দেশ বাসিকে কাঁদিয়ে বীরের মত লড়াই করে হেরে গেল বাংলাদেশ

ক্রাইমবার্তা ডেস্করিপোর্ট:     শেষ বলে দরকার ছিল পাঁচ রান। সেখানে সৌম্য সরকারের অফের বল ছক্কা হাঁকিয়ে জয় ছিনিয়ে নিলো ভারত। চার উইকেটে জিতলো ভারত। ৮ বলে ২৯ রান করলেন কার্তিক।

এক ওভারেই খেলায় ভারত
১৯তম ওভারে ২২ রান নিয়ে খেলায় ফিরলো ভারত। দীনেষ কার্তিক নেমেই ছয় বলে নেন ২২ রান। শেষ ওভারে ভারতের দরকার আর ১২ রান।
১৮তম ওভারে মোস্তাফিজের দারুণ বলে খেলায় ফিরলো বাংলাদেশ।
২ ওভারে ভারতের চাই ৩৪ রান। এই ওভারে তিনি মাত্র এক রান দিয়ে নেন পান্ডের উইকেট। ভারতের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ১৩৩/৫।
১৭ ওভারে রান ভারতের ১৩২/৪। ১৮ বলে দরকার ৩৫ রান।
২৪ বলে ভারতের চাই ৪৪ রান
১৬ ওভার শেষে ভারত ১২৩/৪। ২৪ বরে চাই আর ৪৪ রান।
রোহিতও আউট, সতর্ক ভারত
১৫ ওভার শেষে ভারত ১১৫/৪। সৌম্য সরকারের প্রথম ওভারে ১১ রান নিয়ে ঘুরে দাঁড়ালো ভারত। তার আগে রোহিত আউট হলে থমকে যায় ভারত। রোহিত ৪২ বলে ৫৬ রান করে নাজমুলের বলে কট হন।
নাজমুল চার ওভারে দেন ৩২ রান। সাকিব চার ওভার শেষে রান দেন ২৮ রান। এর মধ্যে শেষ ওভারে দেন মাত্র ২ রান। ১৩ ওভার শেষে ভারতের সংগ্রহ ৯৭/৩। ৩৫ বলে ৫০ রান করেন রোহিত। সঙ্গে আছেন মনিষ পান্ডে। আগের খেলায় তিনি বাংলাদেশের বিপক্ষে ৮৯ রান করে রানআউট হয়েছিলেন। রুবেল ৩ ওভারে ১৩ রান দিয়ে নেন দুই উইকেট। নাজমুল ৩ ওভার দিয়েছেন ২৫ রান।
আরেক উইকেট রুবেলের
লোকেশ রাহুল দারুণ শট নিলেও রুবেলের বলে সীমানার কাছে ধরা পড়ে যান সাব্বিরের হাতে। ১৪ বলে ২৪ রান করেছিলেন তিনি। ভারত তখন ৮৩/৩। ১০ ওভার শেষে ভারতের সংগ্রহ ৮৪/৩। রোহিত খেলছেন ৪৮ রানে।
আক্রমণে রোহিত শর্মা
রোহিত শর্মার মারমুখি ব্যাটিংয়ে এগিয়ে চলেছে ভারত। ৫.২ ওভারে ৫০ রান করে ভারত। ৬ ওভার শেষে ভারত ৫৬/২। রোহিত ২০ বলে ৩৮। চারটি চার আর তিনটি ছক্কা মারেন তিনি।
নাজমুল ইসলামের করা পঞ্চম ওভারে ১১ রান নিলো ভারত। একটি ছক্কা আর একটি চার মারেন রোহিত। ১৬ বলে ৩২ রান রোহিতের। তিনটি করে ছক্কা আর চার মারেন তিনি।
দ্উুইকেট হারিয়ে চাপে ভারত
আক্রমণাত্মক শুরু করলেও ৩২ রানে  দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়েছে ভারত। রোহিত শর্মা আর শিখর ধাওয়ান দারুণ শুরু করেন। তবে সাকিবের বলে প্রথম ধরা পড়ে ফিরে যান শিখর। ৭ বলে ১০ রান করা ধাওয়ান বদলি ফিল্ডার আরিফুলের হাতে ধরা পড়েন। একই রানের মাথায় রুবেলের বলে রায়না কোন রান করার আগেই কট বিহাইন্ড হন। চার ওভার শেষে ভারত ২ উইকেটে ৩৭।

জয়ের আশা জাগিয়ে ছিলেন মুস্তাফিজ

ত্রিদেশীয় সিরিজের রুদ্ধশ্বাস ফাইনাল ম্যাচে বাংলাদেশের জয়ের আশা জাগিয়ে ছিলেন মুস্তাফিজুর রহমান। রান খরচায় তিনি সবার ওপরে থাকলেও ১৮তম ওভারে তার ওপরই ভরসা রাখলেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।

এ ওভারে দুর্দান্ত বোলিং করে সারাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের মাঝে জয়ের সুবাতাস বইয়ে দেন ফিজ। ভারতের তখন ১৮ বলে ৩৫ রান দরকার ছিল। টানাটান উত্তেজনার ওই মুহুর্তে গুরুত্বপূর্ণ ওই ওভারটি মাত্র রানে আটকে রেখে মুস্তাফিজ কী দারুণভাবেই না অধিনায়কের আস্থার প্রতিদান দিলেন!

১৮তম ওভার শেষ হওয়ার পর ধারাভাষ্যকক্ষে সুনীল গাভাস্কারও বললেন, দ্য ফিজ ইজ ব্যাক! যে একটা রান এসেছিল তা লেগবাই থেকে যা বোলারের খাতায় যোগ হয় না।

শেষ দুই ওভারে অর্থাৎ ১২ বলে ৩৪-এর এক জটিল সমিকরণের সামনে ভারকে দাঁড় করিয়ে দেন মোস্তাফিজ। টাইগার ভক্তরা তখন জয় উদযাপনের প্রহর গুনছিলেন। তখন ‘খলনায়ক’ হিসেবে আবির্ভূত হন রুবেল। ১৯তম ওভারে বল করতে এসে তিনি ২২ রান দিয়ে দলের নিশ্চিত প্রায় জয়কে ঠেলে দিলেন পরাজয়ের দিকে।

প্রথম তিন বলে দুই ছক্কা এক চার! ডট, দুই, শেষ বলে আবার চার। বৃথা গেল মোস্তাফিজের সব শ্রম আর চেষ্টা। বৃথা হয়েছিল রুবেলের আগের ৩ ওভারের পরিশ্রমও, মাত্র ১৩ রান দিয়ে ২ উইকেট পেয়ে বাংলাদেশের আশা তো বাঁচিয়ে রেখেছিলেন রুবেলই। শেষ ওভারে ১২ রান দরকার, এমন অবস্থায় অনিয়মিত বোলার সৌম্য তবু চেষ্টা করেছিলেন। শেষ বলে ৫ রান দরকার। চার হলেও ম্যাচ টাই। তখন আরেক নাটক হয়তো হতো। সৌম্য বলটা যে খারাপ করেছিলেন তা নয়। শিরোপা তাই অধরাই রয়ে গেল টাইগারদের।

পরাজয়ের ‘খলনায়ক’ রুবেল

তীরে গিয়ে তরী ডুবল বাংলাদেশের। শেষ দুই ওভারে পরিকল্পিত বোলিং করতে না পারায় ত্রিদেশীয় সিরজের ট্রফি জয় অধরাই থেকে গেল টাইগারদের।

রোববার নিদাহাস ট্রফির ফাইনালের শেষ দুই ওভারে ভারতের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ৩৪ রান। তখন এক ধরণের বিজয় উল্লাসের প্রস্তুতি নিয়েছিল বাংলাদেশ সমর্থকরা। কিন্তু রুবেল হোসেন ১৯তম ওভারে ২২ রান দিলে ম্যাচ হেলে যায় ভারতের দিকে। স্বপ্ন ভেঙ্গে যায় বাংলাদেশের।

অথচ এই রুবেল হোসেনই ইংল্যান্ডকে হারিয়ে বাংলাদেশকে ২০১৫ সালের বিশ্বকাপে কোয়াটার ফাইনালে তুলে দিয়েছিলেন। সেই ম্যাচে জয়ের জন্য ইংল্যান্ডের দরকার শেষ ১২ বলে ১৬ রান। হাতে দুই উইকেট। এমন উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে অসাধারণ বোলিং করে দলকে ঐতিহাসিক এক জয় উপহার দিয়েছিলেন রুবেল। সেই রুবেলই আজ রোববার কলম্বোয় হতাশ করলেন দেশের ক্রিকেটপ্রেমী মানুষদের। রোববার ভারতের বিপক্ষে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে পরাজয়ের পর তাকেই দুষছেন দেশের ক্রিকেটপ্রেমীরা।

এদিন শেষ ওভারে ভারতের দরকার ছিল ১২ রান। এমন অবস্থায়ও ভালো বোলিং করেছেন সৌম্য সরকার। ওভারের প্রথম ৫ বলে সৌম্য খরচ করেন ৭ রান। জয়ের জন্য ভারতের শেষ বলে প্রয়োজন ৫ রান। সে সময়ও জয়ের স্বপ্ন ছিলো বাংলাদেশের। কিন্তু দিনেশ কার্তিক ছক্কা হাঁকিয়ে বাংলাদেশর স্বপ্ন ভেঙে চুরমার করে দেন। মাত্র ৮ বলে ৩ ছয় এবং ২ চারে সাহায্যে অপরাজিত ২৯ রান করে ভারতকে জয় উপহার দেন দিনেশ কার্তিক।

ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনাল খেলায় আগে ব্যাট করে সাব্বির রহমান রুম্মনের ৭৭ রানে ভর করে ১৬৬ রান করে বাংলাদেশ। টার্গেট তাড়া করতে নেমে অধিনায়ক রোহিত শর্মার ৫৬ এবং দিনেশ কার্তিক ও পান্ডিয়ার ২৯ ও ২৮ রানে ভর করে ৪ উইকেটের জয় নিশ্চিত করে ভারত।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

বাংলাদেশ: ২০ ওভারে ১৬৬/৮ রান (সাব্বির ৭৭, মাহমুদউল্লাহ ২১, মিরাজ ১৯; চাহাল ৩/১৮, উনাদখত ২/৩৩)।

ভারত: ২০ ওভারে ১৬৮/৬ রান (রোহিত ৫৬, দিনেশ কার্তিক ২৯*, পান্ডিয়া ২৮)।

Check Also

৩০ জুলাই পর্যন্ত অনেক দল সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি, সংগ্রামে যুক্ত হবে কি না: সারজিস আলম

জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক ও জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম বলেছেন, …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।