মোঃ আতিয়ার রহমান:পৃথিবীর ইতিহাসে দুর্বল জাতি-গোষ্ঠীর উপর সবলদের অত্যাচার চলে আসছে যুগের পর যুগ, শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে। শাসক বা ধণিক শ্রেণীর একটা অংশ এই অত্যাচার করে, আর একটি অংশ সেটা নিয়ে রাজনীতি করে। দুর্বল জাতির পক্ষে লোক দেখানো সমবেদনার নামে অত্যাচারীকে উস্কে দেয়। বর্তমানে এমনটি ঘটছে মায়ানমারের রোহিঙ্গাদের বেলাতেও। একের পর এক তাদের উপর অত্যাচার হচ্ছে। পৃথিবীর বিভিন্ন সংস্থা বাংলাদেশে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের আর্থিক সাহায্য প্রদান করলেও তাদেরকে স্ব-দেশে ফিরিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে কার্যতঃ কোন ভুমিকা পালন করছে না। প্রায়ই শোনা যায় এই তো এক সপ্তাহের মধ্যেই রোহিঙ্গাদের তাদের দেশে ফিরিয়ে নেওয়ার চুক্তি হয়েছে। ২০১৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত অনেকবারই তাদের দেশে ফেরার চুক্তির কথা শোনা গেলেও কার্যতঃ কোন প্রকার অগ্রগতি হয়নি। হবেও না। এটা দেশীয় ও আর্ন্তজার্তিক মহলের পক্ষে লোক দেখানো বা রাজনৈতিক বক্তব্য। রোহিঙ্গারা যে কতখানি অসহায়, সেটা আমাদের বাংলাদেশের মানুষ হয়তো এখনো ঠিকমত বুঝে উঠতে পারে নি। সেটা বুঝতে হলে এদেশের মানুষকে ফিরে যেতে হবে ১৯৭১ সালে। কারণ ১৯৭১ সালে পাক হানাদার বাহিনীর সদস্যদের বাংলাদেশের নর-নারী ও শিশুদের উপর যে বর্বর হামলা, নির্যাতন, ধর্ষণ ও হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছিল, তখন আমাদের বাংলাদেশের মানুষকে জীবন বাঁচাতে নিজেদের ঘর-বাড়ি, সহায়-সম্বল ফেলে পাড়ি জমাতে হয়েছিল প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতে। সেই ভয়াবহ দিনগুলোতে বাংলাদেশে কত নির্মম ঘটনা ঘটেছে, তা একমাত্র যারা দেখেছে, তারাই তার সাক্ষী হয়ে আছে। আমরা শুধুমাত্র বই, পেপার-পত্রিকায় যেটুকু দেখেছি বা মানুষের মুখ থেকে যতটুকু শুনতে পেরেছি সেটুকুই জেনেছি। রোহিঙ্গাদের বেলাতেও তেমনটি হচ্ছে। তাদের উপর যে অত্যাচার চালাচ্ছে মিয়ানমারের গণতন্ত্রের মুখোশধারী সামরিক জান্তা “সুচি” সরকার, তা না দেখলে বোঝার কোন উপায় নেই। সংখ্যাধিক্যের জোরে কোন জনগোষ্ঠীর উপর হামলা হওয়ার ঘটনা নতুন কিছু নয়। ভারতের বাবরি মসজিদ ধ্বংসের চিত্রটি বিশ্ববাসীর মত দাড়িয়ে দাড়িয়ে দেখেছে ভারত সরকারও। বিভিন্ন দেশে সংখ্যালঘুদের উপর হামলার ঘটনাকে সেইসব দেশের রাজনৈতিক নেতারা নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির কাজে লাগাতে মরিয়া হয়ে উঠে। কেউই মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ নিয়ে শঙ্কিত বা ব্যথিত নয়, বরং সবাই ব্যস্ত-ব্যগ্র সাময়িক রাজনৈতিক স্কোর করায়।
কারা এই রোহিঙ্গাঃ- আমাদের প্রতিবেশী মিয়ানমারের আরাকান প্রদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ ও স্থায়ী মুসলিম জনগোষ্ঠীর নাম রোহিঙ্গা। রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে বলা হয় “ বিশ্বের সবচেয়ে বঞ্চিত জনগোষ্ঠী” এবং বিশ্বের অন্যতম নিগৃহীত সংখ্যালঘু। রোহিঙ্গা পশ্চিম মায়ানমারের রাখাইন রাজ্যের উত্তরাংশে বসবাসকারী একটি জনগোষ্ঠি। ধর্মের বিশ্বাসে এরা অধিকাংশই মুসলমান। রাখাইন রাজ্যের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ হল রোহিঙ্গা। মায়ানমার সরকার ১৩৫ টি জাতিগোষ্ঠীকে সংখ্যালঘু জাতি হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছে। রোহিঙ্গারা এই তালিকায় নেই। এই দেশের সরকারেরর মতে, রোহিঙ্গারা হল বাংলাদেশী, যারা বর্তমানে অবৈধভাবে তাদের দেশে বসবাস করছে। যদিও ইতিহাস ভিন্ন কথা বলে। ইতিহাস বলে, রোহিঙ্গারা মায়ানমারে কয়েক শতাব্দী ধরে বসবাস করে আসছে। সপ্তম-অষ্টম শতাব্দীতে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর উদ্ভব হয়। প্রাথমিকভাবে মধ্যপ্রাচ্যীয় মুসলমান ও স্থানীয় আরাকানদের সংমিশ্রণে রোহিঙ্গা জাতির উদ্ভব হয়। পঞ্চদশ শতাব্দী হতে অষ্টাদশ শতাব্দী পর্যন্ত আরাকানে রোহিঙ্গাদের নিজেদের রাজ্য ছিল। মায়ানমার সরকারের দাবি, রোহিঙ্গারা হল ভারতীয়, বাঙ্গালী ও চাঁটগাইয়া সেলটার, যাদেরকে ব্রিটিশরা আরাকানে এনেছে। যদিও ঐতিহাসিকভাবে এটি প্রতিষ্ঠিত যে, ব্রিটিশরা বার্মায় শাসক হিসাবে আসার কয়েকশত বছর আগ হতেই রোহিঙ্গারা আরাকানে পরিস্কার জাতি হিসাবে বিকশিত হয়েছিল। সরকার রোহিঙ্গাদের নাগরিক হিসাবে স্বীকার না করায় সকল প্রকার নাগরিক ও মৌলিক সুবিধা হতে বঞ্চিত রোহিঙ্গারা। মায়ানমার সরকার আইনের মাধ্যমে রীতিমত অসহনীয় করে তুলেছে রোহিঙ্গাদের জীবন। রোহিঙ্গা সমস্যা চেচনিয়া,বসনিয়া, ফিলিস্তিন, কাশ্মির প্রভৃতি সমস্যার মতই একটি আন্তর্জাতিক সমস্যা।
বিগত কয়েক বছর ধরে মায়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদেরকে বাংলাদেশ সীমান্তে পুশ ইন করছে। রুটিন মাফিক নির্যাতন করে রোহিঙ্গাদের বাধ্য করছে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করতে। বর্তমানে এগারো লক্ষের বেশী রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রিত অবস্থায় বসবাস করছে। রোহিঙ্গাদের প্রতি যা করছে মায়ানমার সরকার, তা সমগ্র মানবতার বিরুদ্ধেই অপরাধ। এর সাথে যোগ হয়েছে সাম্প্রদায়িত দাঙ্গা। রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে রাখাইনসহ অন্যান্য বৌদ্ধ আরাকানীদের উস্কানি দিচ্ছে সরকার। সরাসরি বৌদ্ধ মৌলবাদকে ইন্ধন ও মদদ যোগাচ্ছে মায়ানমার সরকার। মংডু ও আকিয়াবের কোন মুসলিম যুবতী ঘরে থাকতে পারছে না। রাখাইন যুবকরা “লুন্টিন বাহিনীর” প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় মুসলমান যুবতীদের ঘর থেকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে। কয়েক দিনে এরকম ৫ হাজারের অধিক মুসলিম তরুনী নিখোঁজ হয়ে গেছে। তাদের আদৌ ফিরে পাওয়া যাবে না বলেই বিশ্বাস করেছেন মিয়ানমারের ওইসব এলাকার বাসিন্দারা। রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওয়েবসাইট কালাদান প্রেস ডটকম জানিয়েছে, মংডুতে পুলিশের একজন উগ্রপন্থী পুলিশ কর্মকর্তার উস্কানিতে রাখাইন দাঙ্গা পুলিশ মুসলমানদের বাড়িঘরে আগুন ধরিয়ে দিচ্ছে। “থান” নামের ওই পুলিশ কর্মকর্তা নিজেই আগুন দেয়ার কাজে জড়িত বলে ওয়েবসাইটটি দাবি করেছে। মায়ানমার সরকারকে মনে রাখতে হবে যে, নিপীড়িত জনগোষ্ঠীর মাঝে জঙ্গিবাদ,সন্ত্রাসবাদ, সুসংগঠিত অপরাধ মাথাচাড়া দিয়ে উঠে। রোহিঙ্গাদের ক্রমাগত নিপীড়ণ করে ওদেরকে চরমপন্থার দিকেই ক্রমশঃ ঠেলে পাঠাচ্ছে মায়ানমার সরকার। রোহিঙ্গাদের উপর এই নির্যাতন নতুন নয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপান বার্মা দখল করে বার্মিজ জাতীয়তাবাদী ও জাপানীরা মিলে রোহিঙ্গাদের গণহত্যা, জাতিগত ধোলাই শুরু করে। এসময় প্রায় পঞ্চাশ হাজার রোহিঙ্গা ভারত উপমহাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পালিয়ে আসে। আশির দশকে জেনারেল নে উইনের সময় আদমশুমারিতে রোহিঙ্গাদের বিদেশী ঘোষনা করে এবং প্রায় দুই লক্ষ রোহিঙ্গা ভয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। ১৯৯২ সালে এর মাধ্যমে মায়ানমার সরকার উত্তর রাখাইনে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের দমনের নামে হত্যা, ধর্ষণ, শিশু চুরি, গ্যাটোতে স্থানান্তর, মসজিদ ভেঙ্গে দেওয়া, ধর্মপালনে বাধা দেওয়াসহ নানা রকম নির্যাতন করে। এ সময় বাংলাদেশে লক্ষাধিক রোহিঙ্গা পালিয়ে আসে।
নির্মম অত্যাচারের শিকার হয়ে রোহিঙ্গারা পালিয়ে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন সময়ে আশ্রয় নিয়েছে। তাদের পাশে কেউ দাঁড়ায়নি। তাদের ঘরে ফেরানোর জন্য কোন দেশ কার্যকর ভুমিকা পালন করেনি। শুধুমাত্র কয়েক বস্তা চাল-ডাল দিয়ে দায়িত্ব পালন করেছে বিশ্বের মোড়লরা।
বিশ্ব মোড়লদের মিয়ানমার প্রীতির কারণঃ- মিয়ানমারের সেনা সমর্থিত সরকার ছিল চীন-রাশিয়া পন্থী আর বর্তমান সরকার নোবেল পন্থী, মানে পশ্চিমাপন্থী, সরাসরি বললে মার্কিনপন্থী। ইঙ্গ-মার্কিন জোট চাচ্ছেন না সুচি ক্ষমতা হারানোর ভয়ে সেনাশাসকদের সাথে মিশে চীনের দিকে ঝুকে পড়–ক। সুতরাং মিয়ানমারকে জোটের হাতে রাখতে রোহিঙ্গা ইস্যু গায়ে লাগানোর কোন পরিকল্পনা নেই মার্কিনিদের। আরো জানা দরকার যে, ২০১৪ সালে অঝঊঅঘ পরস্পরের মধ্যে ২৫২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার লেনদেন হয়েছে। তাছাড়া মিয়ানমারের ভৌগলিক গুরুত্ব এবং খনিজসম্পদও অন্যতম কারণ এই দেশটিকে কাছে টানার জন্য। ফলে মিত্র শক্তিগুলো রোহিঙ্গা প্রশ্নে ততটা সক্রিয় নয়, যতটা মিয়ানমারকে কাছে টানার ক্ষেত্রে সক্রিয়। এবার দেখা যাক ভারত কি চায়? মায়ানমার হলো পূর্বদিকে ভারতের সংযোগ স্থাপনের জন্য একটি সেতু এবং ভারতের আঞ্চলিক শক্তি বাড়ানোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ এক মিত্র। অঝঊঅঘ( (আসিয়ান)এর সদস্য পদ পাওয়ার পর থেকেই ভারত মূলত এই আসিয়ানের সাথে সম্পর্ক গড়তে মায়ানমারকে সংযোগমিত্র হিসেবে পেতে চায়। এটাই ভারতের প্রধান কৌশলগত অবস্থান।
মায়ানমার সরকারের মতিগতি দেখে মনে হয় না তারা রোহিঙ্গাদের ফেরত নেবে। রোহিঙ্গারা ১৯৭৮, ১৯৯১-৯২, ২০১২,২০১৫ ও ২০১৬-১৭ সালে সামরিক নির্যাতন এবং দমনের সম্মুখীন হয়েছে। রোহিঙ্গারা বলে আসছেন তারা পশ্চিম মায়ানমারে অনেক আগে থেকে বসবাস করে আসছে। তাদের বংশধররা প্রাক-উপনিবেশিক ও উপনিবেশিক আমল থেকে আরাকানের বাসিন্দা ছিল। বিংশ শতাব্দীর শেষের দিকে নির্যাতন শুরু হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত রোহিঙ্গারা আইনপ্রণেতা ও সংসদ সদস্য হিসাবে মায়ানমার সংসদে প্রতিনিধিত্ব করেছেন। পূর্বে যদিও মায়ানমার রোহিঙ্গাদের গ্রহণ করত, কিন্তু হঠাৎই মায়ানমারে সরকারি মনোভাব বদলে যায় এবং রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে মায়ানমার সরকারের অফিসিয়াল মন্তব্য হলো তারা জাতীয় জনগোষ্ঠী নয় বরং তারা বাংলাদেশ থেকে আসা অবৈধ অভিবাসী। মায়ানমার সরকার তখন থেকে “ রোহিঙ্গা” শব্দটি বাদ দিয়ে তাদের বাঙ্গালী বলে সম্বোধন করে।
পৃথিবীতে আজ মানবতা বড়ই অসহায়। ফিলিস্তিনিদের ভাগ্য সা¤্রাজ্যবাদী শক্তির কল্যাণে যেমন জায়োনিস্ট ইসরাইলীদের করুণার উপর নির্ভরশীল করে দেওয়া হয়েছে, তেমনি রোহিঙ্গা মুসলমানদের ভাগ্যও তেমন উগ্র জঙ্গি রাখাইনদের মর্জির উপরই নির্ভরশীল করে রাখা হয়েছে। অহিংসার ভেক ধরা বৌদ্ধরা মুসলমান যুবক-নারী-শিশুদের রক্তে সাঁতার কেটে উল্লাস করছে। বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী রাখাইনদের সহায়তায় মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী নাসাকা, পুলিশ ও “লুন্টিন” বাহিনী নির্মম হত্যাকান্ড ও লুটতরাজের ঘটনা ঘটিয়ে রোহিঙ্গা মুসলিমদের মানবিক বিপর্যয়ের মুখোমুখি করে তুলেছে। এক সময়ের স্বাধীন মুসলিম আরাকান রাজ্য আজ মুশরিক বৌদ্ধ মিয়ানমারের শিকারভূমিতে পরিণত হয়েছে। “ মানুষে মানুষে অহিংসা ও মৈত্রির নীতিতে বিশ্বাসী” এমন স্লোগানের বাহক বৌদ্ধরাই আজ নিজেরাই হিংসার আগুনে জ্বলছে।
রোহিঙ্গাদের একটাই অপরাধ, ওরা মুসলমান! এই পরিচয়টাই তাদের অকল্যাণ ডেকে আনছে বলে আমি মনে করি। আর তা যদি না হয় তবে (অমুসলিম) জাতিসংঘসহ বিশ্বসংস্থাগুলো কেন এ ব্যাপারে কোন কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে না? সামান্য অযুহাতে যারা ইরাক, আফগানিস্থানে আক্রমন করে হাজার বছরের সভ্যতাকে ধ্বংস করে দিতে পারে, যারা লাখো নিরীহ নারী শিশুদের হত্যা করে মুসলিম অধ্যুষিত প্রাচীন জনপদকে ধ্বংসস্তুপে পরিণত করতে পারে, তাদের চোখের সামনেই তো মানবিক বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে পৃথিবীর সবচেয়ে নিপীড়িত সংখ্যালঘু সম্প্রদায় রোহিঙ্গা। কিন্তু সেই বিশ্ব মোড়লরা আজ কোথায়? রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বাংলাদেশে আশ্রয় দেওয়ার জন্য জাতিসংঘ, হিউম্যান রাইটস ওয়াচসহ বিভিন্ন দেশের নেতারা বাংলাদেশ সরকারকে আহবান জানায়। এইসব সংস্থা বা নেতারা “ জাতিসংঘ শরণার্থী সনদের প্রতি আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতাকে শ্রদ্ধা জানানোর জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহবান জানান। এইসব দেশ বা সংস্থাকে বলতে চাই, যখন সিরিয়ায় মার্কিনীরা বৃষ্টির মত বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে, হাজার হাজার নারী-শিশুকে নির্বিচারে হত্যা করা হচ্ছে, তখন কোথায় জাতিসংঘ, হিউম্যান রাইটস ওয়াচসহ বিভিন্ন দেশের নেতারা? কোথায় তাদের মানবিক মূল্যবোধ? সংবাদপত্রে রোহিঙ্গাসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের মুসলমানদের মানবেতর জীবনযাপন চিত্র দেখে মহানবী (সঃ)- এর একটি হাদিসের কথা মনে পড়ে, মহানবী (সঃ) বলেছিলেন- “ মুসলমান উম্মাহ একটি মাত্র দেহের মত, যার যে কোন অঙ্গে আঘাত লাগলে পুরো শরীর বেদনা অনুভব করবে। কিন্তু মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিমদের গণহত্যা ও বেপরোয়া লুটতরাজ চলছে। এই অবস্থায় বিশ্ব মুসলিমের নীরব দর্শকের ভ’মিকায় প্রশ্ন উঠাই স্বাভাবিক যে, আমরা হোসাইনী মুসলমান না ইয়াজিদী মুসলমান??
সহকারী রেজিস্ট্রার
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা।
Check Also
ঢাকা প্রসঙ্গে বদলাতে পারে ভারতের পররাষ্ট্রনীতি
পাঁচ দশকের বিরতির পর গত মাসে বাংলাদেশের বন্দর নগরী চট্টগ্রামে একটি পাকিস্তানি পণ্যবাহী জাহাজ ডক …