জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জামিনের মেয়াদ আগামীকাল সোমবার পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাকে আদালতে হাজিরের বিষয়ে শুনানির জন্য কাল সোমবার দিন ধার্য করা হয়েছে।
আজ রোববার রাজধানীর বকশীবাজারে স্থাপিত ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. আখতারুজ্জামান এ আদেশ দেন।
খালেদা জিয়াকে আদালতে হাজিরের জন্য দুই পক্ষের (খালেদা জিয়া ও দুদক) আবেদনের ভিত্তিতে আদালত কাল শুনানির দিন ধার্য করেন।
আজ খালেদা জিয়ার পক্ষে আদালতে উপস্থিত ছিলেন মওদুদ আহমেদ, জমির উদ্দিন সরকার, খন্দকার মাহবুব হোসেন, আব্দুর রেজাক খান, মীর মোঃ নাছির উদ্দিন, সানাউল্লাহ মিয়া, মাসুদ আহমেদ তালুকদার, কায়সার কামাল প্রমুখ আইনজীবী।
অন্যদিকে বাদীপক্ষে ছিলেন দুদদের বিশেষ পিপি মোশাররফ হোসেন কাজল।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় আরও একটি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক হারুন-অর-রশীদ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়।
এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন- খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী (পলাতক), হারিছের তখনকার সহকারী একান্ত সচিব ও বিআইডব্লিউটি এর সাবেক নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।