জন্মের পর নবজাতক সন্তানকে হাসপাতালের মেঝেতে আছড়ে হত্যা করলেন এক পাষণ্ড বাবা। রোববার রাতে গাইবান্ধার পলাশবাড়ীর মা ক্লিনিক অ্যান্ড নার্সিং হোমে এ লোমহর্ষক ঘটনা ঘটে। পরে উপস্থিত লোকজন বাবা সাজু মিয়াকে (৩১) আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে।
পলাশবাড়ী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সাজু জানিয়েছে, স্ত্রী শাহনাজ বেগমের (৩৫) সঙ্গে পারিবারিক কলহ ছিল সাজুর। শাহনাজের বয়স বেশি হওয়ায় তাকে ডিভোর্স দিয়ে আবার বিয়ের পরিকল্পনা ছিল তার। তাই সন্তান হওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে নবজাতককে হত্যা করে সে।
তবে সাজুর ভাবি কহিনুর বেগম জানান, রোববার বিকালে সাজুর পরিবার তার অসুস্থ স্ত্রী শাহনাজকে পলাশবাড়ীর মা ক্লিনিক অ্যান্ড নার্সিং হোমে ভর্তি করে। রাতে শাহনাজ একটি ছেলেসন্তান জš§ দেয়। পরে স্বামী সাজু মিয়া ক্লিনিকে স্ত্রী-সন্তানকে দেখতে আসেন। তিনি সন্তানকে কোলে নিয়ে জানতে চান জন্মের পর আজান দেয়া হয়েছে কিনা। এ সময় পরিবারের লোকজন নিশ্চুপ থাকলে সাজু মিয়া ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। একপর্যায়ে নবজাতক শিশুকে ক্লিনিকের মেঝেতে আছাড় দিয়ে হত্যা করেন তিনি।
এ ঘটনার পর ক্লিনিকের লোকজন সাজুকে আটক করে থানায় খবর দেন। পরে পুলিশ সাজু মিয়াকে আটক করে এবং শিশুর লাশ উদ্ধার করে।
জানা গেছে, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কামদিয়া ইউনিয়নের তুলট গ্রামের শাহা মিয়ার মেয়ে শাহনাজ বেগমের সঙ্গে তিন বছর আগে একই উপজেলার শাখাহার ইউনিয়নের মোল্লাপাড়া গ্রামের সুলতান সরকারের ছেলে হাফেজ সাজু মিয়ার বিয়ে হয়। সাজু রংমিস্ত্রির কাজ করেন।
পলাশবাড়ী থানার ওসি মাহমুদুল আলম জানান, শিশুসন্তানকে নির্মমভাবে হত্যার ঘটনায় সাজু মিয়ার বিরুদ্ধে থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। পরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।