স্টাফ রিপোর্টার : আজ শনিবার অগ্নিঝরা, রক্তভেজা মার্চের দশম দিবস। স্বাধীনতার টকটকে লাল সূর্য ছিনিয়ে আনতে ১৯৭১ সালের টালমাটাল দিনগুলোতে জেগে উঠেছিল মুক্তিকামী মানুষ। এদিন অসহযোগ আন্দোলনের ফলে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের সর্বত্র অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়। বাঙালীর মুক্তি আকাক্সক্ষা ক্রমেই বাড়তে থাকে। সবাই যার যার অবস্থান থেকে স্বাধীনতার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। ঢাকায় কয়েকটি ছাত্র সংগঠন এবং লেখক, শিল্পী মুক্তি সংগ্রাম পরিষদের সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে কবিতা ও সঙ্গীতানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। নারায়ণগঞ্জ কারাগার থেকে পালিয়ে যায় ৪০ জন কয়েদী। এই সময়টাতে এ অঞ্চলের প্রশাসনের ওপর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কর্তৃত্ব আরো সুসংহত হয়। হরতাল, অসহযোগ আন্দোলনের ভেতরেও দেশের অর্থনৈতিক চাকা সচল রাখার লক্ষ্যে আওয়ামী লীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক তাজউদ্দীন আহমেদ সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ব্যাংক লেনদেন করার নির্দেশ দেন। এই দিনেই তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের প্রভাবশালী পত্রিকা ‘দৈনিক পাকিস্তান’ অবিলম্বে জনপ্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের আহবান জানিয়ে সম্পাদকীয় প্রকাশ করে। কালক্ষেপণ না করে জনগণের দাবিও মেনে নেয়ার কথা বলা হয়। ইংরেজি দৈনিক ‘দ্য পিপলস’ পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) নেতা জুলফিকার আলী ভুট্টোর সমালোচনা করে সম্পাদকীয় প্রকাশ করে। বাংলাদেশের প্রকৃত অবস্থা তুলে ধরার জন্য শেখ মুজিবুর রহমান বিদেশী সাংবাদিকদের প্রতি আহবান জানান।
Check Also
বিজয় দিবসে বিএনপির দিনব্যাপী কর্মসূচি
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে দিনব্যাপী কর্মসূচি দিয়েছে বিএনপি। শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল ৭টায় ঢাকা থেকে …