ক্রাইমবার্তা ডেস্করিপোট: সমকামিতার অভিযোগে রাজশাহী মহানগর যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুল হক সুমনকে দল থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।সুমনকে কেন স্থায়ীভাবে সংগঠনের সব পদ থেকে বহিষ্কার করা হবে না-জানতে চেয়ে ১৫ দিনের মধ্যে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।শুক্রবার সন্ধ্যার পর রাজশাহী মহানগর যুবলীগের কার্যনির্বাহী কমিটির এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।মহানগর যুবলীগের দফতর সম্পাদক মাহমুদ হাসান খান চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে যুবলীগ নেতা সুমনকে বহিষ্কারের বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানানো হয়। উল্লেখ্য, যুবলীগ নেতার সমকামিতার ভিডিও চিত্রের একটি কপি যুগান্তরের হাতেও এসেছে।এদিকে যুবলীগ নেতা সুমনের বহিষ্কার প্রসঙ্গে রাজশাহী মহানগর যুবলীগের সভাপতি রমজান আলী জানান, সম্প্রতি বিভিন্ন সামাজিকমাধ্যম ও পত্রপত্রিকায় যুবলীগ নেতা তৌহিদুল হক সুমনের অসামাজিক কিছু কার্যকলাপের ভিডিও ছবি প্রকাশ করা হয়।
এসব পর্যালোচনার পর শুক্রবার সন্ধ্যার পরে মহানগর যুবলীগের কার্যনির্বাহী কমিটির ৯৩ জন সদস্যের অংশগ্রহণে সুমনের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, যুবলীগ নেতা তৌহিদুল হক সুমন সমকামিতায় লিপ্ত হতেন বেশ কয়েক বছর ধরে। এরই মধ্যে গত ১২ এপ্রিল এলাকায় তার প্রতিপক্ষ লোকজন সুমনকে ধরার জন্য ফাঁদ পাতেন।সে অনুযায়ী একজন কম বয়সী যুবককে তার সঙ্গে দেয়া হয়। নিজের অভ্যাসবশত সুমন সেই ফাঁদে পা দেন।প্রতিপক্ষরা যুবলীগ নেতা সুমনের বিকৃত যৌনাচারের দৃশ্যাবলি গোপনে ভিডিও করে ফেলেন। এসব কুরুচিপূর্ণ ভিডিও চিত্র ছড়িয়ে দেয়া হয় সামাজিক মাধ্যমে।
এ নিয়ে গত ১৯ এপ্রিল একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার জরুরি সভা ডেকে সুমনকে দল থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত হয়।
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে তৌহিদুল হক সুমন বলেন, আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে তা সত্য নয়। আমি আসন্ন সিটি নির্বাচনে ১৯নং ওয়ার্ড থেকে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি। আর এ কারণেই আমার প্রতিপক্ষ গ্রুপ প্রযুক্তির কারসাজিতে এসব ভিডিও ছড়িয়ে দিয়েছে।যুগান্তর