সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : হযরত খান বাহাদুর আহছানউল্লাহ (রঃ) এর স্মৃতিধন্য প্রতিষ্ঠান সাতক্ষীরা আহছানিয়া মিশন। ১৯৬৪ সালে ৩৯ শতক জমি ক্রয় করে তিনি এখানে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন আহছানিয়া মিশন মসজিদ। ওয়াকফ করে দেওয়ার সময় তিনি গঠনতন্ত্রে লিখেছিলেন এখানে পর্যায়ক্রমে গড়ে তোলা হবে মসজিদ, মাদ্রাসা, এতিমখানা, দাতব্য চিকিৎসালয় ,পাঠাগারসহ বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান। তার মৃত্যুর পর সেখানে আর কোনো নতুন প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠেনি। সাম্প্রতিককালে আহছানিয়া মিশনের সভাপতি সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহায়তায় আহছানিয়া মিশনে আহছানিয়া মিশন মাল্টিকমপ্লেক্স নির্মান কাজ চলছে।
রোববার সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে এই তথ্য প্রকাশ করেন আহছানিয়া মিশন কমিটির জীবন সদস্য ও জাহান প্রিন্টিং প্রেসের পরিচালক এবং ইউনাইটেড প্রিন্টার্সের স্বত্ত্বাধিকারী শহরের মুনজিতপুরের আবু শোয়েব। তিনি বলেন এক পর্যায়ে মিশনের জমির সীমানা নির্ধারন নিয়ে জটিলতা দেখা দেয় প্রতিবেশি আবু সালেক, খায়বর সরদার ও ডা. আবুল কাসেমের সাথে। তৎকালিন জেলা প্রশাসক আবুল কাসেম মো. মহিউদ্দিন প্রতিপক্ষের অনুকূলে দুই শতক জমি ছেড়ে দিয়ে মিশনের সীমানা প্রাচীর নির্মান করেন। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে আবু সালেক আহছানিয়া মিশনের সভাপতি সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের নামে তিনটি সিভিল মামলা করেন। সে মামলা গুলি এখন বিচারাধীন রয়েছে।
তিনি বলেন আহছানিয়া মিশন কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মাল্টিকমপ্লেক্স নির্মান কাজ শুরু হয় গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে। এই কাজ এখনও অব্যাহত রয়েছে। তিনি আরও বলেন নির্মান কাজ শুরুর সাথে সাথে নির্বাহী কমিটির সদস্য মুজিব হোসেন নান্নুসহ কিছু সংখ্যক সদস্য এর বিরোধীতা করে আসছিলেন। তিনি অভিযোগ করে আরও বলেন গত ২ এপ্রিল সন্ধ্যায় কমিটির সদস্য কাজী মনিরজ্জামান মুকুল ও মুজিব হোসেন নান্নু তাকে ডেকে তিন লাখ টাকা দাবি করে বলেন, আপনি বিভিন্ন জনকে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দিচ্ছেন। আমাদেরকেও দিতে হবে। ক্রুদ্ধ হয়ে তারা আবু শোয়েবের গলা চেপে ধরে আস্ফালন করতে থাকেন। স্থানীয় মুসুল্লীরা তাকে উদ্ধার করেন বলে জানান শোয়েব। পরে তারা তাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়ে চলে যান। বিষয়টি আহছানিয়া মিশনের নির্বাহী কমিটিকে জানানো হয়। তিনি বলেন এরপরও তারা আবু শোয়েবের বিরুদ্ধে ২২ টি কল্পিত অভিযোগ দাখিল করেন জেলা প্রশাসকের কাছে। বিষয়টি এখনও তদন্তাধীন রয়েছে ।
আবু শোয়েব বলেন ‘নির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্ত ও ডীডের শর্ত এবং চুক্তি অনুযায়ী তার অনুকূলে বরাদ্দকৃত জায়গায় নিজ খরচে দ্বিতীয়তলা ভবন নির্মান কাজ চলছে। একই সাথে মসজিদ ও কমপ্লেক্সের কাজও চলছে অব্যাহত গতিতে। এমন সময় আহছানিয়া মিশনের উন্নয়ন কাজ বাধাগ্রস্থ করতে তারা আবু শোয়েবের নামে বিভিন্ন অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। এর কোনো সত্যতা নেই বলে উল্লেখ করেন আবু শোয়েব। আবু শোয়েব আরও বলেন, আমি নির্বাহী কমিটির পক্ষে জেলা প্রশাসকের অনুমতিতে মালটিকমপ্লেক্সের কাজ করে যাচ্ছি। হযরত খান বাহাদুর আহছানউল্লাহ (রঃ) এর গৃহীত গঠনতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমি নিজ খরচে পাঠাগার ও দাতব্য চিকিৎসালয় প্রতিষ্ঠা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এতেই কিছু সংখ্যক লোকের গাত্রদাহ শুরু হয়েছে। তিনি তাদের অপপ্রচারে কান না দেওয়ার আহবান জানান।
Check Also
যশোর বেনাপোল দিয়ে ভারতে প্রবেশের সময় কলারোয়ার আ’লীগ কাউন্সিলর গ্রেপ্তার
নিজস্ব প্রতিনিধি :- সাতক্ষীরা: যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় সাতক্ষীরার কলারোয়া পৌরসভার …