নিজস্বপ্রতিনিধি: সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা এসএম মাহাবুববর রহমান অবশেষে চাকুরি থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। বৃহষ্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে তিনি পরিষদ চেয়ানরম্যানের ব্যক্তিগত সহকারি শাহানা পারভিনের কাছে এ পদত্যাগপত্র জমা দেন। এতে শেষ হলো মাহাবুবর রহমানের জেলা পরিষদের ২৭ বছরের চাকুরি জীবন।
জেলা পরিষদ সদস্য এড. শাহানাজ পারভিন মিলি জানান, অনিয়ম ও দূর্ণীতির অভিযোগে জেলা পরিষদ প্রশাসক এসএম মাহাবুবর রহমানকে বিগত জেলা পরিষদ নির্বাচনের পরদিন স্থানীয়রা অফিসে এসে লাঞ্ছিত করে। সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে আব্দুর রউফ কমপে¬ক্সে অনিয়ম ও দূর্ণীতির মাধ্যমে জেলা পরিষদের টাকা খরচ করার অভিযোগে তদন্ত হয়। বর্তমানে তার বিরুদ্ধে দূর্ণীতির তদন্তে নেমেছে দুদক। বদলী সংক্রান্ত হাইকোর্টের খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে মাহাবুবর রহমান সুপ্রিম কোর্টে গেলে কোন সুবিধা করতে না পেরে পরিষদের কয়েকজন সদস্যের সুপারিশে তিনি আবারো বহাল থাকেন সাতক্ষীরা অফিসে। একপর্যায়ে বৃহষ্পতিবার দুপুর ২৯টি পুকুর ইজারা সংক্রান্ত টেণ্ডার ও বিকেল চারটায় মাসিক মিটিং আহবান করেন মাহাববুর রহমান। শ্যামনগরের নওয়াবেকী খেয়াঘাট ইজারার নামে ছয় লাখ টাকা নেওয়াসহ বিভিন্ন খেয়াঘাট ও পুকুর ইজারা দেওয়ার নাম করে বহু টাকা নিয়ে তিনি তার ব্যক্তিগত খরচ করেছেন বিষয়টি জানতে পেরে বৃহষ্পতিবার দুপুর আড়াইটার দিকে সদস্যদের সঙ্গে তার বচসা হয়। এ সময় তার উপর চড়াও হলে তিনি ক্ষমা চেয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে চাকুরি থেকে অব্যহতি নেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। একপর্যায়ে বিকেল ৫টার দিকে মাহাবুবর রহমান জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের সঙ্গে দেখা করে তার ব্যক্তিগত সহকারির কাছে তার ইস্তফা পত্র জমা দিয়ে চলে যান। তবে আগামি মাসিক সভায় আব্দুর রউফ কমপে¬ক্সে জেলা পরিষদের টাকা বন্ধ করে দেওয়ার ব্যাপারে সদস্যরা সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানান।
জানতে চাইলে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নজরুল ইসলামের সঙ্গে কতা বলা সম্ভব হয়নি। তবে প্যানেন চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বাবু মোবাইল ফোনে মাহাবুবর রহমানের ইস্তফার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ ব্যাপারে এসএম মাহাবুবর রহমানের কাছে বৃহষ্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে জানতে চাইলে তার মুঠো ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।