ক্রাইমবার্তা ডেস্করিপোর্ট: নেপালে ইউএস-বাংলার উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় নিহতদের জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। আজ সোমবার বিকেলে ৫টা ২৭ মিনিটে আর্মি স্টেডিয়ামে এ জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। লাশগুলো বিকাল ৫টায় এখানে আনা হয়। জানাজা পরিচালনা করেন সেনা বাহিনীর কেন্দ্রীয় মসজিদের ইমাম মাওলানা মো. মাহমুদুল হক। ২৩ জনের লাশ ১৯টি লাশবাহী ফ্রিজিং গাড়িতে করে বিকেল ৪টা ৫০ মিনিটে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছেড়ে যায়।
এর আগে সোমবার বিকেল ৩টা ৫৫ মিনিটে নিহত লাশগুলো নিয়ে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি কার্গো বিমান। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ১ নম্বর ভিভিআইপি টারমাকে অবতরণ করে লাশবাহী ৬১-২৬৪০ নম্বর বিমানটি।
লাশ আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ করেন সড়ক, পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তার সঙ্গে ছিলেন বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী শাহজাহান কামাল।
নেপালে বিমান দুর্ঘটনায় নিহত ২৩ জনের লাশ নিয়ে বিমানবাহিনীর বিশেষ বিমানটি ঢাকায় এসে পৌঁছেছে। সোমবার বিকাল ৪ টার দিকে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে মরদেহবাহী বিমানটি।
এসময় মরদেহগুলো গ্রহণ করেন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ও পর্যটনমন্ত্রী একেএম শাহজাহান কামাল। এরপর সেখান থেকে লাশগুলো নেয়া হবে আর্মি স্টেডিয়ামে। জানাজা শেষে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এর আগে স্থানীয় সময় দুপুর ২টার পর কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিমানটি ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেয়।
সকালে কাঠমান্ডুতে বাংলাদেশ দূতাবাসের কাছে নিহত ২৩ জনের লাশ হস্তান্তর করা হয়।
এরপর পৌনে ৯টার দিকে দূতাবাসের উদ্যোগে নিহতদের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তারা অংশ নেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন নেপাল সরকারের ঊর্ধ্বতন প্রতিনিধিরাও।
উল্লেখ্য, ১২ মার্চ দুপুরে কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের আগমুহূর্তে বিধ্বস্ত হয় ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট।
বিমানটিতে ৩৬ বাংলাদেশিসহ ৭১ আরোহী ছিলেন। এর মধ্যে ২৬ বাংলাদেশিসহ ৫১ জন নিহত হন।