ক্রাইমবার্তা রিপোট: ফরিদপুরে মোটরসাইকেল কিনে না দেয়ায় শোয়ার ঘরে পেট্রল ঢেলে আগুনে পুড়িয়ে নিজ বাবাকে হত্যা মামলার আসামি ফারদিন হুদা মুগ্ধকে (১৯) প্রায় দুই বছর পর গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সোমবার রাতে পুলিশ জিগাতলার একটি বাসা থেকে মুগ্ধকে গ্রেফতার করে ফরিদপুরে নিয়ে আসে।
মামলা ও কোতোয়ালি থানা সূত্রে জানা গেছে, শহরের কমলাপুর বটতলা এলাকার বাসিন্দা রফিকুল হুদা পিন্টুকে বিভিন্ন সময় মোটরসাইকেল কিনে দেয়ার জন্য চাপ দেয় তার একমাত্র ছেলে ফারদিন হুদা মুগ্ধ।
২০১৬ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর বিকালে মুগ্ধ তার বাবাকে ফের মোটরসাইকেল কিনে দেয়ার জন্য চাপ দেয়। কিন্তু তার বাবা মোটরসাইকেল কিনে দেবেন না বলে জানান মুগ্ধকে।
এরপর মুগ্ধ উত্তেজিত হয়ে তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। বাবা-ছেলের বাগ্বিতণ্ডার একপর্যায়ে মুগ্ধ তার বাবার শোয়ার ঘরে পেট্রল দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়।
রফিকুল হুদার চিৎকারে তার স্ত্রী সিলভিয়া হুদা এগিয়ে এসে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে তিনিও গুরুতর আহত হন।
মারাত্মক আশঙ্কাজনক অবস্থায় দুজনকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয়রা। পরে অবস্থার অবনতি হলে রফিকুল হুদাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২০১৬ সালের ২১ সেপ্টেম্বর ভোর ৪টার দিকে রফিকুল হুদা মারা যান।
এ ঘটনায় নিহতের ভাই আকরাম উদ্দিন ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় ফারদিন হুদা মুগ্ধকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।
মামলার পর থেকেই পলাতক ছিল মুগ্ধ। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কোতোয়ালি থানা পুলিশ জানতে পারে ঘাতক মুগ্ধ ঢাকার জিগাতলা এলাকায় রয়েছে।
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম নাসিম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে প্রায় দুই বছর পর দেশব্যাপী আলোচিত এ ঘটনার একমাত্র আসামিকে আটক করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে বাবাকে হত্যার কথা অকপটে স্বীকার করেছে মুগ্ধ।