সাত বছরের এক শিশুকে মাটিতে আছড়ে ফেলে কাস্তে (ধান কাটার কাঁচি) দিয়ে হাতের তিনটি আঙুল কেটে দিয়েছেন আবদুল অদুদ নামে এক যুবলীগ নেতা।
আবদুল অদুদ সুলেমানপুর গ্রামের জমির উদ্দিনের ছেলে। তিনি ২৮ নম্বর প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির (পিআইসি) সভাপতি ও ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক।
স্থানীয়রা জানান, বিকালে সহপাঠীদের নিয়ে বাঁধের ওপর খেলছিল সুলেমানপুর গ্রামের শাহনুর মিয়ার ছেলে স্থানীয় মাদ্রাসার প্রথম শ্রেণির ছাত্র ইয়াহিন। বাঁধে গড়াগড়ি খেলে তা দেখে ফেলেন আবদুল অদুদ।
তাকে ধাওয়া করে ধরে মাটিতে কয়েকবার আছাড় মারেন। ইয়াহিন তার পা ধরে ক্ষমা চাইলেও মন গলেনি। এরপর কাঁচি দিয়ে শিশুটির ডান হাতের তিনটি আঙল কেটে ফেলে দেন। স্থানীয়রা তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়। কিন্তু অবস্থার অবনতি হলে রাতে তাকে জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
শাহনুর বলেন, বেড়িবাঁধে গড়াগড়ি দেয়ার অপরাধে আমার শিশু সন্তানের তিনটি আঙুল কেটে দিল যুবলীগ নেতা অদুদ। এখন কী করে আমার ছেলে লেখাপড়া করবে? আমি গরিব মানুষ, ওর চিকিৎসা করাব কীভাবে?
জানতে চাইলে আবদুল অদুদ যুগান্তরের কাছে প্রথমে অস্বীকার করেন। পরে বলেন, ভাই আমার মাথা ঠিক ছিল না। রাগের মাথায় ঘটনাটা ঘটিয়ে ফেলেছি।
তাহিরপুর থানার ওসি নন্দন কানি ধর যুগান্তরকে বলেন, খবর পেয়ে রাতে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি যুগান্তর