সাতক্ষীরা সংবাদদাতাঃ ভোমরা বন্ধরে কাঙ্খিত রাজস্ব আদায় হচ্ছে না। চলতি অর্থবছরের প্রথম ৮ মাসের লক্ষ্য অনুযায়ী এখনো ঘাটতি রয়েছে প্রায় ৫৮ কোটি টাকা। ৬২০ কোটি ৮৭ লাখ টাকা রাজস্ব অর্জনের লক্ষ্যের বিপরীতে গেল ৮ মাসে বন্দরটি রাজস্ব আদায় করেছে ৫৬২ কোটি ৮৫ লাখ ৭৪ হাজার ৩৩০ টাকা। সংশ্লিষ্টদের ধারনা ২০১৭-১৮ বছরের বাকি চার মাসে ঘাটতি কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হবে বন্দরটি। অনিয়ম ও দুর্ণিতি বন্ধ করা গেলে রাজস্ব আদায় বৃদ্ধি পাবে কয়েক কোটি টাকা।
ভোমরা বন্দরে রাজস্ব বিভাগ থেকে জানা গেছে, চলতি ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রথম ৮ মাসে এ বন্দরটিতে রাজস্ব অর্জনের লক্ষ্য নির্ধারন করা হয় ৬২০ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। এরমধ্যে জুলাইয়ে ৪৬ কোটি ৭৮ লাখ, আগষ্টে ৩৮ কোটি, সেপ্টেম্বরে ৩৯ কোটি ৭৯ লাখ,অক্টবর মাসে ৮৪ কোটি ৫৪ লাখ টাকা, নভেম্ববরে ৯৮ কোটি ৯০ লাখ, ডিসেম্বরে ১১০ কোটি ১ লাখ, জানুয়ারীতে ১১৫ কোটি ৭৩ লাখ এবং ফেব্রৃয়ারীতে ৯৫ কোটি ২২ লাখ টাকা।
সুত্রটি আরো জানান, গেল ৮ মাসে বন্দরটি রাজস্ব আদায় করেছে ৫৬২ কোটি ৮৫ লাখ ৭৪ হাজার ৩৩০ টাকা। এরমধ্যে জুলাইয়ে ৪৯ কোটি ২ লাখ ৮০ হাজার, আগষ্টে ৬১ কোটি টাকা, সেপ্টেম্বরে ৪৩ কোটি ৩৯ লাখ ৬৬ হাজার, অক্টবর মাসে ৫৭ কোটি ৯৭ লাখ ৭ হাজার ৪৪১ টাকা, নভেম্ববরে ৮৩ কোটি ৪৫ লাখ ৭০ হাজার ৫৬৬, ডিসেম্বরে ৮২ কোটি ৮২ লাখ ১৮ হাজার ৯৯, জানুয়ারীতে ৮৭ কোটি ৪২ লাখ এবং ফেব্রয়ারীতে ৯৭ কোটি ৫৩ লাখ ২২ হাজার ২২৪ টাকা। ফলে লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় প্রায় ৫৮ কোটি টাকা ঘাটতি পড়েছে।
ভোমরা বন্দর শুল্ক স্টেশনের দায়িত্বে থাকা কাস্টম বিভাগীয় সহকারী কমিশনার মো. রেজাউল হক রাজস্ব ঘাটতির বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, সম্প্রতি রাজস্ব আয় কিছুটা বেড়েছে। আশা করা যাচ্ছে অর্থবছরের বাকি চার মাসে ঘাটতি কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হবো।
ভোমরা বন্দর সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়শনের সভাপতি কাজি দিলওয়ার নওশাদ রাজু জানান, গত ৩/৪ মাস একনাগাড়ে আমদানি-রপ্তানি মন্দা গেছে। তবে গেল মাস থেকে ভোমরা বন্দরে পন্য আসা যাওয়া কিছুটা বেড়েছে। তবে ব্যবসায়ীরা অলআইটেম আমদানি-রপ্তানি‘র সুযোগ পেলে রাজস্ব অনেকাংশে বাড়বে।
উল্লেখ্য, জাতিয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক চলতি ২০১৭-১৮ বছরের জন্য ভোমরা বন্দরে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করেছে ৮৮১ কোটি ৮ লাখ টাকা। এরমধ্যে জুলাইয়ে ৪৬ কোটি ৭৮ লাখ, আগষ্টে ৩৮ কোটি, সে্েপ্টম্বরে ৩৯ কোটি ৭৯ লাখ, অক্টবরে ৮৪ কোটি ৫৪ লাখ, নভেম্বরে ৯৮ কোটি ৯০ লাখ, ডিসেম্বরে ১১০ কোটি ১ লাখ, জানুয়ারীতে ১১৫ কোটি ৭৩ লাখ, ফেব্রুয়ারীতে ৯৫ কোটি ১২ লাখ, মার্চে ৭৪ কোটি ৯৩ লাখ, এপ্রিলে ৬২ কোটি ৪৮ লাখ, মে মাসে ৫৬ কোটি ৬৩ লাখ এবং জুনে ৫৮ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। যা ২০১৬-১৭ অর্থবছরের চেয়ে ১৫০ কোটি টাকার উপরে বেড়েছে। যা গত অর্থবছরে এ বন্দরের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য ছিলো ৭৩০ কোটি টাকা। ফলে চলতি অর্থবছর অন্তত ২০ শতাংশ লক্ষ্য বেড়েছে রাজস্ব অর্জনের।
Check Also
যশোর বেনাপোল দিয়ে ভারতে প্রবেশের সময় কলারোয়ার আ’লীগ কাউন্সিলর গ্রেপ্তার
নিজস্ব প্রতিনিধি :- সাতক্ষীরা: যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় সাতক্ষীরার কলারোয়া পৌরসভার …