ঢাকা: সরকারি চাকরিতে কোটা প্রথা বাতিলে সরকারের পরাজয় হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
তিনি বলেন, আমাদের দল থেকে বলা হয়েছে, কোটা সংস্কার আন্দোলন এটা যৌক্তিক দাবি। আর যৌক্তিক বলেই আমরা সমর্থন করেছিলাম। কিন্তু সরকার এটাকে সমর্থন করে নাই।
সর্বশেষ প্রধানমন্ত্রী সংসদে বললেন, কোটা পদ্ধতিই তিনি বাতিল করে দিলেন। এটা সরকারের পরাজয়। এছাড়া কোটা পদ্ধতি বাতিলের আন্দোলন থেকে বিএনপি শিক্ষা নিতে চায় বলেও জানান ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে নাগরিক কণ্ঠ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। ‘বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও গণতন্ত্র উত্তরণের সুষ্ঠু নির্বাচন অপরিহার্য’ শীর্ষক এই সভায় সভাপতিত্ব করেন আয়োজক সংগঠনের সভাপতি রমিজ খান।
বাংলাদেশের সমস্ত মানুষের স্বার্থ এখানে জড়িত। কোটা পদ্ধতিতে যেমন ভবিষ্যৎ ছাত্রদের স্বার্থ জড়িত, তাই সবাই নেমেছে। আমাদের যে দাবি, গণতন্ত্র, ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন- এগুলোর সাথে সরাসরিভাবে জনগণ সম্পৃক্ত। জনগণ কিন্তু এটার জন্য এবং সময়ের জন্য অপেক্ষা করছে। সময় এসেছে জনগণ রাস্তায় নেমে এদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন, নিরপেক্ষ সরকার এবং খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে আন্দোলনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।
তিনি বলেন, ঐক্যবদ্ধ হয়ে থাকার কারণে কোটা আন্দোলন সফল হয়েছে। তবে কোনো কোনো মিডিয়া এই আন্দোলনকে ভালোভাবে প্রকাশ করে নাই। কিন্তু তাদের সফলতা প্রমাণ করে যে, মিডিয়া যদি কিছু ধামাচাপা দিতেও চেষ্টা করে, যৌক্তিক হলেও সেটা ধামাচাপা দিয়ে কিছু করা যাবে না।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কোটা আন্দোলনকারীদের সমর্থন ও সহযোগিতা করার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদকে বলেছেন- বিষয়টি উল্লেখ করে খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, এখানে কোথায় অন্যায় হয়েছে? বরং যৌক্তিক একটি আন্দোলনে তারেক রহমান সমর্থন দিয়েছেন। এটা যে যৌক্তিক সেটা প্রমাণিত হয়েছে।
‘প্রধানমন্ত্রী বাধ্য হয়ে, এই আন্দোলনের কাছে মাথা নত করে এবং পরাজয় স্বীকার করে কোটা পদ্ধতি বাতিল করেছেন’, বলেন খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মা ফাতেমা আমীনের মৃত্যুর সংবাদ উল্লেখ করে বিএনপির এ নেতা বলেন, আমি আল্লাহর কাছে মির্জা ফখরুল ইসলামের মাতার আত্মায় মাগফিরাত কামনার জন্য দোয়া চাচ্ছি।
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক প্রকৌশলী মাহমুদুর রহমান, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (একাংশের) সভাপতি রুহুল আমিন গাজী, বিএনপির সহ-প্রচার সম্পাদক শামীমুর রহমান শামীম প্রমুখ।