মোঃ সুজন মোল্লা,বানারীপাড়া (বরিশাল) প্রতিনিধি॥বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে সাবেক চিফ হুইপ স্থাণীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি, পার্বত্য শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ কমিটি এবং জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ¦ আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ এমপি পূর্ণ মন্ত্রীর মর্যাদা পাওয়ায় তাকে বানারীপাড়া পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামীলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাডভোকেট সুভাষ চন্দ্র শীল ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত করেছেন।মঙ্গলবার সকালে রাজধাণীর ন্যাম ভবনে আলহাজ¦ আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ এমপির বাসায় গিয়ে তাকে এ ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত করা হয়। এসময় বরিশাল জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট তালুকদার মো. ইউনুস এমপি,জেলা আওয়ামীলীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন চুন্নু,বানারীপাড়া পৌরসভার প্রকৌশলী আবুল কাসেম প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
বানারীপাড়ায় সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার রেজাল্ট
শিট নিয়ে স্কুল শিক্ষিকা বাসায় অতঃপর!
মোঃ সুজন মোল্লা,বানারীপাড়া (বরিশাল) প্রতিনিধি॥
বানারীপাড়ায় সলিয়াবাকপুর ইউনিয়নের সাইদুন্নেছা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা লিপি আক্তারের ঔদ্বত্যপূণর্ আচারণে বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগীতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান পন্ড হয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই শিক্ষিকা প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরন করে প্রতিযোগীতার রেজাল্ট শিট নিয়ে বাসায় চলে যাওয়ায় শিশু শিক্ষার্থীরা গভীর রাত পর্যন্ত অপেক্ষা করে পুরস্কার না পাওয়ায় অভিভাবকরা বিক্ষোভ করেছে। জানাগেছে সোমবার রাত ৮ টায় সাংস্কৃতিক প্রতিযোগীতা শেষে অনুষ্ঠানের সঞ্চালক সহকারী শিক্ষক মোঃ সুমন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আবুল কালাম আজাদের অনুমতি না নিয়ে পুরস্কার বিতরণের ঘোষনা দেয়।বিষয়টি নিয়ে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্যবৃন্দ ও স্থানীয়রা এর প্রতিবাদ করেন। পরে প্রধান শিক্ষক তার কক্ষ থেকে নিচে নেমে এসে সঞ্চালক সুমনকে তার অনুমতি না নিয়ে অনুষ্ঠান শেষ করার ঘোষনা দেওয়ায় বিষয়টি জানতে চান। ওই সময় সহকারী শিক্ষিকা লিপি আক্তার সহকারী শিক্ষক সুমনের পক্ষ নিয়ে প্রধান শিক্ষকের সাথে তর্কে জড়িয়ে পড়েন। এক পর্যায় প্রধান শিক্ষকের সাথে তিনি অশোভন আচারণ করেন।ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা এর প্রতিবাদ করলে লিপি তাৎক্ষণিক ভাবে প্রতিযোগীদের ফলাফলের রেজাল্ট শিট নিয়ে বাড়িতে চলে যান । এসময় তিনি তার কেউ কিছু করতে পারবেনা বলেও হুমকি দেয়। এসময় অভিভাবকরা বিক্ষোভ প্রদর্শণ করে ওই শিক্ষিকার বিচার দাবী করেন। প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীরা রাত ১০ টা পর্যন্ত পুরস্কারের অপেক্ষা করতে থাকে। গভীর রাত পর্যন্ত অপেক্ষা করে প্রতিযোগীরা পুরস্কার না পেয়ে হতাশ হয়ে বাড়িতে ফিরে যায়। এ বিষয়ে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ নুরুল ইসলাম তালুকদার জানান ওই শিক্ষিকার বেপরোয়া আচারন দুঃখজনক।প্রধান শিক্ষকের সাথে খারাপ আচারণ ও প্রতিযোগীদের রেজাল্ট শিট নিয়ে যাওয়া অমার্জনীয় অপরাধ।বিষয়টি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ আবুল কালাম আজাদকে অবহিত করা হয়েছে বলে জানা গেছে।উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হোসেন জানান বিষয়টি দুঃখ জনক হলেও দু’পক্ষকে নিয়ে বৈঠকে বসে সমঝোতা করে দেওয়া হয়েছে।