় ও ভাষা আন্দোলনের স্মৃতি স্মারক এবং আমাদের অস্তিত্বের প্রতীক সেই ৫২’ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে বিদ্যালয়গুলোতে শহীদ মিনার নেই। মাতৃভাষা দিবসে শহীদদের শ্রদ্বা জানাতে শিক্ষার্থীরা স্ব-স্ব বিদ্যালয়ে স্থায়ীভাবে শহীদ মিনার নির্মাণের দাবি জানালেও সংশিলিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের। সংশিলিষ্ট সূত্রমতে, রাজাপুর উপজেলার ৫৪ মাধ্যমিক ও নিম্নমাধ্যমিক, ১২২টি সরকারি প্রাথমিক, ৪০টি মাদ্রাসার ও ৭ টি উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (কলেজ) মধ্যে হাতেগোনা ৫ শতাংশেরও কম শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্থায়ী শহীদ মিনার রয়েছে। এমনকি উপজেলা সদরের মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়,পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়,মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়টিতেও শহীদ মিনার নির্মাণের কোন উদ্যোগ আজও গ্রহণ করা হয়নি। ফলে ভাষার জন্য জীবন উৎসর্গকারী মহান শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পারছে না শিক্ষার্থীরা। একইসঙ্গে অজানা থেকে যাচ্ছে ভাষা আন্দোলনের ইতিহাসও। ১৯৯৯ সালে ইউনেস্কো কর্তৃক শহীদ দিবসকে আন্তর্জাতিক মার্তৃভাষা হিসেবে স্বীকৃতির পর থেকেই প্রতি বছর সারাবিশ্বে পালিত হয় এ দিবসটি। অমর ২১ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস স্বীকৃতি পাওয়ায় এখন বিশ্বের প্রায় দু’শতাধিক দেশে যথাযোগ্য মর্যাদায় শহীদ দিবস পালিত হয়। তবে রাজাপুরে এ দিবসটি পালিত হয় দায়সারা ভাবে। স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনে কোনো আগ্রহ নেই। ভাষা আন্দোলনের ৬৫ বছর পরও এ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গড়ে ওঠেনি শহীদ মিনার। ২১শে ফেব্রুয়ারি আসলেই এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা কলা গাছ দিয়ে শহীদ মিনার তৈরি করে। শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের নেই তেমন কোন ধারণা। ভাষা আন্দোলনের তাৎপর্য ও গৌরবের ইতিহাস জানতে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার গড়ার দাবি রাজাপুরবাসীর।
রাজাপুরে শীতকালিন ব্যাডমিন্টন টুর্ণামেন্টের উদ্ধোধন
রাজাপুর প্রতিনিধিঃ ক্রীড়াই শক্তি ক্রীড়াই বল শ্লোগানে রাজাপুরে হানিফ মৃধা স্মৃতি ব্যাডমিন্টন টুর্ণামেটের উদ্ধোধন করা হয়েছে। রোববার সন্ধ্যা ৭টায় ঝালকাঠির রাজাপুর প্রেসক্লাব চত্বরে এ টুর্ণামেন্টের উদ্ধোধন করা হয়। রাজাপুর প্রেসক্লাব আয়োজিত এ টুর্ণামেন্টের উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে খেলার উদ্ধোধন করেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফরোজা বেগম পারুল। প্রেসক্লাব সভাপতি মোঃ আহসান হাবিব সোহাগ এর সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন এ্যাডঃ এ এইচ এম খায়রুল আলম সরফরাজ, রাজাপুর ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ ও জেলা পরিষদ সদস্য মোঃ গোলাম বারী খান, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(তদন্ত)মোঃ হারুর অর রশীদ, উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারন সম্পাদক সাবেক অধ্যক্ষ মোঃ শাহজাহান মোল্লা, রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মোঃ আউয়াল গাজী, টুর্ণামেন্টের পিষ্টপোষক মোঃ সাইফুল ইসলাম লালু, আবু সায়েম আকন প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চলনায় ছিলেন মোঃ এনামুল হোসেন খান। এ টুর্ণামেন্টে মোট ১৬টি দল অংশ গ্রহন করছে।
ঝালকাঠি নলছিটিতে পিক-আপ থেকে সাড়ে বার মন জাটকা আটক
অহিদ সাইফুল, চলমান জাটকা নিধন অভিযানের অংশ হিসেবে ১৯ ফেব্রুয়ারি আনুমানিক ভোর ৪ ঘটিকার দিকে দপদপিয়া জিরো পয়েন্ট এলাকা থেকে কুয়াকাটার মহিপুর থেকে আসা একটি পিকআপ থেকে সাড়ে বার মন জাটকা ইলিশ আটক করেছে নলছিটি থানার এ এস আই মোঃ জসিম উদ্দিন শিকদার (ঢাকা মেট্রো-ন ১৬-৯৪৮৯)। এসময় মাছের মালিক নরাইল জেলার লোহাগড়া উপজেলার নিমাই হাওলাদারের পুত্র লিটন হাওলাদার সহ ৩ জনকে আটক করা হয়।এ বিষয় পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ আব্দুল হালিম তালুকদার জানান নলছিটি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আশ্রাফুল ইসলাম ভ্রাম্রমান আদালতের মাধ্যমে আটককৃত ৩ জনকে মানবিক বিবেচনা করে নয় হাজার টাকা জরিমানা করেন এবং এরকম ভুল আর হবেনা বলে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।উপজেলা মৎস কর্মকর্তা মোঃ মারুফ হোসেন মিনার জানান উদ্ধারকৃত জাটকা ইলিশ স্থানীয় ১৩টি এতিমখানা ও মাদ্রাসা এবং গরীব অসহায় দুঃস্থ মানুষদের মাঝে বিতরন করা হয়েছে এবং আমাদের অভিযান আগামী ৩০শে জুন পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।
মো.অহিদ সাইফুল
রাজাপুর প্রতিনিধি
০১৭১৬-৬৩৫৪৭৩