চৌগাছা (যশোর) সংবাদদাতা : যশোরের বাঘারপাড়ায় চলন্ত বাসের টিউব বার্স্ট হয়ে খাদে পড়ে গাড়ির হেলপার রাজু হোসেন (৩৪) নামে একজন নিহত হয়েছেন। দুর্ঘটনায় কমবেশি ত্রিশজন আহত হন।
দুর্ঘটনাটি ঘটেছে আজ শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে যশোর-নড়াইল সড়কের করিমপুর মাধ্যামিক বিদ্যালয়ের সামনে।
খবর পেয়ে বাঘারপাড়া থানা, হাইওয়ে ফাঁড়ি ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা আহতদের উদ্ধার করেন। এদের মধ্যে সাতজনকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের নড়াইল সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
দুর্ঘটনার পর যশোর-নড়াইল সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পৌনে এক ঘণ্টা পর পুলিশ পরিস্থিতি সামাল দেয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, যশোর থেকে ছেড়ে (নারায়ণগঞ্জ ব-০৪-০০৪৮) বাসটি প্রায় ৫০ জন যাত্রী নিয়ে নড়াইল যাচ্ছিল। বেলা ১১টার দিকে করিমপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে পৌঁছালে বাসের সামনের বাম পাশের চাকার টিউব বার্স্ট হয়ে যায়। এসময় গাড়ির চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। এতে বাসটি রাস্তার পাশের মেহগুনী গাছে ধাক্কা দিয়ে খাদে পড়ে যায়। এই দুর্ঘটনায় গাড়ির হেলপার রাজু হোসেন সেখানেই মারা যায়।
খবর পেয়ে বাঘারপাড়া থানা, হাইওয়ে ফাঁড়ি ও নড়াইলের তুলারামপুর ফাঁড়ি পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। তারা আহতদের মধ্যে সাতজনকে উদ্ধার যশোর জেনারেল হাসপাতালে এবং বাকিদের নড়াইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। দুর্ঘটনাস্থল থেকে বাঘারপাড়া থানার এসআই নিয়ামুল ইসলাম বলেন, বাসের চালকের সন্ধান পাওয়া যায়নি। দুর্ঘটনাকবলিত বাসটি পুলিশ হেফাজতে আছে। জানতে চাইলে ঘটনাস্থলের কাছেই নড়াইল জেলার তুলারামপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই দীন মোহাম্মদ বলেন, ‘দুর্ঘটনার পরে এখানে জনগণের প্রচুর ভিড় হয়। এক পর্যায়ে সড়কটিতে যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। আমরা পরিস্থিতি সামাল দিয়েছি। এখন যানচলাচল স্বাভাবিক আছে।’
জানতে চাইলে যশোর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ডাক্তার কল্লোলকুমার সাহা বলেন, ‘সড়ক দুর্ঘটনায় সাতজনকে হাসপাতালে ভর্তি করেছি। তাদের অবস্থা এই মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না। সবার অবস্থাই আশঙ্কাজনক।’ নিহত হেলপার নড়াইল জেলার তুলারামপুর গ্রামের ফারুক হোসেনের ছেলে রাজু হোসেন। যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি আহতরা হলেন, গাড়ির সুপারভাইজার তুলারামপুর গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে রাজু আহম্মদ (৩০), বাসের যাত্রী যশোর সদরের বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের মোমিনের ছেলে মাহবুবু (৫০), তার স্ত্রী আলেয়া বেগম (৪০), বাঘারপাড়া উপজেলার দোহাকুলা গ্রামের জলিলের স্ত্রী আঞ্জুরা খাতুন (৩০), একই গ্রামের রুব্বা (৪), অজ্ঞাত নারী (৩০), ঢাকার কেরানিগঞ্জের ধীরঞ্জনের ছেলে সাধনকুমার (৪০)।
