ক্রাইমবার্তা রিপোর্ট:ঢাকা: বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মামলা লড়ার অনুরোধ ড. কামাল হোসেন ফিরিয়ে দিয়েছেন বলে যে সংবাদ প্রচার হয়েছে, তা সত্য নয় বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বুধবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ড. কামাল হেসেনের সঙ্গে খালেদা জিয়ার মামলার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তিনি মনোযোগ দিয়ে আমাদের কথা শুনেছেন।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমরা খালেদা জিয়ার মামলার বিষয়ে আইনি পরামর্শের জন্য ড. কামাল হোসেনের কাছে গেছি। সেখানে অনেক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা রায়ের একটা কপিও তাঁকে দিয়েছি। তিনি বলেছেন, রায়ের কপি তিনি পড়বেন, পরে আমাদের পরামর্শ দেবেন বলে জানিয়েছেন।’
ড. কামাল খালেদা জিয়ার মামলা লড়ার অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছেন এটা পুরোপুরি মিথ্যা তথ্য বলে দাবি করেন মির্জা ফখরুল। এমনকি সাংবাদিকরা তাঁর বা কামাল হোসেনের সঙ্গে কথা না বলেই এই তথ্য প্রচার করেছেন বলেও অভিযোগ করেন বিএনপির মহাসচিব। তিনি বলেন, এর মাধ্যমে শুধু বিএনপি নয়, ড. কামাল হোসেনের মতো আইনজীবীকেও ছোট করা হয়েছে। কামাল হোসেন অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছেন বলে যাঁরা সংবাদ প্রকাশ করেছেন, তাঁদের সেটি উচিত হয়নি।
গতকাল মঙ্গলবার জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় আইনি পরামর্শের জন্য সংবিধান বিশেষজ্ঞ ও আইনজীবী ড. কামাল হোসেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত রাজধানীর মতিঝিলের টয়োটা টাওয়ারে তাঁরা বৈঠক করেন।
এই বৈঠকের পরই গণমাধ্যমে খবর বের হয় যে খালেদা জিয়ার মামলা পরিচালনার অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছেন দেশের প্রবীণ এই আইনজীবী। এই সংবাদের সত্যতা নেই বলে আজ জানালেন মির্জা ফখরুল।
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘যেভাবে দমন-পীড়ন চালানো হচ্ছে, তার মাধ্যমে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পথ রুদ্ধ করা যাবে না। এমনকি বিএনপিকেও ভাঙা যাবে না। আমাদের আন্দোলন শান্তিপূর্ণ। কোনো সংঘাতে বিএনপি নেতাকর্মীরা জড়িত নয়, অথচ তারপরও দলের নেতাকর্মীদের কোনো কারণ ছাড়াই গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।’
প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী প্রচার বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে ইসির কাছে দেওয়া চিঠির বিষয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে মিথ্যা মামলায় আর প্রধানমন্ত্রী দেশ-বিদেশে সরকারি খরচে নৌকার প্রচার চালাচ্ছেন। তাই আমরা যৌক্তিক দাবি জানিয়েছি, অবিলম্বে এটি বন্ধে পদক্ষেপ নিতে। আমরা আশা করছি, নির্বাচন কমিশন পদক্ষেপ নেবে। আর যদি তারা সেটা না করে, তাহলে আমরা আগে যে অভিযোগ করেছি, নির্বাচন কমিশন সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে—সেটাই প্রমাণ হবে।’
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানী, সহদপ্তর সম্পাদক বেলাল আহমদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য আমিনুল ইসলাম।