স্টাফ রিপোর্টার : ভারপ্রাপ্ত আমীর অধ্যাপক মুজিবুর রহমানসহ ১১ নেতার গ্রেফতারের প্রতিবাদে এবং অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ করেছে জামায়াতে ইসলামী। গতকাল সোমবার রাজধানীতে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি মাহফুজুর রহমান বলেছেন, সরকার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে রাজনৈতিক ও আদর্শিকভাবে মোকাবেলা করতে ব্যর্থ হয়ে দলন-পীড়নের পথ বেছে নিয়েছে। সে ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই ভারপ্রাপ্ত আমীরে জামায়াত ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান ও রাজশাহী মহানগরী আমীর প্রফেসর ড. আবুল হাশেমসহ ১১ নেতাকে সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে। কিন্তু জুুলুম-নির্যাতন চালিয়ে অতীতে কোন ফ্যাসিবাদী ও স্বৈরাচারি শক্তির শেষ রক্ষা হয়নি আর আওয়ামী লীগেরও হবে না। তিনি জামায়াতের শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান এবং অবিলম্বে আটককৃতদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন। অন্যথায় সরকারকে গণরোষের মুখোমুখী হতে হবে।
জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তর আয়োজিত এ বিক্ষোভ পরবর্তী সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। বিক্ষোভ মিছিলটি শ্যামলী থেকে শুরু হয়ে নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে ওভার ব্রিজের দক্ষিণ দিকে গিয়ে শেষ হয়। সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন, মহানগরী মজলিসে শূরা সদস্য ডা. শফিউর রহমান, নাসির উদ্দীন, মিজানুল হক, আব্দুল মতিন খান, সাইফুল কাদের ও আব্দুল আউয়াল আজম, শিবিরের ঢাকা মহানগরী পশ্চিমের সভাপতি আব্দুল আলীম, সেক্রেটারি জোবায়ের হোসেন রাজন ও ছাত্রনেতা বোরহান উদ্দিন প্রমুখ।
মাহফুজুর রহমান বলেন, জামায়াত একটি নিয়মতান্ত্রিক, গণতান্ত্রিক, সাংবিধানিক ও বৈধ রাজনৈতিক সংগঠন। জামায়াত দলীয় কার্যক্রম পরিচালনায় দেশের আইন, সংবিধান ও প্রচলিত নিয়ম অনুসরণ করে আসছে। কিন্তু পুলিশ সম্পূর্ণ ন্যক্কারজনকভাবে ভারপ্রাপ্ত আমীরে জামায়াতের নেতৃত্বে ঘরোয়া বৈঠক চলাকালে তিনিসহ ১১ নেতাকে গ্রেফতার করেছে। যা আইনের শাসন, মানবাধিকার ও রাষ্ট্রীয় সংবিধানের মারাত্মক লঙ্ঘন। তিনি সরকারকে বিরাজনীতিকরণের পথ পরিহার করে গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক শাসনে ফিরে আসার আহবান জানান। অন্যথায় জনগণ ফ্যাসীবাদী সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলবে।
তিনি বলেন, সরকার দেশকে নেতৃত্বশূন্য করে করদরাজ্য বানানোর জন্যই দেশপ্রেমী জাতীয় নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। এ সরকারের আমলেই জামায়াতকে নেতৃত্ব শূন্য করার জন্য পরিকল্পিতভাবে শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে ফরমায়েসীবাদী বাদী, সাজানো সাক্ষী ও দলীয় প্রসিকিউশনের মাধ্যমে প্রসহন করে সাবেক অমীরে জামায়াত মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী, সাবেক সেক্রটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, সাবেক সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ কামারুজ্জামান ও আব্দুল কাদের মোল্লা এবং সাবেক কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মীর কাসেম আলীকে নির্মম ও নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করেছে। কিন্তু নেতৃবৃন্দকে হত্যা করে, জুলুম-নির্যাতন চালিয়ে জামায়াতের অগ্রযাত্রা অতীতে রুদ্ধ করা যায়নি আর কখনো যাবেও না। তিনি সরকারের গণবিরোধী ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় দলমত, ধর্মবর্ণ নির্বিশেষে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ: মহানগরী কর্মপরিষদ সদস্য শামশুর রহমানের নেতৃত্বে বিকাল ৪টায় রাজধানীর খিলগাঁও রেলগেট এলাকায় এক বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ। মিছিলটি রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
বিক্ষোভ মিছিল পরর্বতী সংক্ষিপ্ত সমাবেশে শামশুর রহমান বলেন, সরকার দেশ থেকে নির্বাচন ও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে নির্বাসনে পাঠিয়ে দেশে একদলীয় শাসন কায়েমের জন্য গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। আর তা বাস্তবায়নের লক্ষেই সারা দেশে জামায়াতসহ বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীদের অব্যাহতভাবে গ্রেফতার করছে। জামায়াতের নেতা-কর্মীদের গ্রেফতারের মধ্য দিয়ে সরকারের একদলীয় ফ্যাসিবাদী চরিত্রই অত্যন্ত নগ্নভাবে ফুটে উঠেছে।
তিনি আরও বলেন, জামায়াত একটি নিয়মতান্ত্রিক, গণতান্ত্রিক, সাংবিধানিক ও বৈধ রাজনৈতিক সংগঠন। জামায়াত দলীয় কার্যক্রম পরিচালনায় দেশের আইন, সংবিধান ও প্রচলিত নিয়ম অনুসরণ করে আসছে। কিন্তু পুলিশ সম্পূর্ণ ন্যাক্কারজনকভাবে ঘরোয়াভাবে কুশল বিনিময়ের সময় আমীরে জামায়াতসহ জামায়াত নেতৃবৃন্দকে গ্রেফতার করেছে। যা আইনের শাসন, মানবাধিকার ও রাষ্ট্রীয় সংবিধানের মারাত্মক লঙ্ঘন। তিনি সরকারকে বিরাজনীতিকরণের পথ পরিহার করে গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক শাসনে ফিরে আসার আহবান জানান। অন্যথায় জনগণ ফ্যাসিবাদী সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলবে বলে হুশিয়ারী দেন।
বিক্ষোভ মিছিলে উপস্থিত ছিলেন- মহানগরী কর্মপরিষদ সদস্য কামাল হোসেন, মহানগরী মজলিসে শূরা সদস্য আমিনুর রহমান, সগির বিন সাইদ, মাহবুবুর রহমান, মহিব্বুল হক ফরিদ, আবু আব্দুল্লাহ ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাকা মহানগরী পূর্বের সভাপতি সোহেল রানা মিঠু, ঢাকা কলেজ সভাপতি মেহেদী হাসান সানি, শিবির ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ সেক্রেটারি তারিক মাসুম, জামায়াত নেতা মুতাসিম বিল্লাহ, আব্দুস সাত্তার সুমন, ছাত্রনেতা হাফিজুর রহমান প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
সিলেট ব্যুরো : সিলেট মহানগর জামায়াত নেতৃবৃন্দ বলেছেন, ক্ষমতার মোহে আওয়ামী লীগ সরকার উন্মাদ হয়ে পড়েছে। তারা হিতাহিত জ্ঞান ভুলে বিরোধী রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের উপর গ্রেফতার নির্যাতনের স্টীম রোলার চালাচ্ছে। গতকাল সোমবার ভারপ্রাপ্ত আমীরে জামায়াত সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমানসহ জামায়াত নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের প্রতিবাদে নগরীতে তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ মিছিল বের করে সিলেট মহানগর জামায়াত। মিছিল পরবর্তী সংক্ষিপ্ত সমাবেশে নেতৃবৃন্দ উপরোক্ত কথা বলেন।
তারা বলেন, আদর্শিক মোকাবেলায় ব্যর্থ হয়ে ষড়যন্ত্রমুলক মিথ্যা মামলায় ইতোমধ্যে জামায়াতের আমীর মকবুল আহমদ ও সেক্রেটারী জেনারেল ডা. শফিকুর রহমানসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে। অসুস্থ মাকে দেখতে গিয়ে রাজশাহী থেকে জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমীর সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মুজিবুর রহমানসহ নিরীহ নেতাকর্মীদের গ্রেফতার সরকারের চরম অমানবিক আচরণ।
বিক্ষোভ মিছিলে উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন- সিলেট মহানগর জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি মো: শাহজাহান আলী, জামায়াত নেতা হাফিজ মশাহিদ আহমদ, মু. আজিজুল ইসলাম, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সিলেট মহানগরী সভাপতি নজরুল ইসলাম ও সেক্রেটারী ফরিদ আহমদ প্রমুখ। নেতৃবৃন্দ বলেন- আওয়ামী লীগ পুরনো পথে বন্দুকের নলের জোরে ক্ষমতা দখলের ষড়যন্ত্র করছে। আর এই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই একের পর এক জামায়াতের শীর্ষ নেতৃবৃন্দদের অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করে কারাগারে আটকে রেখেছে। জুলুম-নিপীড়ন চালিয়ে পৃথিবীতে কোন স্বৈরাচারী জালিম সরকার ক্ষমতায় ঠিকে থাকতে পারেনি। সবাইকে লজ্জাজনক পরিনতি বরণ করতে হয়েছে। সময় থাকতে সরকারের শুভ বুদ্ধির উদয় না হলে বাকশালীদের কঠোর মুল্য দিতে হবে। অবিলম্বে আমীরে জামায়াত মকবুল আহমদ, সেক্রেটারি জেনারেল ডা. শফিকুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত আমীর অধ্যাপক মুজিবুর রহমানসহ ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় কারাগারে আটক সকলকে মুক্তি দিতে হবে।
রাজশাহী অফিস : ভারপ্রাপ্ত আমীরে জামায়াত অধ্যাপক মজিবুর রহমানসহ ১১ জামায়াত নেতাকে ঘরোয়া প্রোগ্রাম চলা কালে কোনপ্রকার মামলা ছাড়াই অন্যায়ভাবে গ্রেফতারের প্রতিবাদে দেশব্যাপী কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে নগরীর কোর্ট বাজারে গতকাল বিকাল ৩টায় এক বিক্ষোভ মিছিল করে জামায়াতের রাজশাহী মহানগরী শাখা।
মিছিল উত্তর সমাবেশে জামায়াত নেতৃবৃন্দ বলেন, মিছিল মিটিং করা এদেশের প্রত্যেক নাগরিক ও দলের গণতান্ত্রিক এবং সাংবিধানিক অধিকার। সেই অধিকারকে হরণ করে সরকার জামায়াতের প্রতি প্রতিহিংসা চরিতার্থ করছে। আসলে সর্বক্ষেত্রে ব্যর্থ এই সরকার দিশেহারা হয়ে জনগণের দৃষ্টিকে ভিন্ন দিকে ফেরাতে বিরোধীদলের নেতা-কর্মীদের ওপর হত্যা, নির্যাতন, গ্রেফতার-অভিযান চালাচ্ছে। তারা পুলিশ বাহিনীকে দলীয় কর্মীর মত ব্যবহার করছে। নেতৃবৃন্দ অন্যায়ভাবে গ্রেফতারকৃত জামায়াত নেতাদের মুক্তি দাবী করেন এবং সরকার ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সকল সদস্যকে সংযত, গণতান্ত্রিক ও সভ্য আচরণের জন্য আহ্বান জানান।
নিন্দা ও প্রতিবাদ
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমীর অধ্যাপক মজিবুর রহমানসহ ১১ জনকে রাজশাহীর হেতেমখাঁ এলাকার একটি বাড়ি থেকে ঘরোয়া প্রোগ্র্রাম চলাকালে গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা জানিয়ে গতকাল সোমবার এক বিবৃতি দেন জামায়াতের রাজশাহী মহানগরীর নায়েবে আমীর প্রফেসর এম নজরুল ইসলাম ও এ্যাডভোকেট আবু মোহাম্মাদ সেলিম। বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, “বর্তমান আওয়ামী সরকার জামায়াতে ইসলামীকে ধ্বংস করতে মরিয়া হয়ে কাজ করছে। সরকার নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতেই জামায়াতে ইসলামীসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের উপর নির্যাতন করছে। গুপ্তহত্যা, মামলা-হামলা ও গ্রেফতারের মাধ্যমে ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে চাচ্ছে। বর্তমানে দেশে আইনের শাসন বলতে কিছু নেই। সর্বত্র দলবাজি আর বিশৃংঙ্খল অবস্থা বিরাজ করছে। প্রশাসনে চেইন অব কমান্ড ভেঙে পড়েছে। মানুষের জান-মালের নিরাপত্তা নেই। জনগণের মত প্রকাশের স্বাধীনতা নেই, নেই সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতাও। সরকার ক্ষমতাকে দীর্ঘস্থায়ী ও পাকাপোক্ত করতে বিরোধী দল-মত সহ্য করতে পারছে না। বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের দমন-নিপীড়নের মাধ্যমে কোণঠাসা করে একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সরকার একের পর এক অগণতান্ত্রিক কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে। নেতৃদ্বয় অবিলম্বে ভারপ্রাপ্ত আমীরে জামায়াত অধ্যাপক মজিবুর রহমানসহ সকল নেতৃবৃন্দের মুক্তি দাবি করেন।
চট্টগ্রাম অফিস: বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমীর ও জাতীয় সংসদের সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমানসহ রাজশাহীর জামায়াত নেতৃবৃন্দকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে ও অবিলম্বে নি:শর্ত মুক্তির দাবীতে জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগরী তাৎক্ষণিক এক বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করেছে।
বিক্ষোভ মিছিলপূর্ব সমাবেশে নগর জামায়াত নেতৃবৃন্দ বলেন, আওয়ামীলীগ সরকার আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য জামায়াত নেতৃবৃন্দকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করে মিথ্যা মামালায় জাড়িয়েছে। নেতৃবৃন্দ বলেন, সরকার জামায়াত ও ২০ দলীয় জোট নেতৃবৃন্দকে গ্রেফতার করে আবারও ভোটার বিহীন নির্বাচন করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়। চট্টগ্রাম মহানগরী জামায়াত নেতৃবৃন্দ, অবিলম্বে গ্রেফতারকৃত ভারপ্রাপ্ত আমীরে জামায়াত অধ্যাপক মুজিবুর রহমানসহ সকল নেতৃবৃন্দের নি:শর্ত মুক্তির দাবী জানান।
চট্টগ্রাম মহানগরী জামায়াতের প্রচার সম্পাদক মোহাম্মদ উল্লাহ্র সভাপতিত্বে বায়েজিদ থানার আতুরার ডিপোতে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, নগর উত্তর ছাত্রশিবিরের সভাপতি আবু সালেহ আদনান, জামায়াত নেতা মুহাম্মদ ইসমাইল, মাহবুবুল হাসান ও আবুল মনছুর প্রমুখ। সমাবেশ শেষে এক বিক্ষোভ মিছিল বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে হামজারবাগ গিয়ে শেষ হয়।
খুলনা অফিস ঃ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও খুলনা মহানগরী আমীর মাওলানা আবুল কালাম আজাদ বলেছেন, সরকার পরিকল্পিতভাবে গণগ্রেফতার, গণহত্যা, নির্যাতন ও বিরোধী নেতাকর্মীদের বাড়িতে হামলা, ভাংচুর করে দেশকে এক ভয়াবহ নৈরাজ্যের দিকে ঠেলে দিয়েছে। যা কোন গণতান্ত্রিক দেশের জন্য কাম্য নয়। সরকার পরিকল্পিতভাবে রাতের অন্ধকারে বাড়িতে হামলা চালিয়ে জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্র শিবিরের নেতাকর্মীদের প্রতিনিয়ত গ্রেফতার করছে। তিনি বলেন এ ধরণের জুলুম, নিপিড়ন ও গ্রেফতার করে সরকারের শেষ রক্ষা হবে না।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমীর অধ্যাপক মুজিবুর রহমানসহ ১০জন নেতা-কর্মীকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচীর অংশ হিসেবে গতকাল রোববার খুলনা মহানগরী জামায়াতের উদ্যোগে নগরীতে বিক্ষোভ মিছিল শেষে সমাবেশে তিনি এ সব কথা বলেন।
বিক্ষোভ মিছিলে আরো উপস্থিত ছিলেন ইবনে ইসহাক, এ্যাডঃ মনিরুল ইসলাম, এম এম রহমান, শিবির নেতা হাবিবুর রহমান, মোশাররফ আনসারী, হেলাল উদ্দীন, টুকু প্রমুখ।
মাওলানা আবুল কালাম আজাদ বলেন, কোন প্রকার উসকানি ছাড়াই অন্যায়ভাবে শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে গ্রেফতার করেছে। সরকারের দমন, পীড়ন, জুলুম, নির্যাতন, নিপীড়ন থেকে কোন মানুষ আজ নিরাপদ নয়। বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ভিড়ে জেলে তিল ধারণের ঠাঁই নেই। এ সরকার গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। আওয়ামী সরকারের হাতে দেশের মানুষের জান-মালের কোন নিরাপত্তা নেই। সরকার গোটা দেশকেই বৃহৎ কারাগারে পরিণত করেছে। সরকার রাজনৈতিক অসৎ উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার জন্য গণহারে গ্রেফতার চালাচ্ছে। এই গ্রেফতারের অংশ হিসেবেই ভারপ্রাপ্ত আমীরের জামায়াতসহ নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হয়েছে। নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে আটককৃত নেতাকর্মীদের মুক্তি দাবি করেন।
কুমিল্লা অফিস : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমীর ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মুজিবুর রহমানকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে কুমিল্লায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে মহানগরী জামায়াতে ইসলামী।
গতকাল সোমবার বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে নগরীতে মিছিলটি বের করে।
জানা যায়,কুমিল্লা মহানগরী জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি মাহবুবর রহমানের নেতৃত্বে মিছিলটি শুরু করে। সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ করে।
এসময় বিক্ষোভ মিছিলে অংশগ্রহণ করেন মহানগরী জামায়াত নেতা আবদুল কাউয়ুম মজুমদার,কাজী নজীর আহম্মেদ,তাসলিমুর রহমান মিয়াজী, কুমিল্লা মহানগরী ছাত্রশিবির সভাপতি হাবিবুর রহমান মজুমদার সহ আরো অনেকে।
টাঙ্গাইল সংবাদদাতা ঃ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় ভারপ্রাপ্ত আমীর সাবেক এম.পি. অধ্যাপক মুজিবর রহমান সহ ১০ নেতার গ্রেফতারের প্রতিবাদে গতকাল সোমবার প্রতিবাদ বিক্ষোভ মিছিল করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী টাঙ্গাইল শহর শাখা। শহর আমীর অধ্যাপক মিজানুর রহমান চৌধুরী, সদর জামায়াতের সেক্রেটারি মোঃ শরীফুল ইসলাম শিবির নেতা তানজিল ও নূর মোহাম্মদের নেতৃতে বাদ মাগরিব শহরের মসজিদ রোডে এ বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
Check Also
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারই তত্ত্বাবধায়ক সরকারে রূপান্তরিত হতে পারে : অ্যাটর্নি জেনারেল
র্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারই নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারে রূপান্তরিত হতে পারে বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল …