উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ

টান টান উত্তেজনাকর ম্যাচে ২ উইকেটে জিতে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে উঠে গেল বাংলাদেশ। শেষ ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ১২ রান। নির্ধারিত ওভারে ১ বল হাতে রেখেই মাহমুদউল্লাহর ছক্কায় জয় নিশ্চিত করে টাইগাররা। এর মাধ্যমে টাইগারদের ফাইনাল ম্যাচ নিশ্চিত হয়েছে। ১৮ মার্চ ফাইনালে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ভারত।

শুক্রবারের ম্যাচের পরতে পরতে রং বদলায়। বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে শুরুতে ৩৩ রানে দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যাওয়া বাংলাদেশ দলকে খেলায় ফেরান তামিম ইকবাল ও মুশফিকুর রহিম। তৃতীয় উইকেটে তারা ৬৪ রানের জুটি গড়ে বাংলাদেশকেজয়ের স্বপ্নও দেখান।

এরপর ১২ রানের ব্যবাধানে সেট ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম,তামিম ইকবাল এবংসৌম্য সরকার আউট হলে বিপদে পড়ে যায় বাংলাদেশ। দলের প্রয়োজনের মুহুর্তে দায়িত্বশীল ব্যাটিং করতে পারেননি সাকিব অাল হাসানও।

জয়ের জন্য শেষ ১২ বলে বাংলাদেশের প্রয়োজন ২৩ রান। এমন অবস্থায় দলকে জয় এনে দেয়ার জন্য অনেক চেষ্টা করেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তাকে সঙ্গ দেয়া মেহেদী হাসান মিরাজ ফেরেন ১৯তম ওভারের শেষ বলে। শেষ ওভারে জয়ের জন্য ১২ রান। এমন কঠিন মুুহুর্তে দলকে

৪২ বলে ৪ বাউন্ডারি এবং ২ ছক্কায় ৫০ রান তুলে নিতেই বিপদে পড়ে যান তামিম। আন্তর্জাতিকটি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে নিজের পঞ্চম ফিফটি তুলে নিতেই গুনাথিলাকার বলে বিভ্রান্ত হন দেশ সেরা এই ওপেনার।

দলকে জয়ের স্বপ্ন দেখিয়ে বিপদে পড়ে যান তামিম। তার বিদায়ের পর দ্রুত আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন সৌম্য।

এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশ দলের সংগ্রহ ১৫.২১ ওভারের খেলা শেষে ৫উইকেট হারিয়ে ১১১ রান।

৩৩ রানে দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়েছে বাংলাদেশ দল। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের চেষ্টা করছেন তামিম ইকবাল ও মুশফিকুর রহিম।

স্কোর বোর্ডে ১১ রান যোগ করেই সাজঘরে ফেরেন লিটন কুমার দাস। তার বিদায়ের পর খেলায় ফিরতে না ফিরতেই ফের বিপদে পড়ে যান সাব্বির রহমান। সাব্বির স্টাম্পিং হওয়ার আগে ৮ বলে ১৩ রান করলেও রানের খাতা খোলার সুযোগ পাননি ৩ বল খেলা লিটন।

এর আগে বোলিংয়ে শুরুটা ভালো হলেও শেষটা ভালো হয়নি বাংলাদেশ দলের। ৪১ রানে শ্রীলংকার ৫ উইকেট তুলে নিয়ে স্বাগতিকদের বিপদে ফেলে দেন সাকিব-মোস্তাফিজ-মিরাজরা। কিন্তু এই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারেননি টাইগাররা।ষষ্ঠ উইকেটে ১০.১ ওভারে ৯৭ রানের জুটি গড়ে দলকে বড় সংগ্রহের পথে নিয়ে যান দু্ই পেরেরা। কুশল এবং থিসেরা পেরেরার দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৫৯ রান তুলে নেয় শ্রীলংকা। বাংলাদেশ দলের হয়ে দুই উইকেট নেন মোস্তাফিজুর রহমান। একটি করে উইকেট নেন সাকিব, মিরাজ, সৌম্য ও রুবেল।

সময়ের ব্যবধানে উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে পড়া শ্রীলংকাকে খেলায় ফেরান কুশল পেরেরা ও থিসেরা পেরেরা। ষষ্ঠ উইকেটে ১০.১ ওভারে ৯৭ রানের জুটি গড়ে দলকে বড় সংগ্রহের পথে নিয়ে যান দু্ই পেরেরা। ৪০ বলে ৭ চার ও এক ছক্কায় ৬০ রান করা কুশল পেরেরাকে ফেরান অনিয়মিত মিডিয়াম পেস বোলার সৌম্য সরকার।

সৌম্যকে বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে মেহেদী হাসান মিরাজের ক্যাচে পরিণত হন কুশল। ইনিংস শেষ হওয়ার ১০ বল আগে মাঠ ছাড়েন লংকান এই ড্যাশিং ব্যাটসম্যান। এরপর ইনিংসের শেষ হওয়ার ৪ বল আগে ৩৭ বলে ৩ চার ও সমান ছক্কায় ৫৮ রান করা থিসেরাকে ফেরান রুবেল হোসেন। কুশল এবং থিসেরা পেরেরার দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৫৯ রান তুলে নেয় শ্রীলংকা। বাংলাদেশ দলের হয়ে দুই উইকেট নেন মোস্তাফিজুর রহমান। একটি করে উইকেট নেন সাকিব, মিরাজ, সৌম্য ও রুবেল।

শুক্রবার শ্রীলংকার কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে ত্রিদেশীয় সিরিজের বাঁচা-মরার লড়াইয়ের ম্যাচে মুখোমুখি হয় শ্রীলংকা-বাংলাদেশ। এদিন টসে জিতে আগে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।

বাঁচা মরার লড়াইয়ের ম্যাচে শুরুতেই আউট লিটন কুমার দাস। শ্রীলংকার বিপক্ষে ১৬০ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে শুরুতেই আউট হয়ে সাজঘরে ফিরেছেন বাংলাদেশ দলের এই ওপেনার। ১১ রানে প্রথম উইকেট হারিয়ে চাপের মধ্যে পড়ে যাওয়া দলকে উত্তরণের চেষ্টা করছেন তামিম ইকবাল ও সাব্বির রহমান রুম্মন।

ইনিংসের শুরুতে বোলিংয়ে এসে বাংলাদেশ দলকে ব্রেক থ্রু এনে দেন সাকিব আল হাসান। ইনজুরি কাটিয়ে দলে ফিরেই চমক দেখান বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার। শুরুতে উইকেট তুলে নিয়ে টাইগার শিবিরে আত্মবিশ্বাস ফেরান সাকিব। ২.১ ওভারে ১৫ রানে ওপেনার গুনাথিলাকার উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় স্বাগতিকরা। সাকিবের দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলটি বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে সাব্বির রহমান রুম্মনের তালুবন্দি হন গুনাথিলাকা। সাজঘরে ফেরার আগে ৪ রান করেন লংকান এই ওপেনার।

১৪ বলে ১১ রান করা অন্য ওপেনার কুশল মেন্ডিসকে ক্যাচ তুলে দিতে বাধ্য করেন মোস্তাফিজ। উপল থারাঙ্গাকে রানআউটে ফেলেন কাটার মাস্টার। এরপর দাসুন শানাকে সাজঘরে পাঠান মোস্তাফিজ। লংকান শিবিরে এরপর আঘাত হানেন অফ স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ। তার বলে মোস্তাফিজের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে বিদায় নেন জীবন মেন্ডিস।

৪১ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়া দলকে টেনে তুলেন কুশল পেরেরা ও থিসেরা পেরেরা। ষষ্ঠ উইকেটে তারা ৯৭ রানের জুটি গড়ে দলকে বড় সংগ্রহের পথে নিয়ে যান।

Check Also

ঢাকা প্রসঙ্গে বদলাতে পারে ভারতের পররাষ্ট্রনীতি

পাঁচ দশকের বিরতির পর গত মাসে বাংলাদেশের বন্দর নগরী চট্টগ্রামে একটি পাকিস্তানি পণ্যবাহী জাহাজ ডক …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।