কুষ্টিয়ায় সাবেক যুবলীগ নেতার স্ত্রী বিয়ের দাবীতে ছাত্রলীগ নেতার বাড়ীতে অবস্থান নেওয়া সেই লিমা’র সাংবাদিক সম্মেলন
কুষ্টিয়ার খোকসায় যুবলীগ নেতার সাবেক স্ত্রী বিয়ের দাবীতে ছাত্রলীগ নেতার বাড়ীতে অবস্থান নেওয়া সেই জুয়েনা হোসেন লিমা বিচার দাবীতে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন। আজ শনিবার দুপুরে কুষ্টিয়ার একটি রেষ্টুরেন্টে নিজের পুত্র সন্তান নিয়ে এই সাংবাদিক সম্মেলন করেন লিমা। সাংবাদিকদের সামনে লিখিত বক্তব্যে লিমা বলেন, ২০০৭ সালে ঢাকার কেরানীগঞ্জের মেয়ে লিমার বিয়ে হয় কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক আবু উবায়দা সাফির সাথে। ২০১৭ সালে একটি মামলায় সাফি জেলে গেলে খোকসা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সায়েম হোসেন সুজন খোজখবর করতে তাদের বাড়ীতে আসে। একদিন বাড়ীর লোকজনদের অনুপস্থিতিতে জোরপূর্বক সুজন লিমার উপর যৌন নির্যাতন চালায়। এবং এই সময়ে মোবাইলে তা ধারণ করে। পরবর্তিতে ভিডিও ছড়িয়ে দেবার হুমকি ও বিয়ের প্রলোভন দিয়ে শারিরীক সম্পর্ক স্থায়ী করে। স্বামী জেল থেকে বের হয়ে এসে বিষয়টি টের পেয়ে তাকে তালাক দিলে লিমা ঢাকায় বাবার বাড়ীতে চলে আসে। সম্প্রতি সুজন অন্যত্র বিয়ে করবে বলে তাদের অন্তরঙ্গ ছবি বিভিন্ন মোবাইলে ছড়িয়ে দিলে বিয়ের দাবীতে লিমা ঢাকা থেকে গত ২ ফেব্রুয়ারী তারিখে সুজনের বাড়ীতে চলে আসে। সুজন বিষয়টি টের পেয়ে পরিবারের লোকজন নিয়ে বাড়ী ছেড়ে চলে যায়। এরপর তালা ভেঙ্গে লিমা সুজনের বাড়ীর বারান্দায় অবস্থান করে। দু’দিনের মাথায় পুলিশ গভীর রাতে তাকে সুজনের বাড়ী থেকে পুলিশ থানায় নিয়ে আসে। এসময় লিমা মামলা করতে চাইলে পুলিশ তা নেয়নি। পরদিন সকালে পুলিশ তাকে ছেড়ে দেয়। পরবর্তিতে সুজনের লোকজনদের হামলা ও গণধর্ষনের হুমকিতে লিমা আর ওই বাড়ীতে ফিরে না যেতে পেরে খোকসায় এক বান্ধবীর বাড়ীতে পালিয়ে থাকে। আজ সম্মান ও নিজের আত্মপরিচয় দাবীতে এবং সুজনের বিচার দাবীতে সে অনেকটা লুকিয়ে কুষ্টিয়া শহরে সাংবাদিক সম্মেলন করে।
লিমা জানান, সুজন ছাত্রলীগের সভাপতি হওয়ায় সেই প্রভাবে পুলিশ মামলা না নিয়ে উল্টো তাকে হুমকি ধামকি দিয়েছে। খোকসা থানার ওসি নাজমুল হুদা জানান, নিরাপত্ত্বার সার্থে লিমাকে সুজনের বাড়ী থেকে নিয়ে আসা হয়। আর লিমা কোন মামলা দেয়নি।