সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. আফম রুহুল হক এমপির অ্যাম্বাসেডর আশাশুনি উপজেলার হাজরাখালি গ্রামের তৌষিকে কাইফু জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করাকালিন ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। পরে তিনি শরিফ – সিরাজ কমিটির উপ সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক হন। বর্তমানে তিনি ডা. রুহুল হক এমপির কাছাকাছি থেকে সরকারের উন্নয়ন সাফল্য তুলে ধরছেন। অথচ আশাশুনির কুচক্রীদের হোতা চাঁদাবাজ ফায়জুর তার বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচার দিয়ে নানা ষড়যন্ত্র করে বেড়াচ্ছে।
বুধবার বিকালে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে এ কথা বলেন জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার আমির হোসেন। এ সময় তার সাথে আরও উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবদুস সামাদ, অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মালেক, মুক্তিযোদ্ধা আবদুল করিম, সাবেক ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শহিদুল ইসলাম, আশাশুনি উপজেলা মহিলা যুবলীগ সভানেত্রী সীমা সিদ্দিকী, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সম্পাদক আবু হেনা পিন্টু ও মুক্তিযোদ্ধা সন্তানগন।
সংবাদ সম্মেলনে আমির হোসেন বলেন শ্রীউলা ইউনিয়নের কলিমাখালি গ্রামের লাঙ্গলদাঁড়িয়া মৌজায় কাইফুসহ এলাকাবাসী দীর্ঘদিন যাবত মাছের ঘের পরিচালনা করে আসছেন। ঘেরে পানি উঠা নামার জন্য একটি আউট ড্রেন নির্মান করা হয়েছে। এই ড্রেনের একটি অংশ বাবর আলির স্ত্রী স্বরুপজান বিবির মাছের ঘেরের পাশ দিয়ে নেওয়া হয়েছে। অপরদিকে ১৬ বছর যাবত কাইফুর জমির ওপর দিয়ে পানি উঠা নামার আউট ড্রেন রয়েছে। এতে ঈর্ষাণি¦ত হয়ে ফায়জুর রহমান স্বরুপজানকে তুরুপের তাস হিসাবে ব্যবহার করে আউট ড্রেনে বাধার সৃষ্টি করে। এর পর শ্রীউলা ইউপি চেয়ারম্যান আবু হেনা সাকিল, আনুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর আলম লিটনসহ গন্যমান্য ব্যক্তিগন উপস্থিত থেকে আউট ড্রেন সমস্যার সমাধান করেন। সেই থেকে ঘের মালিকরা ওই আউট ড্রেন ব্যবহার করে পানি উঠানামা করাচ্ছেন শান্তিপূর্নভাবে। এতেও গায়ে জ্বলা ধরেছে ফায়জুলের ।
সংবাদ সম্মেলনে মুক্তিযোদ্ধা আমির হোসেন আরও বলেন সম্প্রতি শ্রীউলায় জুয়া ও ফড়ের আসর বসানোর প্রতিবাদ করেন তৌষিকে কাইফু। এর জের হিসাবে ফায়জুর স্বরুপজানকে ব্যবহার করে আবারও আউট ড্রেন নিয়ে সমস্যার সৃষ্টি করতে থাকে। সরকারের উন্নয়ন কাজ প্রচার করায় ফায়জুর কাইফুর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনে তাকে হয়রানি করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। মুক্তিযোদ্ধা আমির হোসেন এর প্রতিকার দাবি করেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন স্বরুপজানের ছেলে ইজ্জত আলি চিহ্নিত মাছ চোর। এতে বাধা দিলে সে তার মা ও প্রতিবন্ধী বোনকে ব্যবহার করে এলাকার মানুষকে বিপদে ফেলে। স্বরুপজানের বড় ছেলে ইলিয়াস মাছ চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়ে জেল খাটে। ফায়জুর রহমানও একজন চাঁদাবাজ ও মাদক ব্যবসায়ী। রাজনৈতিক ও সাধারন মানুষকে জিম্মি করে তারা ফায়দা লোটে। সংবাদ সম্মেলনে তিনি ফায়জুরসহ কুচক্রীদের শাস্তির দাবিতে পুলিশ সুপারের দৃষ্টি আকর্ষন করেন।
Check Also
আশাশুনির খাজরা ইউনিয়নের খালিয়া রাস্তার বেহাল দশা।। বিপত্তিতে শতাধিক পরিবার।।দ্রুত সংস্কার দাবি
এস,এম মোস্তাফিজুর রহমান,আশাশুনি।।আশাশুনি উপজেলার খাজরা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড খালিয়া গ্রামের সানাপাড়ার প্রায় শতাধিক পরিবার একটি …