দেবহাটা হাজী কেয়ামউদ্দীন মহিলা কলেজ কেন্দ্রে ৪ জন পরীক্ষার্থীকে ভুল প্রশ্নে পরীক্ষা নেওয়ায় দুই শিক্ষককে বহিস্কার করা হয়েছে। একই সাথে কলেজ অধ্যক্ষকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়ে পরীক্ষা পরিচালনা কমিটি বাতিল করেছে উপজেলা প্রশাসন।
সূত্র জানায়, এইচএসসি পরীক্ষার তৃতীয় দিন ইংরেজি ১মপত্র পরীক্ষায় নিয়মিত দুই শিক্ষার্থীকে অনিয়মিত প্রশ্নপত্র দিয়ে পরীক্ষা নেয়া হয়। একইভাবে নিয়মিত পরীক্ষার্থীদের প্রশ্নপত্র দিয়ে দুই অনিয়মিত পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা নেয়া হয়। পরীক্ষা থেকে বাইরে এসে প্রশ্ন মিল করিয়ে বিষয়টি বুঝতে পারে পরীক্ষার্থীরা। এসময় তারা কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে। বিষয়টি প্রসাশনকে জানালে হাজী কেয়ামউদ্দীন মহিলা কলেজের সমাজকল্যাণের সহকারী অধ্যাপক আসাদুল কবির ও পদার্থ বিজ্ঞানের প্রভাষক অনিশ রঞ্জন গাতিদারকে দুই বছরের জন্য বহিস্কার করে উপজেলা প্রশাসন।
এদিকে, বিষয়টি বাইরে না জানাতে কলেজের অধ্যক্ষ মো. আবুল কালাম পরীক্ষার্থীদের উপর বিভিন্নভাবে চাপ দিচ্ছেন। বাইরে জানালে আগামী পরীক্ষায় তোমাদের দেখে নেয়া হবে হলেও তিনি শিক্ষার্থীসহ অভিভাবকদের কয়েক দফা শাসিয়েছেন। ঘটনার পর থেকে অধ্যক্ষের এমন আচারণে পরীক্ষার্থীরা ভীত হয়ে আছে। পরবর্তী পরীক্ষা নিয়ে তারা আতংকিত বলেও জানা গেছে। এ বিষয়ে তারা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এ বিষয় দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাফিজ আল আসাদ বলেন, পরীক্ষার হলে দায়িত্ব অবহেলায় দুই শিক্ষকে ২ বছরের জন্য বহিস্কার করা হয়েছে। কলেজের অধ্যক্ষকে কারণ দর্শানোর নোটিশ করা হয়েছে। একই সাথে পরীক্ষা পরিচালান কমিটি বাতিল করে নতুন কমিটি করা হয়েছে।
অপরদিকে, আশাশুনি সরকারি কলেজ কেন্দ্রে উদ্দেশ্যমূলকভাবে পরীক্ষার্থীদের সাথে খারাপ আচারণ করায় প্রভাষক তৃপ্তি রঞ্জণ সাহাকে পরীক্ষার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। পরীক্ষার্থীরা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট আবদেন করলে আশাশুনির এসিল্যান্ড মিজাবে রহমত তাকে অব্যাহতি দেন।