ক্রাইমবার্তা রিপোট: ঢাকা : জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. মোজাম্মেল হক খান জানিয়েছেন, সরকারি চাকরিতে বিদ্যমান কোটা ব্যবস্থা সংস্কারে ‘আপাতত কোনো চিন্তাভাবনা সরকারের নেই’।
সোমবার এ কথা জানিয়ে সিনিয়র সচিব বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিদ্যমান কোটা ব্যবস্থাকে সমর্থন করেন। তিনি মনে করেন, এটাই থাকা উচিত।’
সোমবার সচিবালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছিলেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
মো. মোজাম্মেল হক খান এ সময় কোটার বিভিন্ন দিকের ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, এই কোটা মেধাবীদের জন্য প্রতিবন্ধক নয়। এ সময় তিনি বিগত তিন বিসিএসের তথ্য তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, কোটায় কাঙ্ক্ষিত যোগ্য প্রার্থী না পেলে কোটার অপূরণ থাকা পদগুলো মেধা তালিকা থেকে নেওয়ার যে সিদ্ধান্ত সরকার সম্প্রতি নিয়েছে তাতে অধিকাংশ মেধাবীরাই চলে আসছেন।
জনপ্রশাসন সচিব বলেন, ৩৩তম বিসিএসে এই ব্যবস্থার কারণে ৭৭ দশমিক ৪০ শতাংশ প্রার্থী মেধার কোটায় নিয়োগ পেয়েছেন। ৩৫তম বিসিএসে ৬৭ দশমিক ৪৯ শতাংশ এবং ৩৬তম বিসিএসে ৭০ দশমিক ৩৮ শতাংশ মেধা কোটায় নিয়োগ পেয়েছেন।
জনপ্রশাসন সচিব বলেন, প্রাধিকার কোটায় নিয়োগের ক্ষেত্রেও মেধাবীরাই নিয়োগ পাচ্ছেন। মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কোটার মধ্যে যারা মেধাবী তারাই নিয়োগ পাচ্ছেন। এ সময় তিনি পশ্চাৎপদ জনগোষ্ঠীর জন্য সাংবিধানিক সুযোগ-সুবিধার কথা উল্লেখ করেন।
এর আগে মন্ত্রী পরিষদ সচিব মো. শফিউল আলম মন্ত্রীসভার সিদ্ধান্ত জানাতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনেও প্রায় একই ধরণের বক্তব্য দেন।
তিনি বলেন, কোটার যোগ্য প্রার্থী না পেলে মেধাবীদের মাধ্যমে পূরণের যে সিদ্ধান্ত হয়েছে তাতেই ইতিমধ্যে একটি সংস্কার হয়ে গেছে।
সরকারি সূত্রে জানা গেছে, আজকের মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনির্ধারিতভাবে কোটা নিয়ে আলোচনা হয়। সেখানে কোটা নিয়ে সংশ্লিষ্টদের ব্যাখ্যা বিশ্লষণ চেয়ে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
মন্ত্রীসভার বৈঠকের পরই কোটা নিয়ে দুই সচিব এই ব্যাখ্যা দেন।