বক্তারা বলেন, কোটা বাতিলের নামে যে আন্দোলন হয়েছে, ঢাবি ভিসির বাড়িতে হামলার ঘটনার মধ্যদিয়ে তা স্বাধীনতা বিরোধীদের ষড়যন্ত্র বলে পরিষ্কার হয়েছে। একইভাবে কোটা বাতিলের আন্দোলনে নানাভাবে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কটাক্ষ ও অসম্মান করা হয়েছে, যা স্বাধীন বাংলাদেশে কাম্য নয়।
বক্তারা বাংলাদেশের সূর্য সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান অক্ষুণœ রাখা ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবার সুরক্ষা আইনের পাশাপাশি রাজাকারদের সন্তানদের বাংলাদেশের সকল চাকুরীতে অযোগ্য ঘোষণার দাবি জানান।
পরে একটি বিক্ষোভ মিছিল শহরের প্রধান সড়ক প্রদিক্ষণ করে জেলা কালেক্টরেট চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। এ সময় ‘স্বাধীন বাংলায়, রাজাকারের ঠাই নাই,’ ‘স্বাধীনতার শত্রুরা হুশিয়ার সাবধান,’ ‘স্বাধীনতা বিরোধীদের সরকারি সুযোগ-সুবিধা বাতিল কর, করতে হবে,’ ‘একাত্তরের হাতিয়ার, ‘গর্জে ওঠো আরেক বার’ প্রভৃতি স্লোগানে প্রকম্পিত হয় রাজপথ।
পরে ছয় দফা দাবি সংবলিত একটি স্মারকলিপি জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে পেশ করা হয়।
স্মারকলিপিতে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান অক্ষুণ্ণœ রাখা ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবার সুরক্ষা আইন পাস, কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে যারা ঢাবি ভিসির বাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে তাদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করা, কোটা নয়, পৃথক পরীক্ষার মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান-সন্তানাদিদের চাকুরির ব্যবস্থা করা, স্বাধীনতাবিরোধী ও রাজাকারদের পরিবারের সদস্যদের সকল প্রকার সরকারি সুযোগ-সুবিধায় অযোগ্য ঘোষণা করা, পিছিয়ে পড়া এলাকা, নারী, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ও প্রতিবন্ধীদের জন্য পৃথক নিয়োগ পরীক্ষা গ্রহণ ও চাকরির ভাইভা বোর্ডে স্বাধীনতাবিরোধীদের অযোগ্য ঘোষণার দাবি জানানো হয়েছে।