ক্রাইমবার্তা রিপোট: গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মঙ্গলবার সকালে দলীয় প্রতীক পেয়েই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রধান দুই মেয়র প্রার্থী ২০ দলীয় জোটের বিএনপি হাসান উদ্দিন সরকার ও ১৪ দলীয় জোটের আওয়ামী লীগ প্রার্থী মো. জাহাঙ্গীর আলমসহ কাউন্সিলর প্রার্থীরা প্রচারণা ও জনসংযোগে নেমে পড়েন।
প্রতীক বরাদ্দের দিন মঙ্গলবার সকালে জাহাঙ্গীর আলম দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে সকালে বঙ্গতাজ অডিটরিয়ামে যান। তবে এসময় মহানগর আওয়ামী লীগের অল্পসংখ্যক নেতা ছাড়া দলের জেলা ও মহানগর শাখার শীর্ষ পর্যায়ের কোনো নেতা তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন না।
এমনকি দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আজমত উল্লাহ খান ও আওয়ামী যুবলীগের আহ্বায়ক কামরুল আহসান সরকার রাসেল, অ্যাডভোকেট ওয়াজ উদ্দিন মিয়া, মো. মতিউর রহমান মতি সেখানে অনুপস্থিত ছিলেন।
এ নিয়ে নানা মহলে দিনব্যাপী গুঞ্জন ছিল, এটা কি স্থানীয় আওয়ামী লীগের মধ্যে বিভক্তির সুর? অনেকেই একে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের বহিঃপ্রকাশ হিসেবে দেখছেন।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে দলের জেলা কমিটির সাধারন সম্পাদক ইকবাল হোসেন সবুজ জানান, তিনি নির্বাচন সংক্রান্ত অন্য কাজে ছিলেন। তাই তিনি জাহাঙ্গীর আলমের সাথে উপস্থিত থাকতে পারেননি।
মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি রিপন সরকার জানান, তাকেও প্রতীক বরাদ্দের সময় উপস্থিত থাকতে বলা হয়নি। তবে তিনি জানান, আমাকে না বলা হলেও নির্বাচনী প্রচারণায় আমার অংশগ্রহণ আছে।
দলের মহানগর কমিটির সিনিয়র সহসভাপতি অ্যাডভোকেট ওয়াজ উদ্দিন মিয়াকেও উপস্থিত থাকার ব্যাপারে কোনো কিছু জানাননি জাহাঙ্গীর বা তার লোকজন। ওয়াজ উদ্দিনও দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশা করে বঞ্চিত হয়েছেন।
এ ব্যাপারে তিনি জানান, আমি অসুস্থ, তাই বাসায় অবস্থান করছি। গাজীপুরের আরেক প্রবীণ নেতা মো. আতাউল্লাহ মণ্ডল তাকেও উপস্থিত থাকতে দেখা যায়নি।
অপর দিকে যুবলীগের মহানগর শাখার আহ্বায়ক ও দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত নেতা কামরুল আহসান সরকার রাসেল জানান, তাকেও প্রতীক বরাদ্দের দিন উপস্থিত থাকার বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। এ বিষয়ে আজমত উল্লাহ খানের মোবাইলে অনেকবার চেষ্টা করা হলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।
অন্যদিকে মেয়র প্রার্থী জাহাঙ্গীরের মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে অন্য একজন মোবাইল ধরে জানান, তিনি এখন পথসভা নিয়ে ব্যস্ত আছেন। এ বিষয়ে পরে যোগাযোগ করেন।