মোঃ সুজন মোল্লা,বানারীপাড়া॥
বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের নরেরকাঠি গ্রামে এক সংখ্যালঘু পরিবারের সমাধী মন্দির ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার সকালে এ ব্যপারে নরেরকাঠি গ্রামের বিমল কৃষ্ণ ঘরামী বাদী হয়ে ৬ জনকে আসামী করে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ পেয়ে দুপুরে থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ সাজ্জাদ হোসেন সরেজমিন ঘটনাস্থল পরির্দশন করেছেন। সদর ইউনিয়নের নরেরকাঠি গ্রামের বিমল কৃষ্ণ ঘরামী জানান বৃহস্পতিবার তাদের পারিবারিক শশ্মানে তার বাবা সুরেন ঘরামী ও মা মানদা রাণী ঘরামীর সমাধী মন্দির নির্মাণ কাজ শুরু করলে পাশ^বর্তী কালি মন্দির কমিটির সভাপতি রঞ্জিত রায় ও সম্পাদক বিপ্লব হালদার,সদস্য অজিত হালদার,নিরঞ্জন হালদার,মিল্টন হালদার,বিনয় সিকদার,সুজন মিস্ত্রী ও নিরোধ হালদার সমাধী মন্দির নির্মাণ কাজে বাধা প্রদান করেন এবং অকথ্য ভাষায় গালাগাল দেওয়া সহ বিভিন্ন হুমকি-ধামকি দেন। পরে এনিয়ে শালিস বৈঠকের জন্য মন্দির কমিটির নেতৃবৃন্দ ৫ দিনের সময় চাওয়ায় সমাধী মন্দির নির্মাণ কাজ স্থগিত রাখা হয়। কিন্তু সোমবার গভীর রাতে ওই সমাধী মন্দির ভেঙ্গে গুড়িয়ে ফেলে পাশের পুকুর ও ডোবায় ফেলে দেয়া হয়। বিমল কৃষ্ণ ঘরামী অভিযোগ করেন তার বাবা ও মায়ের সমাধী মন্দির নির্মাণ কাজে বাধা প্রদানকারীরাই সমাধী মন্দির ভেঙ্গে ফেলেছে। মন্দির কমিটির নেতৃবৃন্দ’র বিরুদ্ধে এর আগে পারিবারিক ওই শশ্মানের একাংশ দখল করার অভিযোগ রয়েছে। এদিকে সমাধী মন্দির ভেঙ্গে ফেলার ঘটনায় সংখ্যালঘু অধ্যূষিত ওই গ্রামে ক্ষোভের সঞ্চার হওয়ার পাশাপাশি দু’পক্ষ মুখোমুখি অবস্থান নেওয়ায় এলাকায় শান্তি শৃঙ্খলা বিঘিœত হওয়ার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। এ প্রসঙ্গে থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ সাজ্জাদ হোসেন জানান সমাধী মন্দির ভেঙ্গে ফেলার সত্যতা পাওয়া গেছে। এ ব্যপারে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Check Also
কুমিল্লা ও ফরিদপুরকে বিভাগ করার সুপারিশ দেবে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন
কুমিল্লা ও ফরিদপুরকে বিভাগ করার সুপারিশ করতে যাচ্ছে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন। মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সচিবালয় …