বেনাপোল প্রতিনিধি :
বিজিবি ও বিএসএফ’র মহাপরিচালক পর্যায়ের সীমাšত সম্মেলনে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ-ভারত সীমাšেতর ৮.৩ কিলোমিটার এলাকা ‘ক্রাইম ফ্রি জোন’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। দুই দেশের সীমাšতরক্ষী বাহিনীর যৌথ উদ্যোগে আজ শুক্রবার দুপুরে বেনাপোলের পুটখালি সীমাšেতর বিপরীতে ভারতের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার কাল্যানী সীমাšেত ‘ক্রাইম ফ্রি জোন’ উদ্বোধন করা হয়।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন যশোর-১ আসনের সংসদ সদস্য শেখ আফিল উদ্দিন, যশোর জেলা প্রশাসক আশরাফউদ্দিন বেনাপোল পৌর সভার মেয়র আশরাফুল আলম লিটন, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবুল হোসেন, বিএসপি,এনডিসি, পিএসসি এবং বিএসএফ মহাপরিচালক শ্রী কে কে শর্মা, আইপিএস। বিজিবি ও বিএসএফ এর উর্দ্ধতন কর্মকর্তা এবং উভয় দেশের স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তা।
৪৯ বিজিবির কামান্ডিং অফিসার লে.কর্ণেল আরিফুল হক জানান, যেীথ ভাবে “ক্রাইম ফ্রী জোনের” শুভ উদ্বোধন করেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবুল হোসেন এবং বিএসএফের প্রধান কে কে শর্মা। ওই জোন বাংলাদেশের পুটখালী ও দৌলতপুর সীমাšত এবং ভারতের গুনারমাঠ ও কালিনী সীমাšত’র মধ্যে পড়েছে।
ক্রাইম ফ্রি জোন’ ঘোষিত সীমাšেতর বাংলাদেশ অংশে কার্যকরভাবে অপরাধ প্রতিরোধের লক্ষ্যে বিজিবি’র উদ্যোগে ইতিমধ্যে বিভিন্ন প্রকারের বর্ডার সার্ভেইল্যান্স ডিভাইস যেমন-ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা, সার্চ লাইট, থার্মাল ইমেজার ইত্যাদি স্থাপন করা হয়েছে। একইসাথে বিজিবি’র উদ্যোগে সীমাšেত অপরাধ প্রতিরোধে স্থানীয় জনসাধারণের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি করা হচ্ছে।
এছাড়া নিজ নিজ দেশের স্থানীয় প্রশাসন এবং সীমান্ত এলাকায় বসবাসকারী জনসাধারণের সহযোগিতায় সীমান্ত অপরাধে জড়িতদের অপরাধমূলক কর্মকান্ড থেকে ফিরিয়ে এনে কর্মসংস্থানের যথাসাধ্য ব্যবস্থা করা হবে।
বিএসএফের একজন কর্মকর্তা ভারতীয় গণমাধ্যমকে বলেন, গত বছরের অক্টোবরে বিজিবি-বিএসএফের মহাপরিচালক পর্যায়ের দ্বিবার্ষিক সীমাšত সম্মেলনে এই জোন করার সিদ্ধাšত নেওয়া হয়। ক্রাইম ফ্রি জোন করার মূল লক্ষ্য হচ্ছে ওই এলাকায় নারী শিশু পাচার,মাদক, অস্ত্র পাচার সহ অসামাজিক এবং অপরাধমূলক কর্মকান্ড রোধ করা।
বিজিবি ও বিএসএফ’র মহাপরিচালক সাংবাদিকদের বলেন, সীমান্তে অপরাধ দমনে ড্রোন ব্যবহার করা হবে। যৌথভাবেই এই সীমান্তে স্পীট বোড ব্যবহার করে, সিসি টিভি ক্যামেরা ও ডিভাইজ ব্যবহার করে যে কোন মূল্যে সীমান্তে অপরাধ দমন করা হবে।
জেলা প্রশাসন, এনজিও এবং সীমাšত এলাকার বাসিন্দাদের সহায়তায় বিজিবি ও বিএসএফ তা নিশ্চিত করবেন। পাইলট এই প্রকল্প সফল হলে আগামীতে সীমাšেতর ৪ হাজার ৯৬ কিলোমিটার এলাকা এ ধরনের জোনের আওতায় আনা হবে।