ক্রাইমবার্তা ডেস্করিপোট: ঢাকা: স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে আবার কারাগারে নেয়া হয়েছে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে। শনিবার দুপুর ১ টা ৫০ মিনিটের দিকে খালেদা জিয়াকে বহনকারী গাড়ি নাজিম উদ্দিন রোডের পুরনো কারাগারে প্রবেশ করে।
খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে হাসপাতালে কোকোর স্ত্রী-মেয়ে
এর আগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ)-এ উপস্থিত হয় তার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান এবং মেয়ে জাফিয়া রহমান। তবে তারা খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে পারেন নি।
পুলিশ জানিয়েছে, কারা কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কাউকে খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে দেওয়ার সুযোগ নেই। তারা অপেক্ষা করছেন। কারা কর্তৃপক্ষের অনুমতি পেলে তাদের দেখা করতে দেওয়া হবে।
এদিকে চিকিৎসার জন্য কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) আনা হয়।
নাজিমউদ্দিন রোডের পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে খালেদা জিয়াকে নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গাড়ি বহর শনিবার বেলা ১১টা ২০ মিনিটে শাহবাগের বিএসএমএমইউ ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে।
বিএসএমএমইউ চিকিৎসা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ আলী আসগর মোড়ল জানান, খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ড তাকে দেখবেন। এরপর কী হবে সেটা মেডিকেল বোর্ড ঠিক করবে।
খালেদা জিয়া দুই মাস ধরে পুরনো কারাগারে একমাত্র বন্দি হিসেবে রয়েছেন। তার চিকিৎসায় একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে, যার নেতৃত্বে রয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের অর্থোপেডিক বিভাগের প্রধান অধ্যাপক মো. শামসুজ্জামান। বোর্ডে সদস্য রয়েছেন ডা. মনসুর হাবীব (নিউরোলজি), টিটু মিয়া (মেডিসিন) ও সোহেলী রহমান (ফিজিক্যাল মেডিসিন)।
গত ৪ এপ্রিল খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষা সংক্রান্ত বিশেষজ্ঞ মেডিকেল বোর্ডের প্রধান ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অর্থোপেডিক বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. শামসুজ্জামান শাহীন জানান, আগের সমস্যাগুলোর পাশাপাশি খালেদা জিয়ার নতুন কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছে। অপাতত তার রক্ত পরীক্ষার পাশপাশি দুই হাঁটুতে এক্সরে করাতে হবে। পরীক্ষার পরই বোঝা যাবে তার অসুস্থতা গুরুতর কিনা। এরপরও পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন হতে পারে।
ডা. শাহীন বলেন, খালেদা জিয়ার দুই হাঁটু প্রতিস্থাপন করা। তার হাঁটুতে এখন যে ব্যথা তা বয়স থেকে হতে পারে। আগের অপারেশনের জেরে হতে পারে, আবার নতুন হতে পারে।
তার কোমর ও ঘাড়ে বড় ধরনের কোনো সমস্যা আছে কিনা তা জানতে সিটিস্ক্যান বা এমআরআই করানো লাগতে পারে। তার ব্যথা কেবল শিনশিন-ঝিনঝিনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নাকি হাড় পর্যন্ত পৌঁছেছে তা জানতে আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা প্রয়োজন।
উল্লেখ্য, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ৮ ফেব্র“য়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেয়া হয় খালেদা জিয়ার ছেলে ও বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ অন্য পাঁচ আসামিকে। রায় ঘোষণার পর থেকেই বিএনপি নেত্রী বন্দি রয়েছেন।