বিশেষ প্রতিনিধি : দক্ষিণ নড়াইল তথা ভৈরব উত্তর জনপদের বাঘুটিয়া, শ্রীধরপুর, শুভরাড়া, বিছলী, কড়োলা ও শিঙ্গাশোলপুরসহ এতদঞ্চলে চলতি মৌসুমে দিনমুজুর কৃষকের চাহিদা এখন তুঙ্গে। পাকা-আধাপাকা ধান কাটার শুরুতে বৃষ্টিতে বিষণœ চাষী। এর ওপর কিষাণের দাম চড়া। কৃষক যখন তার সর্বস্ব বিক্রি করে হাড়কাপানো শীত উপেক্ষা করে চড়া মূল্যে বীজ সার কিটনাশক সেচ ও অন্যান্য হাজারো ব্যয়ে ফলিত ফসল ঘরে তুলবেন তখন দেখা দিয়েছে কিষাণের দৌরত্ম। সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে নওয়াপাড়া, ফুলতলা, বসুন্দিয়া, মির্জাপুর, সিঙ্গিয়াসহ বিভিন্ন বাজারে সুদূর চাপাইনবাবগঞ্জ, পাবনা, সাতক্ষীরাসহ বিভিন্ন জেলা ও অঞ্চল থেকে কিষাণ এসেছে। তবে দমকা হাওয়া, বৃষ্টি ও শীলাবৃষ্টিতে কৃষক যখন বিপদে তখন আগত কৃষকেরা তাদের মূল্য হাঁকাচ্ছেন স্বাভাবিক জনমূল্যের দেড় দ্বিগুণ বা তারও বেশি। অন্য সময় যে কৃষাণ পাওয়া যায় মাত্র ৪ থেকে ৫শ’ টাকায়। এখন তা বিক্রি হচ্ছে ৬’ থেকে ৮’শ টাকায়। এত চড়া দামে জন কিনে ফসল ঘরে তুলতে চাষীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। স্থানীয় ধান চাষীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, এক বিঘা জমিতে এখন পর্যন্ত যে খরচ তার ওপর ধান কাটা ও বহনে যে খরচ হবে তাতে উৎপাদিত ফসল সব বিক্রি করেও তার দাম ওঠবে না। কেননা একদিকে চড়া দামে কৃষাণ ও বহন। অন্যদিকে ফসল ওঠার সাথে সাথে ধানের বাজার দর যাবে কমে। এমমসব তথ্য জানিয়ে দক্ষিণ নড়াইলের বিছালী ইউনিয়নের কৃষক বাচ্চু বিশ্বাস জানান,‘ চাষে যে খরচ তাতে আর ধান চাষ কত্তি মন চায় না। গতরে খেটে আর কত পারা যায়।’ এমন অসংখ্য বিরূপ মন্তব্য পাওয়া গেল ভৈরব উত্তর জনপদের ধানচাষীদের কাছ থেকে। তাদের দাবি কৃত্রিম সঙ্কট তৈরি করে যারা সার, কিটনাশক, বীজ, কৃষি যন্ত্রাংশ ও জনের (কৃষাণ) দাম বাড়ায় তাদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দিতে হবে। জনবান্ধব বর্তমান সরকারের প্রতি এ দাবি তোলেন তারা।
Check Also
কুমিল্লা ও ফরিদপুরকে বিভাগ করার সুপারিশ দেবে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন
কুমিল্লা ও ফরিদপুরকে বিভাগ করার সুপারিশ করতে যাচ্ছে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন। মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সচিবালয় …