ক্রাইমবার্তা রিপোর্ট: বগুড়া ব্যুরো : বগুড়ার শেরপুরে বগুড়া জেলা জমিয়াতুল মোদার্রেছীন আয়োজিত এক সংবর্ধনা সভায় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী কাজী কেরামত আলী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে ইসলামের প্রতি গভীরভাবে অনুরক্ত বলে ইতোমধ্যেই এদেশে মাদরাসা শিক্ষার উন্নয়নে কাজ করেছেন , অতীতে কেউ তাঁর ধারে কাছেও যেতে পারেনি। কাজেই মাদরাসা শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়ন ও প্রসার চাইলে মাদরাসা শিক্ষকদের জীবনমানের উন্নতি চাইলে আরেকবার ক্ষমতায় আনতে হবে বর্তমান সরকারকে ।
তিনি বলেন, জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের কারণেই আমরা সবাই পরিষ্কার ও স্বচ্ছভাবে বুঝতে পেরেছি যে মাদরাসাগুলো জঙ্গীবাদের কারখানা নয় এগুলো আসলে আলোকিত ও সৎ এবং শান্তিকামী মানুষ তৈরীর ক্ষেত্র। নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে তিনি বলেন, আমি নিজেও পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে মাদরাসার কেন্দ্র পরীক্ষা পরিদর্শনকালে দেখেছি মাদরাসার ছাত্র / শিক্ষকরা নকল করা বা অসুদপায় অবলম্বন করা পছন্দ করেনা। গতকাল বুধবার সকালে বগুড়ার শেরপুরে স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব হাবিবর রহমানের বাসভবনে জেলা জমিয়াতুল মোদার্রেছীন আয়োজিত সংবর্ধনা সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি একেএম শহীদুল ইসলাম। মাও: হাফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এই সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন সংসদ সদস্য আলহাজ্ব হাবিবর রহমান , উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিরাজুল ইসলাম ও জমিয়াতুল মোদার্রেছীন বগুড়া জেলা শাখার সেক্রেটারি মাও ঃ আব্দুল হাই বারী। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আলহাজ্ব হাবিবর রহমান বলেন, জমিয়াতুল মোদার্রেছীন সংঘাত ও সহিংসতার পরিবর্তে সরকারের সাথে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে যেভাবে মাদরাসা শিক্ষা ও এর শিক্ষকদের দাবি দাওয়া আদায় করছে তা’ প্রশংসাযোগ্য। তিনি বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ও তাঁর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা এদেশে ইসলামের জন্য যা করেছেন আর কেউ তা’ করেনি। তাই তিনি আগামী নির্বাচনেও যাতে জনগণের ভোট ও ভালবাসায় ধন্য হয়ে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসতে পারে সেজন্যে মাদরাসা শিক্ষকদের সহযোগিতা কামনা করেন ।
মাওঃ আব্দুল হাই বারী তাঁর বক্তব্যে, মাদরাসা সেক্টরের সার্বিক উন্নয়নে সরকারের ভুমিকায় বিশেষ করে ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা জানান। পাশাপাশি তিনি এবতেদায়ী পর্যায়ে শিক্ষর্থীদের যেন দ্রæততম সময়ের মধ্যে উপবৃত্তিসহ অন্যান্য সুবিধা দেওয়া হয় সেজন্য প্রতিমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষন করেন। এছাড়াও তিনি, এলাকার যোগ্যতম জন প্রতিনিধি হিসেবে বর্তমান সংসদ সদস্য আলহাজ্ব হাবিবর রহমান যাতে পুনরায় দলের মনোনয়ন লাভ করে সেজন্যও প্রভাব খাটাতে প্রতিমন্ত্রীর সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। সংবর্ধনার শুরুতে কোরান তেলাওয়াত করেন মোস্থফা কামাল আর শেষে মোনাজাত করেন মাও আব্দুল মোমিন। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে জমিয়াতুল মোদার্রেছীন সব উপজেলা সভাপতি ও সেক্রেটারি ছাড়াও বিপুল সংখ্যক মাদরাসার প্রিন্সিপাল ও সুপারগণ উপস্থিত ছিলেন। সভার শুরুতে প্রতিমন্ত্রীকে ক্রেস্ট, নৌকা, ফুলের তোড়া দিয়ে বিপুলভাবে সংবর্ধিত করা হয়।