স্টাফ রিপোর্টার : আজ সোমবার স্বাধীনতার জন্য আকুল-ব্যাকুল কোটি কোটি মানুষের উত্তপ্ত আন্দোলনের স্মৃতিবাহী মার্চ মাসের পঞ্চম দিবস। পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের অধিবেশন স্থগিতের প্রতিবাদে সারাদেশে ভোর ৬টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত সর্বাত্মক হরতাল পালিত হয়। আওয়ামী লীগ প্রধান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৪ মার্চ এক বিবৃতিতে যেসব সরকারি ও বেসরকারি অফিসের কর্মচারীদের বেতন দেয়া হয়নি সেসব অফিসে ৫ ও ৬ মার্চ বেলা আড়াইটা থেকে বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত কাজ চালানোর নির্দেশ দেন। এছাড়া শেখ মুজিব ৫ মার্চ ভারতীয় রেডিও’র এক অপপ্রাচারের প্রতিবাদ করলেন। এদিন পূর্ব পাকিস্তানের তৎকালীন জামায়াতে ইসলামীর আমীর অধ্যাপক গোলাম আযম ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল খালেক এক বিবৃতিতে নিরপরাধ জনসাধারণকে হত্যা করার তীব্র নিন্দা করে যেসব ব্যক্তি অধিকার আদায়ের মহান সংগ্রামে জীবন দিয়েছেন তাদের মাগফিরাত কামনা করেন এবং অবিলম্বে জনপ্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবি জানান। এদিকে, ২ মার্চ সেনাবাহিনী মোতায়েনের পর সৈন্যদের গুলীবর্ষণে ৫ তারিখ পর্যন্ত দেড় শতাধিক মৃত্যুর খবর সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়। শত শত লোক আহত হয়। বঙ্গবন্ধু ঢাকা সামরিক কর্তৃপক্ষের কাছে সৈন্যদের ব্যারাকে ফিরিয়ে আনার দাবি জানালে সামরিক কর্মকর্তা পিন্ডির নির্দেশে ৫ মার্চ সকল সৈনিককে ব্যারাকে ফিরিয়ে নেয়। প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান ঢাকা না আসায় সাহেবজাদা জেনারেল ইয়াকুব খান সিগন্যালের (টেলিগ্রাম) মাধ্যমে রাওয়ালপিন্ডিতে ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দিলেন। সারাদেশের বিভিন্ন স্থানে স্বাধীনতার সপক্ষে বিভিন্ন সভা-মিছিল-সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বাংলার মেহনতী মানুষ স্বাধীনতা সংগ্রামে একাত্মতা ঘোষণা করে আন্দোলনে অংশগ্রহণ করতে শুরু করে।
Check Also
বিজয় দিবসে বিএনপির দিনব্যাপী কর্মসূচি
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে দিনব্যাপী কর্মসূচি দিয়েছে বিএনপি। শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল ৭টায় ঢাকা থেকে …