North Korea's leader Kim Jong Un (L) and South Korea's President Moon Jae-in (R) pose in front of a stone inscribed "Peace and Prosperity Are Planted" as they participate in a tree-planting ceremony next to the Military Demarcation Line that forms the border between the two Koreas at the truce village of Panmunjom on April 27, 2018. North Korean leader Kim Jong Un and the South's President Moon Jae-in sat down to a historic summit on April 27 after shaking hands over the Military Demarcation Line that divides their countries in a gesture laden with symbolism. / AFP PHOTO / Korea Summit Press Pool / Korea Summit Press Pool

পরমাণু নিরস্ত্রকরণে সম্মত দুই কোরিয়া

চলতি বছরের শেষ নাগাদ দুই কোরিয়ার মধ্যে শান্তিচুক্তি সই হবে। এ ছাড়া পরমাণু নিরস্ত্রকরণেও সম্মত হয়েছে দুই কোরিয়া বলে বলে জানা গেছে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান জানিয়েছে, উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার দুই নেতা বৈঠকে উপদ্বীপটিতে পরমাণু নিরস্ত্রকরণে সম্মত হয়েছেন।

সাড়ে ছয় দশক আগে কোরীয় যুদ্ধে টেনে দেয়া ভেদরেখার সামরিক সীমান্ত পার হয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার নেতা মুন জায়ে ইনের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ইতিহাস গড়লেন কিম জন উন।

তিনি বলেন, আমি আশা করব, আমাদের অতীতের ভুলগুলোর পুনরাবৃত্তি ঘটবে না। আমাদের এই বৈঠক কোরীয় উপদ্বীপের লোকজনকে উত্তর থেকে দক্ষিণে মুক্তভাবে চলাচলের সুযোগ তৈরি করে দেবে।

নিজেদের ইতিহাসের দায়িত্ব আমাদের নিতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

উত্তর কোরিয়ার নেতা বলেন, দক্ষিণ কোরিয়ায় পা দিয়ে আমি আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েছি। নতুন ইতিহাস শুরুর আভাস দিতেই আমি এখানে এসেছি।

দুই দেশের সীমান্তবর্তী গ্রাম পানমুনজমের পিস হাউস নামের একটি বাড়িতে শুক্রবার ঐতিহাসিক বৈঠকে বসেন দুই নেতা।

দীর্ঘ বিচ্ছিন্নতা, সম্পর্কের টানাপড়েন ও উত্তেজনার অচলায়তন ভেঙে কিম জন উন সামরিক রেখায় পৌঁছালে দক্ষিণের নেতা মুন তাকে স্বাগত জানিয়েছেন।

১৯৫৩ সালের কোরিয়া যুদ্ধের পর এই প্রথম উত্তর কোরিয়ার কোনো নেতা দক্ষিণে সফরে গেছেন।

বৈঠকের উদ্বোধনীতে কিম বলেন, শান্তির পথে এগিয়ে যেতে এই সম্মেলনে খোলামেলা আলোচনা করা সম্ভব বলে তিনি আশা করেন।

তিনি বলেন, আমি আজ সেই বিন্দু থেকে শুরু করলাম, যেখান থেকে শান্তি, সমৃদ্ধি ও আন্তঃকোরিয়া সম্পর্কের এক নতুন ইতিহাস লেখা হবে।

বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, দুই কোরিয়ার বিচ্ছিন্ন পরিবারগুলোর মধ্যে একটি পুনর্মিলনির আয়োজন করা হবে বলে জানা গেছে। এছাড়া হটলাইনে দুই কোরিয়া নেতার মধ্যে নিয়মিত যোগযোগ হবে। এ ক্ষেত্রে দুই দেশে দুটি অফিস খোলা হবে।

২০০০ ও ২০০৭ সালে পিয়ংইয়ংয়ে দুই কোরিয়ার শীর্ষ বৈঠকের পর এ ধরনের তৃতীয় সাক্ষাৎ এটি। উত্তর কোরীয় নেতার সঙ্গে আছেন ৯ কর্মকর্তা। এদের মধ্যে আছেন তার বোন কিম ইয়ো জং।

চলতি বছর দক্ষিণ কোরিয়ায় অনুষ্ঠিত শীতকালীন অলিম্পিকে উত্তরের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন ইয়ো জং। এ ছাড়া আছেন রাষ্ট্রীয় প্রধান কিম ইয়ং-ন্যাম এবং সামরিক কর্মকর্তাসহ কয়েকজন কূটনীতিক।

অন্যদিকে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে রয়েছেন সাত সদস্যের প্রতিনিধিদল। এর মধ্যে রয়েছেন প্রতিরক্ষা এবং পররাষ্ট্র ও একত্রীকরণমন্ত্রী (ইউনিফিকেশন)।

Check Also

ঢাকা প্রসঙ্গে বদলাতে পারে ভারতের পররাষ্ট্রনীতি

পাঁচ দশকের বিরতির পর গত মাসে বাংলাদেশের বন্দর নগরী চট্টগ্রামে একটি পাকিস্তানি পণ্যবাহী জাহাজ ডক …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।