ক্রাইমবার্তা ডেস্করিপোট: আত্মহত্যার যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দেয়ার জন্য বিশেষ যন্ত্র আবিষ্কার করেছেন এক বিজ্ঞানী। যন্ত্রটির নাম ‘সার্কো’। যন্ত্রটি তৈরি করেছেন ৭০ বছর বয়সী অস্ট্রেলীয় উদ্ভাবক এবং চিকিৎসক ড. ফিলিপ নিৎশকে।
নেদারল্যান্ডের রাজধানী আমস্টারডামে গত সপ্তাহে অনুষ্ঠিত ‘ফিউনারেল ফেয়ার’ মেলায় আত্মহত্যা বা স্বেচ্ছামৃত্যুর সুযোগ করে দেবে এমন একটি যন্ত্র প্রকাশ করা হয়। খবরইন্ডিপেন্ডেন্ট ও এএফপি।
‘সার্কো’ নামটি এসেছে ‘সার্কোফ্যাগাস’ শব্দটি থেকে। পাথরের তৈরি অলঙ্কৃত কফিনকে সার্কোফ্যাগাস বলা হয়। কফিনের মতো এই যন্ত্রটি একটি স্ট্যান্ডের ওপর দাঁড় করানো আছে। এর সঙ্গে সংযুক্ত আছে নাইট্রোজেনের একটি ক্যান।
ফিলিপ নিৎশকে বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন, স্বেচ্ছামৃত্যু চাইলে এই কফিনের ভেতরে শুয়ে একটি বোতাম চাপতে হবে। এতে কফিনের ভেতরটা নাইট্রোজেনে ভরে যাবে। প্রথমে একটু মাথা ঘোরার ভাব হবে। এরপর ঐ ব্যক্তি অচেতন হয়ে যাবেন এবং কিছু সময় পর মারা যাবেন।
তবে কেউ যদি শেষ মুহূর্তে কেউ যদি সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেন, তার জন্য একটি ইমার্জেন্সি এক্সিট উইন্ডোর ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। উইন্ডোর গায়ে একটি বোতাম আছে যাতে চাপ দিলে উইন্ডো টি খুলে যাবে এবং ভেতরের ব্যক্তি বের হয়ে আসতে পারবেন।
ফিলিপ নিৎশকে নিজেকে ‘স্বেচ্ছামৃত্যু এবং ‘যুক্তিযুক্ত আত্মহত্যার’ পক্ষে একজন কর্মী মনে করেন। ‘এক্সিট ইন্টারন্যাশনাল’ নামে একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান রয়েছে তার। যেখানে বলা হয় অসুস্থ এবং মৃত্যুপথযাত্রী একজন মানুষের অধিকার রয়েছে নিজের মৃত্যু বেছে নেওয়ার। তিনি মনে করেন, স্বেচ্ছামৃত্যু এবং আত্মহত্যা দুটোই মানুষের অধিকার। এ কারণেই সার্কো তৈরি করেছেন তিনি।
ড. নিৎশকে জানান, সুইজারল্যান্ডে যন্ত্রটির সর্বপ্রথম ব্যবহার হতে পারে। পরবর্তীতে এটি ব্যবহারে ইচ্ছুক ব্যক্তি ইন্টারনেটের মাধ্যমে তাদের সাথে যোগাযোগ করলে তারা বিনামূল্যে এর ডিজাইন সরবরাহ করবে। যা থ্রিডি প্রিন্টারের মাধ্যমে প্রিন্ট করে ব্যবহার করা যাবে।
সার্কো ইতিমধ্যে সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। এ নিয়ে বিভিন্ন মহলে সমালোচনার ঝড় বইছে।একে বাজে উদ্ভাবন আখ্যায়িত করে বিশেষজ্ঞরা বলেন এটি আত্মহত্যাকে প্ররোচিত করবে।
কনটেন্ট ক্রেডিট: মেডিভয়েস