ঢাকা: রাজধানীতে ‘ডাকাতি’ করে পালিয়ে যাওয়ার সময় জনতার হাতে ধরা পড়া এক ব্যক্তি রাতে পুলিশের সঙ্গে তথাকথিত বন্দুকযুদ্ধে মারা গেছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে দক্ষিণখান থানার মোল্লারটেক এলাকায় একটি বাড়িতে ডাকাতি করে পালিয়ে যাওয়ার সময় জনতা পাঁচজনকে ধরে পুলিশে দেয়।
পুলিশের দাবি, পাঁচ ডাকাত সদস্যের মধ্যে জহিরুল ইসলাম (৩৭) নামে একজনকে নিয়ে রাত ৩টার দিকে পুলিশ দিয়াবাড়ী এলাকায় অভিযানে যায়। সেখানে আগে থেকে ওত পেতে থাকা ডাকাত দলের অন্য সদস্যরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে গুলি চালায়। পুলিশও পাল্টা গুলি করে। এই গোলাগুলিতে ডাকাত জহিরুল গুলিবিদ্ধ হয় বলে দাবি করেন দক্ষিণখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তপন কুমার সাহা।
শুক্রবার সকালে ওসি আরও দাবি করেন, জহিরুলকে দ্রুত উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ। সেখানে চিকিৎসক তাঁকে ভোর ৫টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত জহিরুল সম্পর্কে আর কোনো তথ্য দেয়নি পুলিশ।
দক্ষিণখান থানার দক্ষিণ মোল্লারটেকের দুই নম্বর রোডের ২৬২ নম্বর বাড়ির মালিক প্রকৌশলী আবদুল মোতালেব মিয়া। তাঁর বাড়িতেই গতকাল দুপুরে ডাকাতির ঘটনা ঘটে বলে রাতে করা মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রকৌশলী আবদুল মোতালেব মিয়া গতকাল রাতে গণমাধ্যমকে জানান, দুপুরে ফটক খোলা পেয়ে ছয়-সাত জনের একটি দল বাসা ভাড়া নেওয়ার নাম করে ভেতরে ঢুকে পড়ে। তাঁরা তাঁকেসহ পরিবারে ছয়-সাত জন সদস্যকে বেঁধে ফেলে।
‘পরে বাসার আলমারি ভেঙে নগদ সাড়ে চার লাখ টাকা ও ৩০ ভরি সোনা নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এলাকাবাসী ডাকাতদের উপস্থিতি টের পেয়ে তাদের ধাওয়া দেয়। এ সময় ডাকাতদের ছোড়া গুলিতে দুজন আহত হয়। কিন্তু এলাকাবাসী পাঁচজনকে ধরে ফেলে।’
আহত দুই এলাকাবাসী হলেন- রহমত ও ইমদাদ। তাদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বাড়ির মালিক ধারণা করেন, ‘ডাকাতরা ছয়-সাত জন বাসায় প্রবেশ করেলেও বাইরে আরও বেশকয়েক জন ছিলেন। টাকা ও সোনা এখনও পাওয়া যায়নি।’
এ ঘটনার পর পরই সন্ধ্যায় দক্ষিণখান থানার ওসি তপন কুমার সাহা সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, পাঁচজন ডাকাত সদস্যের বিরুদ্ধে রাতেই মামলা করা হয়েছে। বাকিদের ধরার চেষ্টা করা হচ্ছে।