ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে পুলিশের উপস্থিতি এবং শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশের হামলার প্রতিবাদে ফের রাজু ভাস্কর্যের সামনে অবস্থান নিয়েছে শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে শিক্ষার্থীরা সেখানে অবস্থান নেন।
সেখানে বিক্ষুব্ধ তারা বিভিন্ন দাবি দাওয়া লিখিত প্ল্যাকার্ড নিয়ে অবস্থান নেন। এ সময় ‘হলে হলে হামলা কেন’, ক্যাম্পাসে হামলা কেন প্রশাসন জবাব চাই’; ‘রামদা নিয়ে ক্যাম্পাসে কেন, ক্যাম্পাসে পুলিশ কেন, ছাত্রদের উপর হামলা কেন, ছাত্রের বুকে গুলি কেন।
এ সময় শিক্ষার্থীরা বলেন, ঢাবি ভিসির বাসভবনের হামলার বিচার যদি হয় তবে শিক্ষার্থীদের উপর হামলার বিচার কেন হবে না? শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ প্রশাসনকে এর জবাব এবং শিক্ষার্থীদের উপর হামলার বিচার করতে হবে।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের ‘আন্দোলনের নামে যারা ভিসির বাসভবনে হামলা করেছে তাদের বিচার হবে।’ এ বক্তব্যের সমালোচনা করে অনিন্দিতা নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের প্রশ্ন যারা ক্যাম্পাসে ঢুকে রামদা নিয়ে শিক্ষার্থীদের হামলা করল, পুলিশ টিয়ারসেল গুলি ছুড়লো, হামলায় শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হলো, রক্ত ঝরালে সেই হামলাকারীদের বিচার তো তিনি চাইলেন না।
রাকিব নামে অপর শিক্ষার্থী বলেন, পুলিশ আবাসিক হল লক্ষ্য করে টিয়ারসেল, গুলি ছুড়েছে, ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়েছে। ঢাবি প্রশাসন ব্যর্থ হয়েছে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে। আমরা এমন অথর্ব প্রশাসন চাই না।
আগে ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হোক, পুলিশকে আমরা দেখতে চাই না, ন্যায্য দাবির আন্দোলন স্বায়ত্বশাসিত ক্যাম্পাসে চলবে বলে জানান শিক্ষার্থীরা।
চাকরিতে কোটা সংস্কার এবং অর্থমন্ত্রী বক্তব্যে প্রত্যাহারের দাবিতে এবার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা রাজপথে নেমেছে। মঙ্গলবার ধানমন্ডি, বারিধারা ও রামপুরা ব্রিজের উপর শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অবরোধের কারণে পুরো রাজধানীজুড়ে যানজট ও সাধারন মানুষ ভোগান্তির মুখে পড়েছে।
রাজধানীর ধানমন্ডি-সোবহানবাগে ড্যাফোডিল ইউনিভারসিটির শিক্ষার্থীরা, বারিধারর যমুনা ফিউচার পার্কের সামনে নর্থ সাউথ ইউনির্ভাসিটি ও আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনির্ভাসিটি অব বাংলাদেশের এবং রামপুরা ব্রীজের পূর্ব পাশে অবস্থিত ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভারসিটির শিক্ষার্থীরা রাজপথে নেমে এসে সকাল থেকে বিক্ষোভ শুরু করেছে।
শিক্ষার্থীরা মিছিল করছে তাদের নিজ নিজ ক্যাম্পাসের সামনের সড়কে। তারা হাতে কোটা সংস্কারের এবং অর্থ মন্ত্রীর বক্তব্য প্রত্যাহারে দাবি-সংবলিত পোস্টার হাতে নিয়ে সড়ক অবরোধ করেন। এতে সংশ্লিষ্ট এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এতে রাস্তায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।