ক্রাইমবার্তা ডেস্করিপোট; চট্টগ্রাম : চাঁদার দাবিতে কলেজ অধ্যক্ষ ড. জাহেদকে মারধরের পর এবার ইউনি এইড কোচিং সেন্টার এর মালিক রাশেদকে ২০ লক্ষ টাকার চাঁদার জন্য মারধর করার অভিযোগ উঠেছে চট্টগ্রাম নগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনির বিরুদ্ধে।
এঘটনায় মারধরের শিকার রাশেদ নগরীর পাঁচালাইশ থানার অভিযোগ দায়ের করেছেন।
মারধরের শিকার রাশেদ জানান, গত ফ্রেব্রুয়ারি মাসের ১৭ তারিখে রনি আমার জিইসি মোড়ের অফিসে এসে ২০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। আমি চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় সে আমাকে মারধর করে।এরপর গত ১৩ এপ্রিল রনি আমাকে তার মুরাদপুরের অফিসে ডেকে নিয়ে আবারও মারধর করে। ওই দিন রাতে সে আমার সুগন্ধা আবাসিক এলাকার বাসায় সন্ত্রাসী পাঠিয়ে আমার ও আমার স্ত্রীর পাসপোর্ট এবং ৩৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এঘটনায় আমি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি।
এবিষয়ে জানতে চাইলে পাঁচলাইশ থানার ওসি মহিউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ছাত্রলীগ নেতা রনির বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ হয়েছে। আমরা বিষয়টি তদন্ত করছি।
এবিষয়ে জানতে নগর ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনি বলেন, ভাই রনি বক্তব্য হলো,কোচিংয়ে তার ৯ লাখ টাকার শেয়ার আছে। রাশেদ তার ব্যবসায়িক পাটনার। রাশেদ তার ৯ লাখ মেরে দেয়ায় তাকে উত্তেজিত হয়ে মেরেছে।
উল্লেখ্য, এর আগে গতমাসে নগরীর চকবাজার এলাকায় চাঁদার দাবিতে বেসরকারি কলেজ চট্টগ্রাম বিজ্ঞান কলেজের অধ্যক্ষ ড. জাহেদকে মারধর করে রনি।এঘটনায় কার বিরুদ্ধে চকবাজার থানায় দু’টি মামলা দায়ের করা হয়।
সেই রনিকে ছাত্রলীগ থেকে অব্যাহতি
চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনিকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের জন্য বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে রনিকে ছাত্রলীগ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।
২০১৩ সালের অক্টোবরে ছাত্রলীগের চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক হন নুরুল আজিম রনি। আওয়ামী লীগ নেতা এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর অনুসারী হিসেবেই তিনি এ পদ পান। যদিও এর আগে ছাত্রলীগের কোনো গুরুত্বপূর্ণ পদ-পদবিতে রনি ছিলেন না। সাধারণ সম্পাদকের পদ পাওয়ার পর থেকেই তিনি একের পর এক অঘটন ঘটানো শুরু করেন। তার অপকর্ম পুরো সংগঠনের কার্যক্রমকেই প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।
হাটহাজারীতে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের কেন্দ্র দখল ও প্রভাব বিস্তার করতে গিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের কাছে অস্ত্রসহ ধরা পড়েন রনি। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত তাকে সাজা দেন।
অতিরিক্ত ফি আদায়ের প্রতিবাদে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হানা দিয়ে শিক্ষক ও পরিচালনা কমিটির সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়া, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনের নেয়া সুইমিং পুল নির্মাণ প্রকল্পের বিরুদ্ধে অবস্থানসহ নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে রনি অংশ নেন। এতে নগর ছাত্রলীগের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়ে।