নিজস্ব প্রতিনিধি: দেবহাটার চাঞ্চল্যকর ইউপি চেয়ারম্যান ফারুক হোসেন রতন হত্যা চেষ্টা মামলার ক্লু উদঘাটন হয়েছে। দেবহাটা উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অলিউল্লাহ এর দায় স্বীকার করেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। এই মামলার পরিকল্পনাকারী, শ্যুটার ও কারা কারা এর সাথে সম্পৃক্ত সে বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া গেছে বলে পুলিশ সূত্র নিশ্চিত করেছে। দেবহাটা থানার ওসি কাজী কামাল হোসেন জানান, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক দক্ষ রাজনৈতিক কর্মী উপজেলার সখিপুর ইউপি চেয়ারম্যান শেখ ফারুক হোসেন রতন ২ জানুয়ারী মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে মটরসাইকেল যোগে পারুলিয়া বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে কয়েকগজ দুরে সখিপুর টেলিফোন অফিসের কিছুদূর আগে পৌঁছালে ওৎ পেতে থাকা সন্ত্রাসীরা মোটর সাইকেলযোগে এসে রতনের মোটর সাইকেলের গতিরোধ করে তাকে পরপর ৩টি গুলি করে। এতে রতনের বুকের ডানপাশে পাজড়ের নিচে গুলিবিদ্ধ হয়। ঘটনার কিছুক্ষন পরেই সেখানে পুলিশ পৌছে ঘটনাস্থল থেকে গুলির খোসা ও একজোড়া সেন্ডেল উদ্ধার করে। পরবর্তীতে ঘটনাটিকে চাঞ্চল্যকর হিসেবে পুলিশের পক্ষ থেকে অপরাধীদের গ্রেফতারে সর্বাত্মক চেষ্টা করা হয়। ঘটনার পরে ০৮-০১-১৭ ইং তারিখে রতনের মা মিনা বেগম (৬৫) বাদী হয়ে দেবহাটা থানায় ধারা- ৩৪১/৩২৬/৩০৭/৩৪ দঃ বিঃ ধারায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় এজাহারভুক্ত হিসেবে ৩ জনের নাম উল্লেখ এবং এছাড়া অজ্ঞাতনামা আরো ৫/৬ জনকে আসামী করা হয়। যার মামলা নং- ০২। পুলিশ ঐ মামলার এজাহারভুক্ত আসামী উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুজ্জামান সাদ্দামকে আটক করে এবং সন্দিদ্ধ আসামী হিসেবে সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটার মঙ্গলানন্দকাটি গ্রামের শেখ আব্দুল হকের ছেলে শিবির নেতা শেখ আব্দুল গফুর (২৪) ও তালা উপজেলার শ্রীমন্দকাটি গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক মোড়লের ছেলে শিমুল মোড়ল (২০) এবং কালীগঞ্জের একজনকে গ্রেফতার করে। ওসি কাজী কামাল জানান, মামলাটির তদন্ত পুলিশ গুরুত্ব দিয়ে করাকালীন সময়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত মঙ্গলবার উপজেলার সখিপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের মৃত আব্দুল বারী সরদারের ছেলে ওলিউল্লাহ (২৫) কে আটক করা হয়। ওলিউল্লাহ জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের কাছে এই মামলার পরিকল্পনাকারী, শ্যুটার ও কারা কারা এর সাথে সম্পৃক্ত সে বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছে। তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক শ্যুটার বাইরে থেকে ভাড়া করা ছিল। সেজন্য ওলিউল্লাহকে নিয়ে ওসি সহ পুলিশ ২ দিন বিভিন্ন স্থানে সাড়াশি অভিযান চালায়। ওসি জানান, এই মামলার বিস্তারিত তথ্য জানা গেছে। তবে তদন্তের স্বার্থে এখনই বিস্তারিত বলা যাচ্ছেনা। তবে অতি দ্রুতই এই মামলাটির সমাধান করা হবে বলে ওসি জানান।
সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অলিউল্লাহকে(২২)। মঙ্গলবার(৬মার্চ) দুপুর একটার দিকে তাকে উপজেলা পরিষদের বারান্দা থেকে আটক করে দেবহাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী কামাল হোসেন।
দেবহাটা উপজেলার নারিকেলি গ্রামের রুমা খাতুন জানান, তার স্বামী অলিউল্লাহ উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। স্থানীয় আওয়ামী লীগের বিরোধকে কেন্দ্র করে উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা ফারুক হোসেন রতনের বিপক্ষে থাকায় তারই নির্দেশে অলিউল্লাহকে আটক করা হয়েছে বলে তার অভিযোগ।
দেবহাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী কামাল হোসেন জানান, অলিউল্লাহকে আওয়ামী লীগ নেতা ফারুক হোসেন রতন হত্যাচেষ্টা মামলায় সন্ধিগ্ধ আসামী হিসেবে আটক করা হয়েছে এবং তার কাছ থেকে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া গেছে। -আবু সাইদ বিশ্বাস-সাতক্ষীরা