সৈয়দপুর (নীলফামারী) সংবাদদাতা : সৈয়দপুরে গৃহবধূর সাথে আপত্তিকর অবস্থায় ছাত্রলীগের নেতাকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে এলাকাবাসী। পরদিন পুলিশ আটক গৃহবধূ ও ছাত্রলীগ নেতাকে ছেড়ে দেয়ায় জনমনে দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন। এ নিয়ে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে।
গত বুধবার রাতে থানা থেকে ১শ’ গজ দূরে শহরের আতিয়ার কলোনীর রেল কোয়ার্টারে সাথী নামে জনৈক গৃহবধূর সাথে আপত্তিকর অবস্থায় সেলিম আলমকে আটক করে এলাকাবাসী। আটক সেলিম নিজেকে সৈয়দপুর উপজেলা ছাত্রলীগের নেতা হিসেবে পরিচয় দেয়। ওই সময় বাসার একটি তালাবন্ধ স্টীলের আলমারির ভিতর থেকে তাকে আটক করা হয়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে উভয়কে এ অনৈতিক কর্মকা-ের দায়ে থানায় নিয়ে যায়। অভিযোগ উঠেছে, অর্থের বিনিময়ে পরদিন বৃহস্পতিবার তাদেরকে থানা থেকে ছেড়ে দেয়া হয়। আর এ খবরে সরব হয়ে উঠে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্থানীয় আওয়ামী রাজনীতির নেতাকর্মীরাসহ বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষের।
সৈয়দপুর পৌর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রফিকুল ইসলাম বাবু স্ট্যাটাসে উল্লেখ করেছেন, নোংরা ওই ছেলেটি আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ক্যামেরা হাতে দেখা যায়। সেলফি তুলে নিজেকে দলীয় কর্মী হিসেবে জাহির করতে চায়। তাকে কেউ যেন প্রশ্রয় না দেয়, সেজন্য সকলকে তিনি সাবধান করে দেন।
ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শেখ সোহাগ লিখেছেন, যে সরিষা দিয়ে ভুত তাড়াবেন, সেই সরিষাতে ভুতের বসত বাড়ি।
রিজভী শেখ নামে একজন বলেছেন, সাধারণ সম্পাদকের ছোট ভাই, তাই মনে হয় থানায় গিয়ে সেলিমকে ছাড়িয়ে আনতে গেছেন। সাধারণ সম্পাদক এই রকম একটি জঘন্যতম কাজ করে আজকে ছাত্রলীগের বদনাম করলেন।
রাজিব খান নামে একজন লিখেছেন, এই সেই ছেলেটি কয়েক মাস আগে মেয়েদের হাতে চড় খেয়েছেন।
সৈয়দপুর পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সিফাত সরকার উল্লেখ করেছেন, সেলিম পৌর ছাত্রলীগের সাথে জড়িত নয়।
তবে সৈয়দপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নজির হোসেন সংবাদ মাধ্যমকে জানান, সেলিম ছাত্রলীগের সাথে জড়িত নয়। সে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের ফটোগ্রাফার। ব্যানারে তার ছবি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমার ছবি দিয়ে ব্যানার টাঙ্গানোর বিষয়টি আমার জানা নেই।
সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শাহজাহান পাশা আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আটক সেলিমের বয়স কম এবং প্রতিপক্ষের কোন প্রকার অভিযোগ না থাকায় ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য যে, ছাত্রলীগের পরিচয়দানকারী সেলিম ইতোপূর্বে নতুন বাবুপাড়ার এক হিন্দু শিক্ষকের, সৈয়দপুর রেলওয়ে স্টেশন মাস্টারের ও রেলওয়ে কারখানার জনৈক নিরাপত্তা কর্মীর মেয়েকে উত্ত্যক্ত করার দায়ে গণধোলাইয়ের শিকার হয়। সে বর্তমানে লায়ন্স স্কুল এন্ড কলেজের এইচএসসির বাণিজ্য বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র।