লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে চাঞ্চল্যকর আট বছর বয়সী মাদ্রাসাছাত্রী নুশরাত জাহান নিশুকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামি শাহ আলম রুবেল ও তার সহযোগী বোরহান উদ্দিনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সোমবার বেলা ১১টার রামগঞ্জ দিকে থানায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য তুলে ধরেন লক্ষ্মীপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) আ স ম মাহাতাব উদ্দিন। তিনি জানান, ২৩ মার্চ দুপুরে আইসক্রিম খাওয়া ও টিভি দেখার কথা বলে উপজেলার পশ্চিম নোয়াগাঁও গ্রামের রুবেল একই বাড়ির মাদ্রাসাপড়ুয়া নুশরাতকে তার ঘরে ডেকে নেয়। এরপর জোরপূর্বক তাকে ধর্ষণ করা হয়।
ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে নুশরাতকে হত্যা করা হয়। পরে ঘরের স্টিলের আলমিরার ওপর দুদিন ছট দিয়ে বেঁধে রাখা হয়। ঘটনার দুদিন পর বন্ধু বোরহানের সহযোগিতায় রাতে সিএনজিচালিত অটোরিকশাযোগে বস্তাবন্দি করে নুশরাতের মরদেহ তিন কিলোমিটার দূরে খালের ব্রিজের নিচে ফেলে দেয়।
নিহত নুশরাত ফয়েজে রাসূল নুরানী মাদ্রাসার তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী। ঘাতক রুবেল সম্পর্কে তার ভাতিজি। সদ্য বিবাহিত রুবেল উপজেলার পশ্চিম নোয়াগাঁও গ্রামের প্রবাসী মো. সিরাজুল ইসলামের ছেলে ও ঢাকার গার্মেন্টস ব্যবসায়ী।
থানা পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রামগঞ্জ থানার ওসি তোতা মিয়ার নেতৃত্বে খুলনায় যাওয়ার পথে রুবেলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় নুশরাতের লাশ বহনকারী সিএনজিচালিত আটোরিকশা, ব্যাগ, ব্যবহৃত জুতা ও শীতল পাটি উদ্ধার করা হয়।
উল্লেখ্য, নিখোঁজের তিন দিন পর ২৬ মার্চ উপজেলার কাঞ্চনপুরের বক্ষ্মপাড়া এলাকার ব্রিজের নিচ থেকে নুশরাতের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় তার মা রেহানা বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। ময়নাতদন্তে প্রতিবেদনে জানা গেছে, নুশরাতকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়।
এদিকে এ হত্যাকাণ্ডের পর থেকে জড়িতদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে ঢাকা ও রামগঞ্জের বিভিন্নস্থানে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন কর্মসূচি করেছে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার লোকজন।