নিজস্ব প্রতিনিধি: বাড়িতে আসামি না পেয়ে গৃহকত্রীর সাথে পুলিশের ধস্তাধস্তি ও ১১ হাজার টাকা নিযে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল রাতে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার মৃগিডাঙ্গা গ্রামের গৃহবধূ নুরুন্নাহার বেগমের সাথে এ ঘটনা ঘটে।
নুরুন্নাহার জানায় গতকাল রাতে পুলিশের এসআই মিরাজ হোসেন ৩/৪ জনকে সাথে নিয়ে আমার বাড়িতে ঢুকেছিলেন। আমার স্বামীকে না পেয়ে তারা আমাকে নানাভাবে লাঞ্ছিত করে। এ সময় আমার সাথে পুলিশ ও কথিত ইনফরমারদের ধস্তাধস্তি হয়েছে। তারা আমার ঘরে থাকা সাড়ে ১১ হাজার টাকা জোর করে নিয়ে গেছে । তবে এসআই মিরাজ হোসেন বলেন‘আমি টাকা নেই নি। অন্য কেউ নিয়েছে কিনা জানিনা’।
শনিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এসে পুলিশের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ করেন সাতক্ষীরা সদর উপজেলার মৃগিডাঙ্গা গ্রামের গৃহবধূ নুরুন্নাহার বেগম। এ সময় তার চোখের নিচে আহত হবার কালো চিহ্ণও সাংবাদিকদের দেখান তিনি।পুলিশ তাকে বলেছে ‘এসব নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে তোদের ভিটেছাড়া করে দেবো’।
নুরুন্নাহার অভিযোগ করেন, সম্প্রতি তাদের জমিতে ওয়াজ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে অস্থায়ী দোকান বসানোর ঘটনা নিয়ে হজরত,মোস্তফা ও গফুর সান্টুর মধ্যে মারামারি হয়। এ নিয়ে মামলা করে হজরত ও মোস্তফা। আর এই মামলায় আমার স্বামী রড সিমেন্ট বিক্রেতা আবু হাসানকে ১ নম্বর আসামি করে করা হয়। অথচ তিনি সেদিন সেখানে উপস্থিত ছিলেন না।
নুরুন্নাহার আরো বলেন এই মামলায় পুলিশ শুক্রবার রাতে আমার স্বামীকে ধরতে আমার বাড়িতে যায়। স্বামীকে না পেয়ে নির্যাতন শুরু করে আমার ওপর। তিনি বলেন আমি একজন নারী। সব কথা বলতে পািরনা। ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে আমাকে লাঞ্ছিত ও অপমানিত করা হয়। বালিশের নিচ থেকে ১১ হাজার ৭৬৫ টাকা নিয়ে নেয় তারা। একই সাথে দুটি মোবাইল ও একটি টর্চলাইটও নিয়ে নেয় পুলিশ। পরে মোবাইল দুটি ফেরত দিলেও টর্চ লাইট ও টাকা ফেরত দেয়নি তারা। তিনি বলেন অপমানের কথা আমি মুখ ফুটিয়ে বলতে পারবো না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাতক্ষীরা সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মিরাজ হোসেন বলেন‘আসামি ধরতে গিয়েছিলাম।যে অভিযোগ তিনি দিয়েছেন তা সত্য নয়। আমি টাকা নেইনি। অন্য কেউ নিয়েছে কিনা জানা নেই’। আবু সাইদ বিশ্বাসঃসাতক্ষীরাঃ