ক্রাইমবার্তা রিপোট: সাতক্ষীরায় ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ৫দিন ব্যাপী চৈত্র সংক্রান্তি ও বৈশাখী মেলা-১৪২৫ উদ্বোধন করা হয়েছে। শুক্রবার বিকালে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে সাতক্ষীরা শহিদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইফতেখার হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে ফিতা কেটে এ মেলার উদ্বোধন করেন সাতক্ষীরা-০২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। এসময় তিনি বলেন, ‘বৈশাখী মেলা আবহমান বাংলার চিরায়ত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অবিচ্ছেদ্য অংশ। হাজার বছর ধরে বাঙালি জাতি গ্রাম গঞ্জে এর আয়োজন করে আসছে। সাম্প্রতিককালে এ ধরনের আয়োজন শহরেও হচ্ছে। মেলাকে ঘিরে জাতি, ধর্ম ও বর্ণ কিংবা ধনী-গরিব নির্বিশেষে সব শ্রেণীর মানুষের মধ্যে এক ধরনের সম্মিলন ও ঐক্য গড়ে ওঠে। এ দিনেই স্মরণ হয়, সবার পরিচয় একটিই- আমরা সবাই বাঙালি। বিশ্বে এ ধরনের সার্বজনীন মিলনমেলার অনুষ্ঠান খুব একটা খুঁজে পাওয়া যাবে না। বৈশাখী মেলা আমাদের প্র্রাণের উৎসব। এ উৎসবকে বেগবান করার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় সরকারি চাকুরেদের জন্য মূল বেতনের ২০ শতাংশ বৈশাখী ভাতা চালু করা হয়েছে। বাংলা নববর্ষ উদযাপনকে বাঙালির সাংস্কৃতিক বিপ্লব বলে উল্ল্যেখ করেন। তিনি বলেন, বর্ষবরণের এ উৎসব ইতিমধ্যে বাঙালির প্রাণের উৎসবে পরিণত হয়েছে। দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য বিকাশমান সাংস্কৃতিক অগ্রগতির ধারাকে অব্যাহত রেখে সামগ্রীকভাবে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে।
মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. জাকির হোসেন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোতাকাব্বির হোসেন, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার তহমিনা খাতুন, জেলা শিক্ষা অফিসার এস.এম আব্দুল্লাহ আল-মামুন, জেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক শেখ হারুন উর রশিদ, জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা আবু জাফর মো. আসিফ ইকবার, জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক জ্যোৎন্সা আরা, এনডিসি মোশারেফ হোসাইন প্রমুখ।
মেলায় বিভিন্ন অঞ্চলের হস্ত, কারুশিল্পী ও উদ্যোক্তাদের উৎপাদিত পণ্যসামগ্রীর প্রায় ১০টি স্টল স্থান পেয়েছে। মেলায় ১০টি স্টলে কারুশিল্পীরা তাদের বিভিন্ন পণ্য মেলার মাঠে তৈরি করে তা প্রদর্শন ও বিক্রি করছেন। মেলা উপলক্ষে প্রতিদিন লাঠি খেলা ও বিভিন্ন অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী লোকসঙ্গীতসহ অন্যান্য গান পরিবেশিত হবে এবং শিশু-কিশোরদের জন্য নাগর-দোলাসহ বিভিন্ন বিনোদনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। মেলা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
এমপি রবিসহ অতিথিবৃন্দ প্রথমে ফিতা কেটে এবং বেলুন -ফেস্টুন উড়িয়ে মেলার উদ্বোধন করেন। পরে অতিথিবৃন্দ মেলার বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জেলা শিল্পকলা একাডেমির সদস্য সচিব শেখ মুশফিকুর রহমান মিল্টন।