সাতক্ষীরা জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক সাবেক ছাত্রনেতা আব্দুল মান্নানের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে যুবলীগের কয়েক হাজার নেতাকর্মীর বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলা যুবলীগে উদ্যোগে সোমবার বিকেলে সাতক্ষীরা শহরে এ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। শহরের ইটাগাছা বাঙ্গালের মোড়স্থ সংগ্রাম টাওয়ার চত্তর থেকে মিছিলটি বের হয়ে নিউমার্কেট মোড়ে আসতে চাইলে পথিমধ্যে হাটের মোড় নামক স্থানে পৌছালে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মারুফ আহমেদের নেতৃত্বে পুলিশ তাতে বাঁধা দেয়। এর আগে শহরের মোড়ে মোড়ে পোশাকে ও সাদা পোশাকে পুলিশ অবস্থান নেয়। শহরের নিউমার্কেট মোড়, হাটের মোড় ও বাঙ্গালের মোড়ে পুলিশের মহড়া ও অবস্থান ছিলো লক্ষ্য করার মত। কয়েকটি স্তরে পুলিশ বিভক্ত হয়ে আগে থেকেই অবস্থান নেয়। ফলে পুলিশী বাঁধার মুখে মান্নান মুক্তির বিশাল মিছিলটি নিউমার্কেট মোড়ে পৌছাতে পারেনি। হাটের মোড় থেকে মিছিলটি ফিরে গিয়ে সংগ্রাম টাওয়ার চত্তরে গিয়ে শেষ হয়। এর আগে জেলার সাত উপজেলা থেকে খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত করে সংগ্রাম টাওয়ার চত্তরে মিলিত হয় মান্নান মুক্তি আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। কয়েক হাজার নেতাকর্মীর প্রতিবাদ মুখর এ কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান। সদর উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক মঈনুল ইসলামের পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন শ্যামনগর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি গাজী গোলাম মোস্তফা বাংলা, সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান, কালিগঞ্জের সভাপতি আনোয়ার কবির লিটু, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, দেবহাটার সভাপতি মিজানুর রহমান মিন্নুর, সাধারণ সম্পাদক বিজয় ঘোষ, তালার সভাপতি সরদার জাকির, সাধারণ সম্পাদক কাজী নজরুল ইসলাম হিল্লোল, কলারোয়ার সভাপতি কাজী আসাদুজ্জামান শাহাজাদাসহ সদর উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকগণ।
মিছিলে স্লোগানে বলা হয় ‘জেল জুলুম হুলিয়া, নিতে হবে তুলিয়া, মান্নান ভাই জেলে কেন, এমপি রবি জবাব দাও, জেলের তালা ভাঙবো, মান্নান ভাইকে আনবো, মান্নান ভাইয়ের মুক্তি চাই, দিতে হবে’ এভাবে নানা স্লোগানে প্রতিবাদ মূখর হয়ে ওঠে বসন্তের শেষ বিকেলের মিছিলটি। এসময় সাতক্ষীরা শহর কিছুক্ষণের জন্য থমকে যায়। সড়কের দুধার থেকে সাধারণ মানুষও মিছিলের পক্ষে মান্নানের মুক্তির জন্য সমর্থন জানান। প্রতিবাদ সমাবেশে প্রত্যেক বক্তাই ২৬মার্চের অনুষ্ঠানে হামলার জন্য সদর এমপি মীর মোস্তাক আহমেদ রবির ভাই মীর মহিতুল ইসলামকে দায়ি করে যুবলীগ নেতা আব্দুল মান্নানকে নির্দোষ বলে বক্তব্য দেন। বক্তারা আব্দুল মান্নানসহ যুবলীগের অন্যান্য নেতৃবৃন্দের নামে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও কারাগারে আটক আব্দুল মান্নানের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানান।
প্রসঙ্গত: ২৬মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবসে সাতক্ষীরা পৌর আওয়ামী লীগ আয়োজিত নিউমার্কেট চত্তরে আলোচনা সভায় যুবলীগ নেতা আব্দুল মান্নান বক্তব্য দিতে উঠলে হৈ চৈ শুরু করে এমপির ভাই মহিতুল ইসলাম। এরপর উভয় পক্ষে সংঘর্ষ হয়। ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ওইদিন রাতে পুলিশ খুলনা থেকে আটক করে আব্দুল মান্নানকে। এলপর থেকে তিনি কারাগারে আটক আছেন।
Check Also
প্রত্যেক উপজেলায় একটি সরকারি মাদ্রাসা করার সুপারিশ: সাতক্ষীরা ডিসি
ক্রাইমবাতা রিপোট, সাতক্ষীরা : সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ বলেছেন, যদি প্রত্যেকটা উপজেলায় একটা সরকারি …