ডুমুরিয়া মেয়ে আমেনা খাতুনকে সাতক্ষীরায় হত্যার অভিযোগ

চুকনগর (খুলনা) প্রতিনিধি: ডুমুরিয়ার মেয়ে আমেনা খাতুনকে সাতক্ষীরায় যৌতুকের দাবিতে গর্ভাবস্থায় পিটিয়ে হত্যা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আমেনা বেগমের মৃত্যুর সংবাদ শুনে পরিবারের লোকজন তার স্বামীর বাড়িতে গেলে তাদেরকেও পিটিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় বাড়িতে আটকে রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরে পরিবারের লোকজন সাতক্ষীরা সদর থানায় মামলা করতে আসলে মামলা না নিয়ে তাদেরকে ফেরত দেয়া হয়েছে।

ডুমুরিয়া উপজেলার রানাই গ্রামের পীর আলী মোল্যার পুত্র ও নিহত আমেনা বেগমের ভাই সাদ্দাম হোসেন সাগর জানায়, প্রায় দেড় বছর আগে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আগরদাড়ি গ্রামের তরিকুল ইসলামের সাথে তার বোন আমেনা বেগমের বিবাহ হয়। বিবাহের পর থেকে তার বোনের সাথে স্বামী তরিকুল ইসলাম, তার বড় ভাইয়ের স্ত্রী মমতাজ বেগম ও তার মায়ের সাথে প্রায়ই ঝগড়া বিবাদ হত। বিবাহের সময় তা তরিকুলকে যৌতুক হিসেবে নগদ টাকাসহ প্রায় ২ লক্ষাধিক টাকার মালামাল দেয়। তারপরও তারা সময়ে অসময়ে তার বোনকে পিতার বাড়ি থেকে টাকা আনার জন্য চাপ প্রয়োগ করাসহ অনেকবার তাকে মারপিট করে আহত করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৬মার্চ তাদের স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হলে আমেনাকে বেদম মারপিট করে তার স্বামী সহ পবিবারের লোকজন। এক পর্যায়ে তিনি জ্ঞান হারায়। অল্প কিছুক্ষণের মধ্যে আমেনা (২০) মারা যায়। সাদ্দাম হোসেন আরও জানায় তার বোন মারা যাওয়ার পর তাকে গলায় রশি দিয়ে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। সংবাদ শুনে তারা বোনের বাড়িতে গেলে তাকেসহ তার পরিবাবের লোকজনকে পিটিয়ে জখম করা হয় এবং তাদের আটকে রেখে সাদা কাগজে সাক্ষর করানো চেষ্টা করা হয়। এদিকে নিহত আমেনা বেগমের গলায়,পেটে ও পিঠে মারার অসংখ্য চিহৃ পাওয়া গেছে বলে জানান তিনি। বিকালে সাতক্ষীরা সদর থানার পুলিশ লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেন। কিন্তু এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় পর ৯দিন অতিবাহিত হলেও নিহত আমেনা বেগমের পরিবার মামলা করার জন্য সাতক্ষীরা সদর থানায় বারবার যাওয়ার পরও তাদের মামলা পুলিশ নেয়নি বলে জানান তার ভাই সাদ্দাম হোসেন। এব্যাপার ঐ ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান মজনু মালি বলেন, শুনেছি একজন মহিলা মারা গেছেন। কিন্তু কিভাবে মারা গেছেন এটা আমি সঠিকভাবে জানি না। এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা সদর থানার ওসির সরকারি নম্বরে ফোন করা হলে তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি। তাই নিহত আমেনা বেগমের পরিবার মামলা নেয়াসহ সুষ্ঠু বিচারের জন্য জেলা পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

Check Also

প্রত্যেকটা অফিসের কেরানি পর্যন্ত ফ্যাসিবাদের দোসর : আসিফ মাহমুদ

যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।