ক্রাইমবার্তা ডেস্করিপোট: খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনে ২০ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক জামায়াতকে নিয়ে বিএনপি কৌশলী ভূমিকায় রয়েছে। নির্বাচনি ময়দানে পাঁচটি ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে জামায়াতের প্রার্থী রয়েছে। ওই পাঁচটি ওয়ার্ডে বিএনপিও দলীয় মনোনয়ন দিয়ে প্রার্থী রেখেছে। আবার মেয়র পদ নিয়ে বিএনপির সঙ্গে ২০ দলীয় জোটের বৈঠক হচ্ছে। কিন্তু জামায়াত প্রকাশ্যে আসছে না। ৫০ হাজারের বেশি রিজার্ভ ভোট নিয়ে জামায়াতও রয়েছে সতর্ক অবস্থানে। পাঁচজন কাউন্সিলর প্রার্থী নিয়ে বিএনপির সঙ্গে জামায়াত অনেকটা নীরবেই দেনদরবার করছে। বিএনপি বিভিন্ন ঘরোয়া বৈঠকে মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের পক্ষে জনমত তৈরিতে কাজ করছে ২০ দলের নেতাদের সঙ্গে নিয়ে।
এ বিষয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম বলেন, ‘কেসিসি নির্বাচনে বিএনপির শরিকরা সুযোগ-সুবিধা অনুযায়ী জোটের সঙ্গে থাকবেন। জামায়াতের সঙ্গে পুলিশ কীভাবে আচরণ করবে, সেই অনুযায়ী তাদের আলাদা কৌশল থাকতে পারে। তবে এতে বিএনপির কোনও সমস্যা হবে না।’
জামায়াতের মহানগর অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মো. শাহ আলম বলেন, ‘১৯৯৪ সালে সিটি নির্বাচনে জামায়াতের মেয়র প্রার্থী অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার প্রায় ২৮ হাজার ভোট পেয়েছিলেন। এরপর চব্বিশ বছর অতিবাহিত হয়েছে। এসময়ে জামায়াতের ভোট ৫০ হাজার থেকে বেড়ে ৭০ হাজার হয়েছে। যা সিটি নির্বাচনে প্রভাব ফেলবে।’ তিনি বলেন, ‘আমরা বিএনপিকে সহযোগিতা দেওয়ার কথা বলেছি। পাশাপাশি সিটি নির্বাচনে পাঁচটি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে জামায়াতের প্রার্থীর জন্য বিএনপির কাছে সমর্থন চাওয়া হয়েছে। বিএনপি পাঁচজনকে সমর্থন দিলে আমরা জামায়াতের ভোট ব্যাংক নিয়ে তাদের সহযোগিতা করবো।’