সাতক্ষীরা প্রতিনিধি :সাতক্ষীরার আশাশুনির বাঁওচাষ গ্রামের আলহাজ্ব শামসুর রহমান হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিম খানার জমি ভুমিহীন নামধারী কয়েকজন ভূমিদস্যু কর্তৃক দখলের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার বেলা সাড়ে ১১ টায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে উক্ত সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজার উপজেলার সরাফপুর গ্রামের মৃত হামিদ সরদারের ছেলে তাহাজুল ইসলাম।
তিনি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, বিগত ২০১২ সালে উক্ত মাদ্রাসা ও এতিম খানার নামে প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আলহাজ্ব এস.এম বসির আহমেদ ৪’শ বিঘা জমি ক্রয় করেন। সেখান থেকে ওই জমির হারির টাকা দিয়ে প্রতিষ্ঠানটির যাবতীয় খরচ পরিচালিত হয়ে আসছিলো। প্রতিষ্ঠানটিতে ২’শ এতিম শিক্ষার্থী ও ১০জন শিক্ষক-কর্মচারী রয়েছে। শিক্ষাক্ষেত্রে ইতিমধ্যে প্রতিষ্ঠানটি যথেষ্ট সুনামও কুড়িয়েছে। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটির এই সাফল্য স্থানীয় কতিপয় ভূমিহীন নামধারী ভূমিদস্যুরা সহ্য করতে না পেরে বিভিন্ন সময় তারা ষড়যন্ত্র শুরু করে। এরই জেল ধরে বিগত ২০১৭ সালের প্রথম দিকে আশাশুনি উপজেলার হাজীপুর গ্রামের মৃত মোহর আলী বৈদ্যের ছেলে হাবিবুল্লাাহ বৈদ্য ও রমজান বৈদ্য, একই গ্রামের মৃত আমিনউদ্দীন সরদারের ছেলে মহিদ হাজরা, মৃত ইমান আলীর ছেলে শাহাবুদ্দিন, আব্দুল গণির ছেলে মহিদুল ইসলাম, মৃত হামিদ সরদারের ছেলে নাসির উদ্দীন, রুস্তম আলীর ছেলে আছির উদ্দিন, কাটাখালী গ্রামের মৃত মঈনুদ্দিন ঢালীর ছেলে রফিকুল ঢালী, একই গ্রামের দাউদ আলীর ছেলে আহাদ আলী, বাঁকড়া গ্রামের মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে গোলাম মোস্তফা, একই গ্রামের মালেকের ছেলে রবিউল ইসলাম, কাটাখালী গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে ইউসুপ এবং দেবহাটা উপজেলার চালতেতলা গ্রামের আলেম মোড়লের ছেলে সালাম মোড়ল একতাবদ্ধ হয়ে এতিম খানার নামীয় উক্ত ৪’শ বিঘা জমির মধ্যে ২’শ বিঘা জমি জবর দখল করে নেন। বর্তমানে ভুমিহীন নামধারী ওই ভূমিদস্যুরা উক্ত জমি জোরপূর্বক ভোগ দখলে রেখেছেন। উক্ত ভূমিদস্যুদের কবল থেকে ওই সম্পত্তি উদ্ধারের জন্য ইতিমধ্যে বিভিন্ন দপ্তরে একাধিক আবেদনও করা হয়েছে। যা তদান্তাধীন রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করতে প্রতি মাসে প্রায় ৫ থেকে ৬ লাখ টাকা খরচ হয়। প্রতিষ্ঠানটির সম্পত্তি ভূমিদস্যুদের কবলে থাকায় বর্তমানে সেটি পরিচালনা করা খুবই কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। উক্ত প্রতিষ্ঠানের এতিম শিক্ষার্থীদের খাওয়া দাওয়াসহ শিক্ষক-কর্মচারীদের ঠিকমত বেতন-ভাতা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এর ফলে শিক্ষক-কর্মচারীরা পরিবার পরিজন নিয়ে বর্তমানে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। এমতাবস্থায় উক্ত ভুমিহীন নামধারী ভুমিদস্যুদের কবল থেকে এতিম খানার সম্পত্তি উদ্ধার পূর্বক এতিম শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের জীবন-জীবিকার সু ব্যবস্থা করা এবং প্রতিষ্ঠানটি টিকিয়ে রাখতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তাহাজুল ইসলাম। সংবাদ সম্মেলনে এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, উক্ত প্রতিষ্ঠানের প্রিন্সিপাল হাফেজ মাও. ওলিউর রহমান, স্থানীয় বাসিন্দা আমিনুল ইসলাম, পরিতোষ মন্ডল, মফিজুল ইসলাম, হাফিজুল ইসলাম, সাদিক গাজীসহ এতিম শিক্ষার্থীরা।##
Check Also
যশোর বেনাপোল দিয়ে ভারতে প্রবেশের সময় কলারোয়ার আ’লীগ কাউন্সিলর গ্রেপ্তার
নিজস্ব প্রতিনিধি :- সাতক্ষীরা: যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় সাতক্ষীরার কলারোয়া পৌরসভার …