আবু সাইদ বিশ্বাসঃসাতক্ষীরাঃ জনবল সংকটের কারণে সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কাজ ব্যাহত হচ্ছে। ৩৩২ পদের বিপরীতে ২৪২ জন কর্মকর্তা কর্মচারী বর্তমান পদে কর্মরত থাকায় ১৩০ টি পদ ফাঁকা রয়েছে। কোটা প্রথা ও প্রার্থী সংকটের কারণে এমন অবস্থা বলে জানা যায়। তবে নিয়োগ প্রক্রিয়াধীন থাকায় দ্রুত শূন্য পদ সমূহে জনবল নিয়োগ করা হবে বলে আশা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের।
জেলাতে প্রথম শ্রেণীতে ৩৫টি পদের মধ্যে ১৯টিই পদ শূন্য রয়েছে। উপজেলা পর্যায়ে প্রথম শ্রেণীর অতিরিক্তি কৃষি অফিসারে জন্য ৭টি পদ থাকলে ও কর্মরত আছে মাত্র ১ জন। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসারের পদ রয়েছে ১৪টি । যেখানে কর্মরত আছে মাত্র ৪ জন। ফলে শূন্য পদে রয়েছে ১০টি ।
দ্বিতীয় শ্রেণী পর্যায়ে জেলাতে সহকারী কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার পদে রয়েছে ৭টি। যেখানে কর্মরত আছে মাত্র এক জন। ফলে ৬টি পদই শূন্য রয়েছে।
তৃতীয় পর্যায়ে জেলা কৃষি বিভাগে পদ রয়েছে ২৭৫টি। যে খানে কর্মরত আছে ১৯১ জন। ফলে ৮৪টি পদ রয়েছে শূন্য। এর মধ্যে উপসহকারী কৃষি অফিসারের পদ রয়েছে ২৩৬টি। যে খানে কর্মরত আছে মাত্র ১৬৫ জন। ফলে ৭১টি পদ রয়েছে শূন্য। উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ বিষয়ে প্রত্যেক থানাতে একটি করে পদ থাকলেও কর্মরত নেই্ কোন উপজেলাতে। ফলে ৭টি পদই শূন্য রয়েছে পদ সৃষ্টির পর থেকে। হিসাব রক্ষকের ৭টি পদের বিপরীতে জেলাতে কর্মরত আছে মাত্র এক জন।
চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী পর্যায়ে ৫৬টি পদের বিপরীতে কর্মরত আছে ৩৫ জন। ফলে শূন্য পদ রয়েছে ২১টি। এর মধ্যে স্প্রেয়ার ম্যাকানিক ৭টি পদের বিপরীতে কর্মরত আছে মাত্র এক জন। নিরাপত্তা প্রহরী পদে ১৬ জনের বিপরীতে কর্মরত আছে ১০ জন।
মার্চ ২০১৮ অনুযায়ী এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
জেলার সাতটি উপজেলার অধীনে ৭৮টি ইউনিয়নে ২৩৬টি ব্লকে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে থাকে। তবে জেলা খামার বাড়ি সূত্রে মতে ৮০টি ইউনিয়নে তারা কার্যক্রম পরিচালনা করে।
জনবল সংকটের কারণে কৃষকরা প্রয়োজনীয় সেবা ও পরামর্শ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ফলে ব্যাহত হচ্ছে উৎপাদন কার্যক্রম।
জেলা খামার বাড়ির উপপরিচালক আব্দুল মান্নান জানান, নিয়োগ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে, আশা করছি দ্রুত শূন্য পদ সমূহ পূরণ করা হবে।
Check Also
আশাশুনির খাজরা ইউনিয়নের খালিয়া রাস্তার বেহাল দশা।। বিপত্তিতে শতাধিক পরিবার।।দ্রুত সংস্কার দাবি
এস,এম মোস্তাফিজুর রহমান,আশাশুনি।।আশাশুনি উপজেলার খাজরা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড খালিয়া গ্রামের সানাপাড়ার প্রায় শতাধিক পরিবার একটি …