অবশেষে ফুটফুটে এক কন্যাসন্তানের জন্ম দিয়েছেন মানসিক ভারসাম্যহীন ভবঘুরে সেই তরুণী। জেলার অষ্টগ্রাম হাওর উপজেলার পূর্ব অষ্টগ্রামের এক স্বামী পরিত্যক্তা নারীর কাছে আশ্রিত ওই মানসিক ভারসাম্যহীন অচেনা ওই তরুণীর কোল আলো করে ফুটফুটে এক কন্যাসন্তান পৃথিবীর মুখ দেখল।
পূর্ব অষ্টগ্রামের মালা বেগমের বাড়িতে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সুতীব্র চিৎকারে পৃথিবীতে আগমনের বার্তা জানায় এ নবজাতক শিশু।
কিন্তু তার আগমন বার্তা শুনে আজানের মধুর ধ্বনি তুলে এলাকাবাসীকে এ সুখবর জানান দেয়ার কোনো লোক পাওয়া যায়নি। এগিয়ে আসেনি কেউ জন্মদাতা পিতার পরিচয় নিয়ে।
৮নং পূর্ব অষ্টগ্রাম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবু কাছেদ মিয়া জানান, বছর তিনেক আগে অষ্টগ্রামে প্রথম দেখা যায় মানসিক ভারসাম্যহীন এই তরুণীকে।
চেয়ারম্যান জানান, এরপর থেকে পূর্ব অষ্টগ্রাম এলাকায় হয়ে ওঠে তার আশ্রয়স্থল। এ বাড়ি সে বাড়ি কিংবা খোলা আকাশের নিচে রাত কাটত তার।
তিনি আরও বলেন, ওই তরুণীর মানসিক ভারসাম্যহীনতার সুযোগ নিয়েই হয়তো মানুষরূপী জানোয়ার তাকে ভোগের পণ্য হিসেবে ব্যবহার করে অন্তঃসত্ত্বা করেছে।
আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, মানসিক ভারসাম্যহীনতার কারণে এই নারী জানাতে বা বোঝাতে পারছেন না, তার গর্ভজাত নবজাতকের জন্মদাতা কে এই পুরুষ? এই নবজাতক শিশুটির হয়তো কোনোদিন সুযোগ আসবে না পিতৃপরিচয় জানার।
তবে মানসিক ভারসাম্যহীন এই তরুণীর সন্তান জন্ম নেয়ার খবরে আশ্রয় দানকারী মালা বেগমের বাড়িতে আসা উৎসুক মানুষের ঘৃণা আর থুতু থাকছে ওই জৈবিক ক্ষুধা নিবারণকারী মানুষরূপী জানোয়ারটির প্রতি।
এদিকে ওই পিতৃপরিচয়হীন নবজাতক শিশুকে দত্তক নিতে অনেকেই আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।