ক্রাইমবার্তা রিপোর্ট:নওগাঁয় ছুরি মেরে তোজাম্মেল হোসেন (৫৫) নামে এক ব্যবসায়ীকে হত্যা করার খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনার পর সেতু (২৫) নামে এক যুবককে আটক করে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয়রা।
শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সদর উপজেলার কীর্ত্তিপুর বাজারে এ ঘটনা ঘটে। নিহত তোজাম্মেল হোসেন সদর উপজেলার কীর্ত্তিপুর ইউনিয়নের আতিতা গ্রামের মৃত আলহাজ জহির উদ্দিনের ছেলে এবং আটক সেতু নিহতের প্রতিবেশী আইয়ুব হোসেনের ছেলে।
হত্যার ঘটনার পর এলাকাবাসী সেতুর বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে। ঘটনার পর থেকে সেতুর বাড়ির লোকজন তালা দিয়ে পালিয়ে গেছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, তোজাম্মেল হোসেন একজন ট্রাক্টর ব্যবসায়ী। শনিবার সকাল ১০টার দিকে ট্রাক্টরের তেল কিনতে বাড়ি থেকে কীর্ত্তিপুর বাজারে আসেন। দোকানে তেল কেনার জন্য অপেক্ষা করছিলেন তিনি। এ সময় পেছন দিক থেকে সেতু এসে একটি ছুরি দিয়ে তোজাম্মেলের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে পালিয়ে যায়। স্থানীয় ও গ্রামপুলিশ এনামুল, সম্রাট ও হাসানসহ কয়েকজন তাড়া করে সেতুকে মাঠ থেকে ধরে নিয়ে আসেন। পরে তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
এদিকে তোজাম্মেল আহতাবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তাকে উদ্ধার করে দ্রুত নওগাঁ সদর হাসপাতালে নেয়া। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
নিহতের ভাতিজি তৃষা অভিযোগ করে জানান, দীর্ঘদিন আগে জমি নিয়ে তার চাচা তোজাম্মেলের সঙ্গে বিরোধ দেখা দেয় সেতুর। এলাকাবাসী সেতুর অত্যাচারে অতিষ্ঠ। ইতিপূর্বে সেতু আমার বাবাকে (সাবেক চেয়ারম্যান জব্বার হোসেন) মাথায় হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করেছিল। চিকিৎসার পর কিছুটা সুস্থ হন। শেষ পর্যন্ত সে (সেতু) চাচাকে হত্যা করেছে। তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন তারা।
নওগাঁ সদর থানার ওসি তোরিকুল ইসলাম জানান, তোজাম্মেল ও সেতুর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলছিল। এরই ধারাবাহিকতায় কীর্ত্তিপুর বাজারে ছুরি দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করলে হাসপাতালে নেয়া হলে তিনি মারা যান। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে হত্যাকারী সেতুকে আটক করে। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। আটক সেতুর বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।