বেনাপোল  বন্দরে চালু করা নতুন সিজিসি-৯ গেট দিয়ে মাত্র ১২ ঘণ্টায় ৬৫৬টি ট্রাক মালামাল আমদানি ও খালাশ হযেছে

বেনাপোল প্রতিনিধি
দেশের সবচেয়ে বড় স্থলবন্দর বেনাপোলে রাতারাতি বদলে গেছে ? এ বন্দরে চালু করা নতুন সিজিসি-৯ গেট (বাইপাস সড়ক) দিয়ে মাত্র ১২ ঘণ্টায় ৬৫৬টি ট্রাক মালামাল আমদানি ও খালাশ হযেছে । এই  স্থলবন্দর নতুন এক রেকর্ড সৃষ্টি করেছে।
কাস্টমস সুত্র জানায়, বেনাপোল কাস্টমস ও বন্দও সংস্কার ও উদ্ভাবন শুরু হয়েছে নতুনভাবে। কাজটি একটি ব্যতিক্রমী ভিন্নতর, গৃহীত বাণিজ্য বান্ধব অনেক পদক্ষেপের গুরুত্বপূর্ণটি গত বৃহস্পতিবার থেকে কার্যকর হলো। সুপ্ত, গুপ্ত ও নৈর্ব্যক্তিক বাধা পেরিয়ে কর্মযজ্ঞটা সহজ ছিল না। সাধ্য সাধনের অর্জনে কমিশনারের টিমের প্রতিটি সদস্য কাজ করছে রাতদিন।
বেনাপোল বন্দর’র বাণিজ্য জগতে আজ নতুন অধ্যায় সংযোজন করেন কাস্টমস কমিশনার। কাস্টমসের তত্ত্বাবধানে বন্দর থেকে বাইপাস সড়ক দিয়ে প্রথমবারের মতো পণ্য আমদানি ও পরিবাহিত ট্রাক বের হয়। বিকাল ৪টায় চালবোঝাই প্রথম ট্রাকটি সিজিসি-৯ গেট অতিক্রম করে।
ফলে যানজটমুক্ত ছিমছাম পরিপাটি নগরীতে পরিনত হযেছে।
সিজিসি নাইন চালু করায় কাস্টম হাউস ও বন্দরে  সামনে রা¯তায় এলোপাতাড়ি ট্রাক নেই, বাস নেই, ভাড়া গাড়ি ও অপেক্ষমাণ তেমন কোন যানও নেই। দুপুর ১২টা থেকে সন্ধ্যা পর্যšত বন্দর থেকে নতুন চালু হওয়া গেট দিয়ে ১২ ঘণ্টায় ৬৫৬টি ট্রাক ও চেসিস খালাশ হয়েছে। যানজটের নগরীতে মূল সড়ক দিয়ে এ সংখ্যা কল্পনা করাও দুরূহ। ছোট আঁচড়ার মোড়ের নতুন গেট পার হয়ে বাইপাস দিয়ে গাড়িগুলো সোজা মহাসড়কে চলে যাচ্ছে।
বিশাল এ কর্মযজ্ঞে ভবন ও কক্ষ প্র¯তুসহ কষ্টসাধ্য সমগ্র কাজটি সম্পন্ন করেছেন জেসি এহসানের তত্ত্বাবধানে ডিসি মারুফুর রহমান, সাঈদ রুবেল, গোলাম মর্তুজা ও তাদের টিম। দাপ্তরিক আদেশ নির্দেশগুলো তৈরিতে ভূমিকা নিয়েছেন এডিসি জাকির হোসেন ও তার টিম।
২৬টি পণ্য নতুন গেট দিয়ে বের হচ্ছে, ফলে গতি পাচ্ছে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য। আমদানি বাড়লে বৃদ্ধি পাবে রাজস্ব আহরণ। আমদানি-রপ্তানি পণ্য খালাসে ব্যয়িত সময় কমবে। বাড়বে বেনাপোল বন্দরের ব্যবহার। ভারতীয় খালি ট্রাকগুলো ভারতের লিংক রোডের নির্দিষ্ট গেট দিয়ে ভারতে ফিরে যাবে।
শুল্ক পরিশোধিত পণ্যবাহী বাংলাদেশি ট্রাক সহজে এবং নির্বিগ্নে গšতব্যে পৌঁছাবে। বন্ধ হবে বহুদিনের যৌথ বাঁশকল প্রথা। বাণিজ্য সহজীকরণ নতুন মাত্রা পাবে এই নিয়মে। যাত্রী ও মানুষ চলাচল হবে সহজ, সময়ানুগ ।
বেনাপোল কাস্টমস কমিশনার বেলাল হোসেন চৌধুরী জানরান, সুবিধা পেয়েও কেউ অনিয়ম করলে সেসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান চিহ্নিত করে রেকর্ড বিল্ডিং করে ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা ও তার বিরুদ্ধে আইনি কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
তিনি বলেন, আমরা বেনাপোলে ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য সর্বোচ্চ সুবিধা ও নিরাপদ পরিবেশ সৃষ্টির ধারাবাহিক চেষ্টা করছি। ইতিপূর্বে কাস্টমস শুল্কায়ন গ্রুপে ফোল্ডার সিস্টেম চালু করে বেশিরভাগ আমদানিকারককে ফাস্ট ট্র্যাক সুবিধা দেওয়া হচ্ছে

Check Also

সাতক্ষীরায় উগ্রবাদী সাদপন্থীদের বিরুদ্ধে তৌহিদি জনতার মানববন্ধন

নিজস্ব প্রতিনিধি ; উগ্রবাদী সন্ত্রাসী সাদপন্থীদের কর্মকান্ডের প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় প্রায় পাঁচ শতাধিক মানুষের উপস্থিতিতে মানববন্ধন …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।