জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলায় ঘরে স্বামীর ঝুলন্ত লাশ দেখে পুকুরপাড়ে গিয়ে আমগাছে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করছেন স্ত্রী সোনিয়া আক্তার (২১)। বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার রুকিন্দীপুর গ্রাম থেকে তাদের ঝুলন্ত উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশ ও এলাকাবাসীর ধারণা, পারিবারিক কলহের জের ধরে স্বামী আত্মহত্যা করেছেন। পরে স্বামী সাইফুল ইসলামের (২৪) মৃত্যু মেনে নিতে না পেরে সোনিয়াও আত্মহত্যা করেন।
পুলিশ ও এলাকাবাসীরা জানায়, প্রায় দেড় বছর আগে উপজেলার রুকিন্দীপুর ফকির পাড়ার লোকমান হোসেনের ছেলে সাইফুলের সঙ্গে একই উপজেলার সাহাপুর গ্রামের সোনিয়া আক্তারের বিয়ে হয়। দাম্পত্য কলহের জের ধরে বুধবার রাতে সাইফুল ইসলাম নিজ ঘরে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন।
স্বামীর মৃত্যুর পরই বাড়ি থেকে নিখোঁজ হন তার স্ত্রী সোনিয়া আক্তার। অনেক খোঁজাখুঁজির পর বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ির পাশে পুকুরপাড়ের একটি আমগাছের ডালে ঝুলন্ত অবস্থায় সোনিয়া আক্তারের লাশ দেখতে পায় স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ দুজনের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
পেয়ে পুলিশকে খবর দেয় এলাকাবাসী। পুলিশ ঘটনাস্থল গিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার করে এ ঘটনায় আক্কেলপুর থানায় পৃথক অপমৃত্যুজনিত (ইউডি) মামলা দায়ের করা হয়েছে।
নিহত সাইফুল ইসলামের বাবা লোকমান হোসেন জানান, বুধবার রাতে তিনি জামালগঞ্জ বাজারে গিয়েছিলেন। সেখানে থাকাবস্থায় তিনি মোবাইল ফোনে জানতে পারেন তার ছেলে ফাঁস দিয়ে মারা গেছে। তিনি বাড়ি ফিরে জানতে পারেন তার ছেলে ও ছেলের বউয়ের সঙ্গে ঝগড়া হয়েছিল।
তিনি জানান, এদিকে ছেলের মৃত্যুর পর সোনিয়াকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। কয়েক ঘণ্টা পর বাড়ির পাশের একটি আমগাছের ডাল থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় সোনিয়া আক্তারের লাশ উদ্ধার করা হয়।
আক্কেলপুর থানার এসআই গোলাম মোস্তফা জানান, স্বামীর লাশ নিজ ঘর থেকে এবং স্ত্রীর লাশ বাড়ির পার্শ্বে একটি পুকুরপাড়ের আমগাছ থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে তাদের মৃত্যু রহস্য জানা যাবে।
এ ঘটনায় আক্কেলপুর থানায় দুটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে বলে তিনি জানান।